• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
রেলের অ্যাপে টিকেট পদে পদে ভোগান্তি

ছবি : সংগৃহীত

যোগাযোগ

রেলের অ্যাপে টিকেট পদে পদে ভোগান্তি

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ১২ মে ২০১৯

বাংলাদেশ রেলওয়ের অ্যাপে টিকেট কাটার পর ট্রেন গন্তব্যে পৌঁঁছে যাওয়ার সময় এলো নিশ্চিতকরণ বার্তা। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী আন্তঃনগর সুবর্ণ এক্সপ্রেসের টিকেট কিনে এই ভোগান্তিতে পড়েন এক গণমাধ্যমকর্মী।

অনেক ঢাক-ঢোল পিটিয়ে উদ্বোধন করা হয়েছিল বাংলাদেশ রেলওয়ের অ্যাপ। কিন্তু উদ্বোধনের দিন থেকেই এটি ব্যবহারকারীদের অপছন্দের তালিকায় চলে গেছে। দিনে দিনে পরিস্থিতি আরো খারাপ হচ্ছে। গত কয়েকদিন ধরে রেলের ওই অ্যাপে টিকেট কাটতে গিয়ে টাকা গচ্চা দিয়েছেন অনেকে। টিকেট কাটা যাচ্ছে না, কিন্তু টাকা ঠিকই কেটে নিচ্ছে। সোশ্যাল সাইটে গত কয়েকদিন ধরে এমন অভিযোগে সয়লাব হয়ে গেছে।

এদিকে ভুক্তভোগী ওই গণমাধ্যমকর্মী বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা ৫২ মিনিটে ‘রেলসেবা অ্যাপস’র মাধ্যমে শনিবারের সুবর্ণ এক্সপ্রেসের দুটি শোভন চেয়ারের টিকেট কাটেন। সঙ্গে সঙ্গে তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পূর্ণ এবং একটি হাফ টিকেটের মূল্য বাবদ ৬৭৫ টাকা কেটে নেওয়া হয়।

টিকেট কেনা নিশ্চিত করে রেলের ই-মেইল রাত ১০টায় না আসার পর চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের সিএনএস বিভাগে ওই গণমাধ্যমকর্মী যোগাযোগ করলে তাকে জানানো হয়, টিকেট নিশ্চিত হয়নি এবং কেটে ফেলা টাকা আট কর্মদিবসের মধ্যে ফেরত দেওয়া হবে।

কিন্তু গতকাল বেলা ১২টা ৩১ মিনিটে তার ইমেইলে সুবর্ণ এক্সপ্রেসের টিকেট দুটি কাটার নিশ্চিতকরণ তথ্য আসে। এতে বগি নম্বর- ‘ন’ এবং সিট নম্বর- ৩৫ ও ৩৬ উল্লেখ করা হয়। ওই ইমেইলের মাধ্যমে গ্রাহককে সংশ্লিষ্ট স্টেশন থেকে টিকেট দুটি সংগ্রহ করতে বলা হয়।

চট্টগ্রাম-ঢাকা রুটের বিরতিহীন ট্রেন সুবর্ণ এক্সপ্রেস সকাল ৭টায় চট্টগ্রামে রেলস্টেশন ছেড়ে যায়, ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশনে পৌছায় দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে।

খবর নিয়ে জানা যায়, শনিবার ট্রেনটি ঢাকায় পৌঁছে ১২টা ২২ মিনিটে। অর্থাৎ টিকেট নিশ্চিত করে ইমেইল যখন এসেছে, ততক্ষণে সুবর্ণ এক্সপ্রেস ঢাকায় গন্তব্যের প্রায় কাছাকাছি।

আর ইমেইলে দেখা যায়, ট্রেনটি ছেড়ে যাওয়ার পর টিকেট ইস্যু করা হয়েছে। টিকেট ইস্যুর সময় লেখা আছে ১১ মে বেলা ১১টা ৫৪ মিনিট, অথচ টিকেট সংগ্রহের শেষ সময় বলা হয়েছে ১১ মে সকাল ৬ টা ৪৫ মিনিট।

গুগল প্লে স্টোরে এই অ্যাপটির রিভিউতে অনেকেই টিকেট কিনতে গিয়ে তাদের ভোগান্তির কথা লিখেছেন। বেশ কয়েকজন লিখেছেন টিকেট কাটা নিশ্চিত না হলেও তাদের টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে।

ভোক্তভোগী অন্য একজন উৎকল বণিক গত ৯ মে তারিখ বিকাশের মাধ্যমে ৭২০ নং পাহাড়িকা এক্সপ্রেসের ১০ তারিখের টিকেট কাটেন। পরবর্তী দুই দিন অপেক্ষা করে কনফারমেশন মেইল তিনি পাননি। সেই ১০ তারিখের টিকেট কনফার্মেশন মেইল তিনি পেয়েছেন গতকাল দুপুর ১টায়! তিনি এখন টাকা ফেরত পাবেন কি না, এ নিয়ে চিন্তিত। অনেক ব্যবহারকারী তাকে ভোক্তা অধিকার আইনে মামলা করার পরামর্শ দিচ্ছেন।

প্রায় একই অভিজ্ঞতা কে জে মুরাদের। তিনি স্ক্রিনশট দিয়ে ফেসবুকে লিখেছেন, অবশেষে ১৪ ঘণ্টা পর মেইল এলো। ট্রেন ততক্ষণে অর্ধেক পথ পাড়ি দিয়েছে। সোহেল রানা নামে আরেকজন লিখেছেন, অ্যাপস দিয়ে কেউ টিকেট কাটবেন না। টাকা কেটে নিচ্ছে কিন্তু টিকেট ইস্যু হচ্ছে না। সবাই সাবধান!

রেলওয়ের ই-সেবা কার্যক্রমটি পরিচালনা করে থাকে সিএনএসবিডি নামে একটি প্রতিষ্ঠান। এই কোম্পানির ঢাকা অফিসের ব্যবস্থাপক শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বিষয়টি এখনো নতুন, কিছু ত্রুটি আছে, তা ডেভেলপমেন্টের কাজ চলছে। ট্রেন চলে যাওয়ার পর ‘টিকেট কনফারমেশন’ তথ্য আসার বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন তিনি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads