• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
পুরনো ইঞ্জিনে চলবে বনলতা এক্সপ্রেস

দেশের প্রথম ও সর্বাধুনিক হাইস্পিড ট্রেন বনলতা এক্সপ্রেস

সংরক্ষিত ছবি

যোগাযোগ

পুরনো ইঞ্জিনে চলবে বনলতা এক্সপ্রেস

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৩ এপ্রিল ২০১৯

দেশের প্রথম ও সর্বাধুনিক হাইস্পিড ট্রেন বনলতা এক্সপ্রেস চালানো হবে পুরনো দুটি ইঞ্জিন দিয়ে। ফলে প্রত্যাশিত গতিবেগ উঠবে না ঢাকা-রাজশাহী রুটের প্রথম ও একমাত্র বিরতিহীন এই ট্রেনের।

আগামী ২৫ এপ্রিল আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে এই ট্রেনের। ২৭ এপ্রিল থেকে বাণিজ্যিকভাবে চলাচল শুরু করবে। উদ্বোধন পর্বে অংশ নিতে ট্রেনটি এখন পশ্চিমাঞ্চল রেলের ঈশ্বরদী জংশনে অবস্থান করছে।  পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানায়, বনলতা চলাচলের জন্য যে দুটি ইঞ্জিন প্রস্তুত করা হয়েছে সেগুলো ২০১৩ সালে ভারত থেকে আমদানি করা। এই ইঞ্জিনে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ গতিবেগ ৯০ থেকে ৯৫ কিলোমিটার। অন্যদিকে বনলতার সর্বাধুনিক হাইস্পিড কোচের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার। নতুন ইঞ্জিন পেলে এটি প্রতি মিনিটে আড়াই কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে পারত। ৩৪৩ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে এর সময় লাগত ৪ থেকে সাড়ে ৪ ঘণ্টা। বনলতায় নতুন ইঞ্জিন যুক্ত হলে যাত্রীদের সময় বাঁচত অন্তত আড়াই ঘণ্টা। তবে পুরনো ইঞ্জিনে এক থেকে দেড় ঘণ্টা সময় বাঁচবে।

বর্তমানে রাজশাহী-ঢাকা রুটে চলাচল করে আন্তঃনগর পদ্মা, ধূমকেতু ও সিল্ক সিটি এক্সপ্রেস।

পুরনো ইঞ্জিনে এসব ট্রেনও ঘণ্টায় ৯০ থেকে ৯৫ কিলোমিটার গতিবেগে চল। মাঝে যাত্রাবিরতি করে ১৪টি স্টেশনে। ফলে তিনটি ট্রেনের গন্তব্যে পৌঁছাতে সময় লাগে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা।  বিরতিহীন হওয়ায় বনলতায় ভ্রমণকারীদের অতিরিক্ত ১০ শতাংশ ভাড়া গুনতে হবে। এর সঙ্গে ১৮০ টাকা দিতে হবে খাবার বিল। খাবার সরবরাহ সৌজন্যমূলক বলা হলেও মূল্য পরিশোধ বাধ্যতামূলক। এই রুটের অন্য তিন আন্তঃনগর ট্রেনে খাবার সরবরাহের ব্যবস্থা থাকলেও তা বাধ্যতামূলক নয়। ট্রেনে নিম্নমানের খাবার সরবরাহের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এছাড়া রয়েছে চড়া দাম নেওয়ার অভিযোগ। তাই বনলতার খাবার দাম অনুযায়ী মান কেমন হবে তা নিয়ে ভ্রমণকারীদের মাঝে কৌতূহল জেগেছে।

এ বিষয়ে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) খোন্দকার শহিদুল ইসলাম বলেন, খাবার মানসম্মত হবে। তিনি বলেন, ভ্রমণকারীদের হাতে হাতে খাবারের প্যাকেট পৌঁছে যাবে। সরবরাহ করবে সরকারি একটি সংস্থার সহযোগী প্রতিষ্ঠান। তবে টিকেটের মূল্য নির্ধারণের দাফতরিক কোনো সিদ্ধান্ত তারা জানেন না বলে জানান তিনি।

ঈশ্বরদী জংশন এলাকায় বনলতার শুভযাত্রা ঘিরে ব্যস্ত রেলের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো। ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা ১২টি বগির পরীক্ষামূলক চলাচল, জ্বালানি, বিদ্যুৎ সংযোগ পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। বিভাগটি জানায়, ট্রেনটিতে রয়েছে বিমানের মতো বায়োটয়লেট। এ কারণে মলমূত্র আর রেললাইনের ওপরে পড়বে না। থাকছে রিক্লেনার চেয়ার,  ওয়াইফাই সুবিধা। প্রতিটি বগিতে এলইডি ডিসপ্লে রয়েছে। যার মাধ্যমে স্টেশন ও ভ্রমণের তথ্য প্রদর্শিত হবে। কিন্তু থাকছে না শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোনো ধরনের স্লিপিং বার্থ।

ঈশ্বরদীতে অবস্থিত রেলের ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন বিভাগের ইনচার্জ একেএম গোলাম হাক্কানি বলেন, নতুন ট্রেনটিতে শোভন চেয়ারের বগি ৭টি, যার আসন সংখ্যা ৬৬৪টি। এসি বগি ২টি, আসন সংখ্যা ১৬০টি। একটি পাওয়ার কারের আসন সংখ্যা ১৬টি। দুটি গার্ডব্রেকের আসন সংখ্যা ১০৮টি। ট্রেনটিতে থাকছে একটি খাওয়ার বগি। বনলতায় মোট আসন ৯৪৮টি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads