• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
মেট্রোরেলের ৪০ শতাংশ অগ্রগতি

ছবি : সংগৃহীত

যোগাযোগ

মেট্রোরেলের ৪০ শতাংশ অগ্রগতি

দেশীয় ঐতিহ্যে হচ্ছে ১৬ স্টেশন

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২০ মে ২০১৯

রাজধানীর সড়কজুড়ে ক্রমশ দৃশ্যমান হচ্ছে স্বপ্নের মেট্রোরেল। অধিকাংশ পিলারের ওপরে বসছে স্প্যান। প্রকল্পটির প্রধান চ্যালেঞ্জ ছিল পাইলিং। তাসহ সব চ্যালেঞ্জ জয় করেই এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের স্বপ্নযাত্রা। মেট্রোরেল সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রকল্পের সার্বিক গড় অগ্রগতি ২৪ দশমিক ১৬ শতাংশ। তবে এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো হচ্ছে স্টেশন। এই স্টেশন সংখ্যা হবে মোট ১৬টি। অর্থাৎ মোট ১৬ স্টপে থামবে মেট্রোরেল।

এদিকে উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে মিরপুর, শেওড়াপাড়া ও আগারগাঁওয়ে পিলারের ওপর দৃশ্যমান হয়েছে স্প্যান। ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (লাইন-৬) নির্মাণ কাজ কাজ হচ্ছে দুটি ধাপে। উত্তরা দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও রুটে চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত ৩৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ প্রকল্পের কাজ নির্দিষ্ট সময়েই সম্পন্ন হবে বলে দাবি করছে মেট্রোরেল প্রকল্পের বাস্তবায়নকারী সংস্থা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।

প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী (পূর্ত) আবদুল বাকী মিয়া বলেন, প্রকল্পের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। শুধু দেশে নয় জাপানেও মেট্রোরেল প্রকল্পের কিছু অংশের কাজ হচ্ছে, যেমন কোচ নির্মাণ কাজ। মেট্রোরেলে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সব কাজই চ্যালেঞ্জিং। তারপরও প্রধান চ্যালেঞ্জ ইতোমধ্যেই সফলভাবে সম্পন্ন করেছি। তিনি আরো বলেন, মেট্রোরেল প্রকল্প এলাকায় দেখলেই সবাই বুঝতে পারছেন প্রতিনিয়তই পরিবর্তন হচ্ছে। একের পর এক স্প্যান পিলারে বসছে। বর্তমানে স্টেশন নির্মাণকাজও এগিয়ে যাচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে নির্দিষ্ট সময়েই প্রকল্পটির কাজ সম্পন্ন করতে পারব।

উত্তরা নর্থ থেকে আগারগাঁও : মেট্রোরেলের এই অংশ প্যাকেজ-৩ ও প্যাকেজ-৪-এর আওতায়। মোট দৈর্ঘ্য ১১ দশমিক ৭৩। এই অংশে মোট ৯টি স্টেশন নির্মাণ করা হবে। উভয় প্যাকেজের কাজ ২০১৭ সালের ১ আগস্ট শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে পরিষেবা স্থানান্তর, চেকবোরিং, টেস্ট পাইল ও মূল পাইল সম্পন্ন হয়েছে। মোট ৭৬৬টি পাইল ক্যাপের মধ্যে ৬০০টি পাইল ক্যাপ, ৩৯৩টি পিয়ার হেডের মধ্যে ৩০৩টি পিয়ার হেডের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়াও ১০৮টি আই-গার্ডারের মধ্যে ৯৬টি আই-গার্ডার, ৫ হাজার ১৪৯টি প্রিকাস্ট সেগম্যান্ট কাস্টিংয়ের মধ্যে ২ হাজার ৫৪৯টি প্রিকাস্ট সেগম্যান্ট কাস্টিং নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। ৩ হাজার ৯৩০ মিটার ভায়াডাক্ট দৃশ্যমান হয়েছে। প্যাকেজ-৮-এর আওতায় রেল কোচ ও ডিপো ইকুইপমেন্ট সংগ্রহের কাজ এগিয়ে চলেছে। এ প্যাকেজের বাস্তব কাজ ২০১৭ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর শুরু হয়েছে। বর্তমানে রোলিং স্টক (রেল কোচ) ও ডিপো ইকুইপমেন্ট সংগ্রহের আওতায় সম্পূর্ণ নকশা সম্পন্ন হয়েছে। জাপানে মেট্রোরেলের মকআপ রিভিউ সম্পন্ন হয়েছে। বগি নির্মাণের কাজ চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি জাপানে শুরু হয়েছে। মেট্রোরেলের এয়ার কন্ডিশন, ব্রেক ওট্রেন ইনফরমেশন চূড়ান্ত করা হয়েছে। এই প্যাকেজের অগ্রগতি ১৩ দশমিক ১৫ শতাংশ।

ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড মেকানিক্যাল সিস্টেম : প্যাকেজ-৭-এর আওতায় ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড মেকানিক্যাল সিস্টেম সরবরাহ ও নির্মাণকাজ ২০১৮ সালের ১১ জুলাই শুরু হয়েছে। ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড মেকানিক্যাল সিস্টেম সরবরাহ ও নির্মাণকাজের আওতায় ডেভিনিটিভ নকশা সম্পন্ন হয়েছে। হাইভোল্টেজ ফিডার ক্যাবল স্থাপনের জন্য টেস্ট পিট খনন, উত্তরা রিসিভিং সাব স্টেশন (আরএসএস) নির্মাণ এবং টঙ্গি ও মানিকনগর গ্রিড সাবস্টেশনে বে নির্মাণের কাজ চলছে। রেল ও ৩৩ কেভি কেব্লস, ১৩২ কেভি কেব্লস জাহাজীকরণ করা হয়েছে। ব্যালাস্টপ্রি শিপমেন্ট ইন্সপেকশন (পিএসআই) সম্পন্ন হয়েছে। এসব কাজের বাস্তব অগ্রগতি সাড়ে ৭ শতাংশ।

ডিপো এলাকার ভূমি উন্নয়ন : প্যাকেজ-১-এর আওতায় এই কাজ। বাস্তব কাজ ২০১৬ সালের ৮ সেপ্টেম্বর শুরু হয়ে নির্ধারিত সময়ের ৯ (নয়) মাস আগে গত ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারি সমাপ্ত হয়েছে। বাস্তব অগ্রগতি শতভাগ।

প্যাকেজ-২-এর আওতায় চলমান। বাস্তব কাজ ২০১৭ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর শুরু হয়েছে। সংশোধিত কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী প্রথম পর্যায়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এলাকার পূর্ত কাজ আগামী ৩০ জুন শেষ হবে। বাস্তব অগ্রগতি ৩০ শতাংশ।

প্যাকেজ ৫ : এই প্যাকেজের আওতায় আগারগাঁও থেকে কারওয়ানবাজার পর্যন্ত ৩ দশমিক ১৯৫ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট ও ৩টি স্টেশন নির্মাণকাজ চলমান। এ প্যাকেজের বাস্তব কাজ ২০১৮ সালের ১ আগস্ট শুরু হয়েছে। বর্তমানে এ অংশে পরিষেবা স্থানান্তর, চেকবোরিং ও টেস্ট পাইল সম্পন্ন হয়েছে। মূল পাইল নির্মাণের জন্য ২১০টি ট্রায়াল পিটের মধ্যে ১০৮টি ট্রায়াল পিট এবং ৪৫২টি বোরড পাইলের মধ্যে ৬৭টি বোরড পাইল সম্পন্ন হয়েছে। জাপানের সব থেকে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ১০৪টি স্ক্রু পাইল ফাউন্ডেশনের মধ্যে ১২টি স্ক্রু পাইল ফাউন্ডেশন সম্পন্ন করা হয়েছে। বাস্তব অগ্রগতি ৭ শতাংশ।

প্যাকেজ ৬ : কারওয়ান বাজার থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ৪ দশমিক ৯২ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট ও ৪টি স্টেশন নির্মাণকাজ চলমান। এ প্যাকেজের বাস্তব কাজ ২০১৮ সালের ১ আগস্ট শুরু করা হয়েছে। বর্তমানে এ অংশে পরিষেবা স্থানান্তর, চেকবোরিং ও টেস্ট পাইল সম্পন্ন হয়েছে। মূল পাইল নির্মাণের জন্য ১৬০টি ট্রায়াল পিটের মধ্যে ৭৯টি ট্রায়াল পিট এবং ৬৫২টি বোরড পাইলের মধ্যে ১৪৪টি বোরড পাইল সম্পন্ন হয়েছে। জাপানের আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ১৩৮টি স্ক্রু পাইল ফাউন্ডেশনের মধ্যে ৩৬টি স্ক্রু পাইল ফাউন্ডেশন সম্পন্ন হয়েছে। বাস্তব অগ্রগতি ৭ শতাংশ।

দেশীয় ঐতিহ্যে তৈরি হচ্ছে ১৬ স্টেশন : মেট্রোরেলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো হচ্ছে স্টেশন। এই স্টেশন সংখ্যা হবে মোট ১৬টি। অর্থাৎ মোট ১৬ স্টপে থামবে মেট্রোরেল। স্টেশনগুলো হলো- উত্তরা (উত্তর), উত্তরা (সেন্টার), উত্তরা (দক্ষিণ), পল্লবী, মিরপুর-১১, মিরপুর-১০, কাজীপাড়া, তালতলা, আগারগাঁও, বিজয় সরণি, ফার্মগেট, সোনারগাঁও, জাতীয় জাদুঘর, দোয়েল চত্বর, জাতীয় স্টেডিয়াম ও বাংলাদেশ ব্যাংক। রাস্তার মাঝ বরাবর উড়ালপথে চলবে মেট্রোরেল। জাপান থেকে স্টিল সেট এনে পিলারের ওপরে বসানো হবে স্টেশন। মেট্রোরেল কোচের আগেই স্টেশন সেট জাপান থেকে আসবে।

স্টেশন হবে প্রায় দোতলা সমান উঁচু আর দৈর্ঘ্য ১৮০ মিটার। দোতলা উচ্চতার স্টেশনের নিচতলায় হবে টিকেট ক্রয় ও স্বয়ংক্রিয় প্রবেশদ্বার। দুইপাশ থেকে যাত্রীরা আসা-যাওয়া করতে পারবে এ স্টেশনে। এছাড়া স্টেশনগুলোতে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, বাঙালি জাতির কৃষ্টি-কালচার-ঐতিহ্য ও ইসলামিক সংস্কৃতি তুলে ধরা হবে। ১৬টির মধ্যে তিনটি আইকনিক স্টেশন হবে বাকিগুলো হবে সাধারণ।

আইকনিক স্টেশনগুলো উত্তরা (দক্ষিণ), বিজয় সরণি ও মতিঝিলে। এসব স্টেশন এমনভাবে নির্মিত হবে যেন দেখেই বোঝা যায় এটা বাংলাদেশের মেট্রোরেল স্টেশন। দেশের গরম আবহাওয়া ও ভৌগোলিক বিষয়ও স্থান পাবে স্টেশনগুলোতে। প্রতিটি স্টেশন হবে আধুনিক ও বিলাসবহুল। স্টেশনের আকর্ষণীয় দিক হচ্ছে প্ল্যাটফর্মের ছাদ। অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন ধবধবে সাদা রঙের বিশেষ ধরনের জ্যামিতিক ধনুকাকৃতির ছাদ দুদিক থেকে সরল রৈখিকভাবে একে অন্যকে ভেদ করে যাবে। অনেকটা মসজিদের মিনার ও শামিয়ানার সংমিশ্রণ। এর মধ্যে কয়েক জায়গায় স্বচ্ছ গ্লাস দেওয়া থাকবে যাতে সূর্যের আলো ঢুকে উভয় পাশের প্ল্যাটফর্মে ছড়িয়ে দিতে পারে।

মেট্রোরেলের ১৬টি স্টেশনের নকশা প্রণয়ন করেছে ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠান জন ম্যাকআসলান প্লাস পার্টনারস (জেএমপিআই)। এদের সঙ্গে ছিল বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)।

বুয়েট অধ্যাপক ও পরিবহন বিশেষজ্ঞ ড. মো. শামসুল হক বলেন, স্টেশনগুলো হবে অত্যাধুনিক ও বিলাসবহুল। আমাদের দেশের ইতিহাস, ইসলামিক কালচার ও সংস্কৃতি শোভা পাবে স্টেশনগুলোতে। বিদেশের যে কেউ স্টেশনগুলো দেখলেই যেন বুঝতে পারে এগুলো বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য। বাংলাদেশ ধর্মীয় সম্প্রীতির দেশ। এই বিষয়গুলোও থাকবে স্টেশনগুলোতে। তিনি আরো বলেন, দৃষ্টিনন্দনের পাশাপাশি ফাংশনাল দিক বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। কীভাবে এসব স্টেশন থেকে মানুষ অন্যান্য গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেন সেই বিষয়ে। স্টেশনের জন্য কোথাও যেন জটলা তৈরি না হয়, এসব বিষয়কে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সবকিছুই ঠিকঠাকভাবে করা হচ্ছে মানুষকে যাতায়াত সুবিধা দেওয়ার জন্য। স্টেশনগুলোতে মানুষের ধারণক্ষমতা প্রসঙ্গে এই পরিবহন বিশেষজ্ঞ বলেন, ঘণ্টায় ৬০ হাজার যাত্রী পরিবহনের কথা মাথায় রেখেই ১৬টি স্টেশন হবে। আমরা গতির কথা ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার বলছি। কিন্তু কয়েক কিলোমিটার দূর দূর স্টেশন। সুতরাং ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার গতি তোলা যাবে কি না সন্দেহ। ফলে যে ধারণক্ষমতা নিয়ে স্টেশনগুলো নির্মাণ করা হচ্ছে তা পূর্ণ মাত্রায় ব্যবহার করা যাবে কি না সন্দেহ থেকে গেছে।

ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) সূত্র জানায়, স্টেশনগুলোর দুই পাশে প্ল্যাটফর্ম বরাবর নিরাপত্তার জন্য শক্ত গ্লাস দিয়ে মোড়া থাকবে। মেট্রোরেল স্টেশনে যাত্রীদের অনায়াস ওঠানামা নিশ্চিত করতে থাকছে ছিমছাম ও সর্বাধুনিক দুটি এলিভেটর (চলন্ত সিঁড়ি)। মাথার ওপরে মেট্রোরেল স্টেশন, নিচ দিয়ে সড়ক ধরে চলাচল করবে যানবাহন ও ফুটপাত দিয়ে পথচারী।

মেট্রোরেল প্রকল্পের ব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) খান মো. মিজানুল ইসলাম বলেন, দ্রুত এগিয়ে চলেছে মেট্রোরেলের কাজ। স্টেশন নির্মাণকাজও দ্রুত হচ্ছে। যেখানে গ্যাপ রয়েছে সেখানে শুধু স্টেশন নির্মাণ করা হবে। পিলার নির্মাণকাজ শেষ হলেই জাপান থেকে রেডিমেট স্টিলের স্টেশন চলে আসবে। আমরা শুধু পিলারের ওপরে স্টিলের রেডিমেড স্টেশন সেট বসিয়ে দেব।

প্রসঙ্গত, রাজধানী ঢাকার যানজট নিরসন ও নগরবাসীর যাতায়াত আরামদায়ক, দ্রুততর ও নির্বিঘ্ন করতে ২০১২ সালে গৃহীত হয় মেট্রোরেল প্রকল্প। এ প্রকল্পের দৈর্ঘ্য হবে উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০ দশমিক ১ কিলোমিটার। প্রকল্পে ২৪ সেট ট্রেন চলাচল করবে। প্রত্যেকটি ট্রেনে থাকবে ৬টি করে কার। ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার বেগে ছুটবে যাত্রী নিয়ে। উভয় দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ হাজার যাত্রী পরিবহন বহনে সক্ষমতা থাকবে মেট্রোরেলের। প্রকল্পের মোট ব্যয় ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকার মধ্যে প্রকল্প সাহায্য হিসেবে জাইকা ঋণ দিচ্ছে ১৬ হাজার ৫৯৪ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads