• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
ঈদ শেষে কর্মস্থলগামী যাত্রীদের চাপে দৌলতদিয়ায় যানবাহনের দীর্ঘ সারি

ছবি: বাংলাদেশের খবর

যোগাযোগ

ঈদ শেষে কর্মস্থলগামী যাত্রীদের চাপে দৌলতদিয়ায় যানবাহনের দীর্ঘ সারি

  • গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৮ জুন ২০১৯

দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে শনিবার সকাল থেকে দৌলতদিয়া ঘাটে কর্মস্থলমুখী মানুষের ঢল নামতে শুরু করেছে। এ সব যাত্রীদের বয়ে আনা গাড়ির চাপ বেড়ে যাওয়ায় দুপুরের পর থেকে নদীপারের অপেক্ষায় আটকা পড়ে বাস, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকারসহ শত শত বিভিন্ন গাড়ি। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে আটকে পড়া যানবাহনের সংখ্যা।

শনিবার বিকেল পর্যন্ত ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে মহাসড়কের দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ এলাকা পর্যন্ত সাড়ে ৩ কিলোমিটার জুড়ে সৃষ্টি হয় গাড়ির দীর্ঘ যানজট। সিরিয়ালে আটকে থাকা বাসযাত্রীরা এ সময় দুর্ভোগ পোহান।  

সরেজমিন দৌলতদিয়া ঘাট ঘুরে দেখা যায়, শনিবার দুপুরের আগ পর্যন্ত নদী পারাপার হতে আসা যানবাহনগুলো ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করে ফেরির নাগাল পেয়ে যায়। অপরদিকে দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাটে যাত্রীদের ঢল নামে। লঞ্চঘাটের ওভারব্রীজ ও পন্টুনে পা ফেলার জায়গাও ছিল না। এদিকে দুপুরের পর থেকে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে ঘাট এলাকায় গাড়ির সারি সৃষ্টি হতে দেখা যায়। বিকেল সাড়ে ৪টা নাগাদ ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে মহাসড়কের ইউনিয়ন পরিষদ এলাকা পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৩ কিলোমিটার মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাসের দীর্ঘ সারি। অপরদিকে বাইপাস সড়কের ১ কিলোমিটার জুড়ে নদী পারের অপেক্ষায় সিরিয়ালে আটকে আছে প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাস। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে বাড়ছে যানবাহনের চাপ।

দৌলতদিয়া ঘাটে কর্মরত বিআইডব্লিউটিসির ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. শফিকুল ইসলাম জানান, নৌরুটের ২০টি ফেরির মধ্যে বর্তমানে ১৯টি ফেরি যানবাহন পারাপার করছে। রুটে অপর ইউটিলিটি ফেরি শাপলা-শালুক যান্ত্রিক ত্রুটিতে বিকল হয়ে দুইদিন ধরে পাটুরিয়ার ভাসমান কারখানা মধুমতিতে মেরামতে আছে। আশা করি, রোববার সকাল নাগাদ ফেরিটি বহরে যুক্ত হবে।

তিনি বলেন, গত ১২ ঘণ্টায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট দিয়ে রেকর্ড সংখ্যক যানবাহন পারাপার করা হয়েছে। যে কারণে সিরিয়াল লম্বা হলেও খুব বেশী সময় ফেরি নাগাল পেতে যানবাহনগুলোকে অপেক্ষা করতে হচ্ছে না।

গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুবায়েত হায়াত শিপলু জানান, লঞ্চঘাটে মানুষের ঢল নামলেও কোনো লঞ্চে যাত্রীদের জীবনের ঝুকি নিয়ে অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে নদী পার হওয়ার সুযোগ নেই। একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে বিষয়টি কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। এছাড়া জেলা প্রশাসক মো. শওকত আলীর নেতৃত্বে কর্মস্থলগামী মানুষের নিরাপত্তা ও নির্বিঘœ করতে জেলা প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা কাজ করে যাচ্ছেন।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads