• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯
উত্তরের মহাসড়কে শঙ্কা থাকছেই

ছবি : সংগৃহীত

যোগাযোগ

সড়কে চলছে ‘ঈদ সংস্কার’

উত্তরের মহাসড়কে শঙ্কা থাকছেই

  • রাজশাহী ব্যুরো
  • প্রকাশিত ২৪ মে ২০১৯

আসন্ন ঈদুল ফিতরে ঘরমুখো মানুষের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে ব্যাপক পরিকল্পনা নিয়েছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। মহাসড়কে চলছে ‘ঈদ সংস্কার’।  এরই মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে ৩২ দফা নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। সে অনুযায়ী মহাসড়কে সংস্কার কাজও শুরু হয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, এরপরও বিভিন্ন কারণে রাজশাহীসহ উত্তরের আট জেলার মহাসড়কে ঈদে নিরাপদে বাড়ি ফেরা নিয়ে শঙ্কা থাকছেই। সরেজমিন পরিদর্শন ও প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যে এমন চিত্রই উঠে এসেছে।

সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রাজশাহী জেলার বাইপাস সড়ক, পুঠিয়ায় ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক, নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়ক, রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহাসড়কে সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র আশা করছে, ঈদের সাত দিন আগেই নয়, আগামী সপ্তাহের শুরুতেই এই সংস্কার কাজ শেষ করা যাবে।

সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের বিভাগীয় কার্যালয়ের তথ্যানুযায়ী, রাজশাহী সড়ক অঞ্চলে ২ হাজার ৫২২ দশমিক ৪৮৮ কিলোমিটার জাতীয়, আঞ্চলিক ও জেলা সড়ক রয়েছে। এর মধ্যে প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী প্রায় সাড়ে ৬০০ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রায় ৩৫০ কিলোমিটার সড়ক চলাচলের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। সড়কের এই ক্ষতির পরিমাণ আর্থিক মূল্যে প্রায় শতকোটি টাকা। স্থানীয়দের অভিযোগ, বছর বছর কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে জাতীয় সড়কগুলো সংস্কার করা হলেও ছয় মাসের বেশি টিকছে না। ফলে সংস্কার হলেও সড়কে মৃত্যুর ঝুঁকিও কাটছে না।

ঠিকাদার নির্বাচনে জটিলতা, নির্মাণকাজে দুর্নীতির কারণ ছাড়াও সড়ক ও জনপথ বিভাগের উদাসীনতাও এর অন্যতম কারণ বলে ভুক্তভোগীরা মনে করছেন। ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত লোড বহনকারী যানবাহনের চাপও দ্রুত সড়ক নষ্ট হওয়ার বড় কারণ বলেও মনে করেন তারা।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহীর ৮ জেলায় ১৬টি জাতীয়, ২৩টি আঞ্চলিক ও ৬১টি জেলা সড়ক রয়েছে, যার মোট দৈর্ঘ্য ২ হাজার ৫২২ দশমিক ৪৮৮ কিলোমিটার। এর মধ্যে জাতীয় মহাসড়কের দৈর্ঘ্য ৩৮০ কিলোমিটার। আঞ্চলিক সড়কের দৈর্ঘ্য ৪৯৫ কিলোমিটার ও জেলা সড়কগুলোর মোট দৈর্ঘ্য ১ হাজার ৬৫০ কিলোমিটার। সোনামসজিদ থেকে রাজশাহী পর্যন্ত প্রায় ৮০ কিলোমিটার সড়কটি চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহর পর্যন্ত ৩৫ কিলোমিটার কিছুটা ভালো অবস্থায় থাকলেও চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহর থেকে রাজশাহী পর্যন্ত ৪৮ কিলোমিটার সড়কের শতাধিক স্থানে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে রাজশাহী-নাটোর মহাসড়কেরও শতাধিক স্থানে সৃষ্টি হয়েছে খানাখন্দ।

সড়কের বিড়লদহ মাজার, বানেশ্বর, শিবপুর, পুঠিয়াসহ শতাধিক স্থানের কার্পেটিং উঠে যান চলাচলে চরম দুর্ভোগের সৃষ্টি হচ্ছে। রাজশাহীর কাশিয়াডাঙ্গা থেকে বেলপুকুর পর্যন্ত ২২ কিলোমিটার সড়কের অবস্থা আরো খারাপ। অন্যদিকে নাটোর থেকে বনপাড়া ২৭ কিলোমিটার সড়কের অবস্থা খুবই বেহাল। এছাড়া বনপাড়া-হাটিকুমরুল সড়কটি কয়েক মাস আগে সংস্কার করা হলেও এ সড়কটি হয়ে পড়েছে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। নগরবাড়ী-হাটিকুমরুল-বগুড়া ১৩৫ কিলোমিটার মহাসড়কের বেহাল দশায় যানবাহন চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সড়কটির শাহজাদপুর থেকে চান্দাইকোনা ও শেরপুর থেকে বগুড়া পর্যন্ত শতাধিক স্থান দেবে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।

তবে রাজশাহী সড়ক ও জনপথের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান বলেন, ঈদে মহাসড়কে কোনো বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা নেই। ঝুঁকিপূর্ণ সব সড়কই সংস্কার করা হচ্ছে। এরই মধ্যে সংস্কার কাজ অনেক দূর এগিয়ে গেছে। আশা করা যাচ্ছে আগামী সপ্তাহের প্রথমেই কাজ শেষ করা যাবে।

নাটোর প্রতিনিধি জানান, আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে জনসাধারণের নির্বিঘ্নে বিভিন্ন যানবাহনে যাতায়াত করতে নাটোরে সড়ক সংস্কার কাজ হাতে নিয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ)।

এ বিষয়ে নাটোর সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এ এইচ এম জাবেদ তালুকদার বলেন, নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের শেরকোল থেকে বগুড়ার নন্দীগ্রাম এলাকা পর্যন্ত প্রায় ১৪ কিলোমিটার সড়ক বেহাল অবস্থা ছিল।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে রক্ষণাবেক্ষণ প্রকল্পের আওতায় প্রায় ১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে এই সড়ক প্রশস্তকরণসহ সংস্কার কাজ চলছে। আগামী জুন মাসে সংস্কার কাজ শেষ হবে।

এছাড়া নাটোর শহরের মাদ্রাসা মোড় থেকে দিঘাপতিয়া পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার সড়ক প্রশস্তকরণ কাজ চলছে। এতে প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যয় হবে। বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের কাছিকাটা টোলপ্লাজার সংস্কার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এতে ব্যয় হচ্ছে প্রায় ৪ কোটি টাকা। নাটোর শহরের ভেতর সড়ক প্রশস্তকরণ কাজ ৫০ ভাগ শেষ হয়েছে। নাটোর-পাবনা মহাসড়কে তৈরি হওয়া খানাখন্দ দূর করতে ঈদের আগেই সংস্কার কাজ শেষ করে তা ব্যবহার উপযোগী করা হবে।

তিনি জানান, সওজের আওতায় নাটোর জেলায় মোট ৩৬২ কিলোমিটার সড়ক মহাসড়ক রয়েছে। আর জাতীয় মহাসড়ক রয়েছে ১১০ কিলোমিটার। এর মধ্যে রাজশাহী-নাটোর-পাবনা মহাসড়ক ৪৬ কিলোমিটার, নাটোর-বগুড়া ৩২ কিলোমিটার, বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়ক ২৬ কিলোমিটার ও শহরের ভেতর ৬ কিলোমিটার। তবে নাটোর-বগুড়া মহাসড়কে সংস্কার কাজ ধীরগতিতে চলছে। ফলে যানবাহন চলাচলসহ জনসাধারণের চরম ভোগান্তি দেখা দিয়েছে।

বগুড়া প্রতিনিধি জানান, সরাসরি বগুড়ায় যুক্ত ১৪০ কিলোমিটার মহাসড়ক। এর মধ্যে ঢাকা-বগুড়া-রংপুর মহাসড়ক ৬৫ কিলোমিটার, বগুড়া-নাটোর মহাসড়ক ৩০ কিলোমিটার ও বগুড়া-নওগাঁ মহাসড়ক ৪০ কিলোমিটার। এদিকে আবার ঢাকা-বগুড়া-রংপুর মহাসড়ক ৬ লেনে উন্নীত করতে এরই মধ্যে ঠিকাদার নিযুক্ত ও কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে।

তবে বিগত যে কোনো সময়ের চেয়ে মহাসড়কের এই অংশটুকুর অবস্থা অনেক ভালো বলে সংশ্লিষ্টদের দাবি। অবশ্য মহাসড়কের একাধিক স্থান সরেজমিন ঘুরে ও খোঁজখবর নিয়ে সংশ্লিষ্টদের দাবির সত্যতাও পাওয়া যায়। কিন্তু মহাসড়কের দীর্ঘ এই পথের মধ্যে একাধিক মোড় বা বাঁক দাঁড়িয়ে রয়েছে মরণের যমদূত হয়ে। এসব মোড়ের সিংহভাগ স্থানে বেশিরভাগ সময় ছোটবড় দুর্ঘটনা ঘটেই থাকে। এছাড়াও বাঁকা বা সরু সেতু রয়েছে মহাসড়কের একাধিক স্থান। মোড় বা সরু সেতু এলাকাগুলো এ অঞ্চলের মানুষের কাছে এরই মধ্যে ‘ডেথস্পট’ হিসেবে পরিচিত পেয়েছে।

এসব মোড় বা সরু সেতু নির্দেশ করে মহাসড়কের দুপাশ দিয়ে সাইনবোর্ড দেওয়া হয়েছে। চালকদের সতর্ক করতে এসব সাইনবোর্ড দেওয়া।

বগুড়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুজ্জামান জানান, বগুড়া জোনের আওতাধীন মহাসড়কের অবস্থা যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক ভালো। তবে মহাসড়কের মোড় বা বাঁকা এলাকায় সব সময়ই দুর্ঘটনার ঝুঁকিটা অত্যন্ত বেশি থাকে।

এ প্রসঙ্গে সড়ক বিভাগের এই কর্মকর্তা জানান, ঢাকা-বগুড়া-রংপুর মহাসড়কের ৬ লেনে উন্নীতকরণের জন্য এরই মধ্যে ঠিকাদার নিযুক্ত করা ও কার্যাদেশ হয়েছে। এখন মহাসড়কের মোড় বা বাঁকা স্থান অথবা সরু সেতু বা ব্রিজের বিষয়গুলো তারাই দেখবেন। তবে মোড় ছাড়া মহাসড়কের ১৪০ কিলোমিটার অংশে তেমন একটা ঝুঁকি দেখছেন না প্রকৌশলী আশরাফুজ্জামান।

জয়পুরহাট প্রতিনিধি জানান, জয়পুরহাট-মোকামতলা আঞ্চলিক মহাসড়কটি দীর্ঘদিন হলো সংস্কার কাজ শুরু হলেও কাজের ধীরগতিতে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের।

জয়পুরহাট সওজ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ১০ এপ্রিলে জয়পুরহাট রেলগেট থেকে শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলা পর্যন্ত প্রায় ৩৬ কিলোমিটার আঞ্চলিক মহাসড়কের দুই ধারে ২৪ ফুট প্রশস্তকরণের জন্য জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) সভায় ১৯৪ দশমিক ৭৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন অজুহাতে ৩৬ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে ৫ কিলোমিটারের কাজ শেষ করেছে। আর ৩১ কিলোমিটারের মধ্যে প্রায় ২১ কিলোমিটার সড়কে নতুন করে শুধু বালু, খোয়া ও পাথর দেবে গেছে। ১০ কিলোমিটার সড়কের কাজ চলছে অত্যন্ত ধীরগতিতে। একই অবস্থা জয়পুরহাট-আক্কেলপুর সড়কেরও।

এ বিষয়ে জয়পুরহাট সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী তানভির সিদ্দিক জানান, কাজের ধীরগতির জন্য এরই মধ্যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করা হয়েছে। তবে তারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কাজগুলো শেষ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

নওগাঁ প্রতিনিধি জানান, ঈদুল ফিতরকে ঘিরে ঝকঝকে করা হয়েছে নওগাঁর সড়কগুলো। বিশেষ করে বগুড়া জেলার ঢাকার মোড় থেকে নওগাঁ শহরের ভেতর দিয়ে রাজশাহী পর্যন্ত ৭৪ কিলোমিটার আঞ্চলিক মহাসড়কটির বর্ধিতকরণের কাজ শেষ হয়েছে। এছাড়া আন্তঃজেলার প্রতিটি সড়ক সংস্কার করে শতভাগ চলাচল উপযোগী করা হয়েছে।

জেলার সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এ বছর নওগাঁ-রাজশাহী, নওগাঁ-জয়পুরহাট, নওগাঁ-চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁ-বগুড়া মহাসড়কগুলো বেশ মসৃণ করা হয়েছে। এসব রুটে চলাচলকারীরা এখন অনেক স্বাচ্ছন্দ্যেই ঈদযাত্রা করতে পারবেন।

নওগাঁ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী হামিদুল হক জানান, নওগাঁ-রাজশাহী আঞ্চলিক মহাসড়কটির বর্ধিতকরণ কাজ নওগাঁ অংশের কাজ মোটামুটি শেষ। আর অল্প কিছু কাজ বাকি আছে তবে ঈদের আগে শেষ হয়ে যাবে। পাশাপাশি জেলা থেকে অন্যন্য জেলায় যাওয়ার প্রতিটি রুটের খারাপ অংশগুলো এরই মধ্যে মেরামত করা হয়েছে। ঈদে ঘরমুখো মানুষ কোনো ধরনের ভোগান্তির শিকার হবেন না। 

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, ঈদ এলেই উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার সিরাজগঞ্জের মহাসড়কগুলোতে বিভিন্ন দুর্ভোগের আশঙ্কার মধ্য দিয়েই ঘরে ফেরেন মানুষ। জেলার মহাসড়ক দিয়ে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের অন্তত ২০টি জেলার মানুষ ঢাকায় যাতায়াত করে।

তবে সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবারের ঈদে জেলার সব মহাসড়ক যানজটমুক্ত থাকার কথা দাবি করলেও পুলিশের আশঙ্কা অন্তত একটি মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, নলকা-কাছিকাটা ব্রিজ ৩০ কিলোমিটার ও চান্দাইকোনা বাঘাবাড়ি ব্রিজ ৫৮ কিলোমিটার মহাসড়কের মধ্যে বেশিরভাগই মেরামত কাজ শেষ হয়েছে। তবে শহরের মধ্য দিয়ে বয়ে চলা মুলিবাড়ী-নলকা মহাসড়কের নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে।

চার লেন ও দুই লেনের এ মহাসড়কটির বেশ কিছু কাজও শেষ হয়েছে। অপরদিকে বিবিএ কর্তৃপক্ষের আওয়তাধীন বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম-নলকা মহাসড়ক সম্পূর্ণই স্বাভাবিক রয়েছে।

এদিকে হাটিকুমরুল হাইওয়ে পুলিশের ওসি আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, মহাসড়কের অবস্থা ভালো থাকলেও বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে হাটিকুমরুল পর্যন্ত যানজট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কড্ডার মোড় এলাকায় রোড ডিভাইডারের প্রতি লেনে একটির বেশি যানবাহন ঢুকতে পারবে না। ফলে যানজট সৃষ্টি হবে বলে দাবি করেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।

তবে জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আনোয়ার পারভেজ বলেন, এবার নিশ্চিন্তে যাত্রীরা ঘরে ফিরতে পারবেন। জেলার ১০৯ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়কে কোথাও বড় কোনো খানাখন্দ নেই। যেটুকু ছোটখাটো খানাখন্দ রয়েছে ঈদের ১০ দিন আগেই সেটার সংস্কার কাজ শেষ হবে। ফলে কোনো যানজটের সম্ভাবনা নেই বলে দাবি এই কর্মকর্তার।

এর আগে গত ৯ মে মন্ত্রণালয়ের সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সহকারী সচিব লিয়াকত আলী স্বাক্ষরিত সড়ক সংস্কারের নির্দেশনা সংশ্লিষ্ট সব প্রকৌশলীর কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়। এতে ঈদুল ফিতরে মহাসড়কে যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে ৩২ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ঈদের সাত দিন আগে মহাসড়ক মেরামতের কাজ শেষ করতে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads