• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
শায়েস্তাগঞ্জ রেলস্টেশনে কর্মমুখী মানুষের উপচে পড়া ভিড়

ছবি : বাংলাদেশের খবর

যোগাযোগ

শায়েস্তাগঞ্জ রেলস্টেশনে কর্মমুখী মানুষের উপচে পড়া ভিড়

  • হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১১ জুন ২০১৯

কর্মস্থলে ফিরতি মানুষের দুর্ভোগ চরমে। স্বজনদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ উদযাপন শেষে শুরু হয়েছে আরেক যুদ্ধ, ট্রেন ও বাসে চড়ে কর্মস্থলে ফেরা।

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ রেলস্টেশনে কর্মমুখী মানুষের উপচে পড়া ভিড়। যাত্রীরা কাউন্টারে টিকেট না পেয়ে কালোবাজারী কাছ থেকে দ্বিগুন দামে টিকেট কিনতে বাধ্য হচ্ছে।

ঈদের ছুটি শেষে এখনো কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ। গত সোমবার ও মঙ্গলবার দুপুরে শায়েস্তাগঞ্জ রেলস্টেশনে ছিল মানুষের উপচে পড়া ভিড়। কর্মস্থলে ফিরতে জেলার বিভিন্ন স্থানের মানুষের ঢল নামে এ স্টেশনে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অনেককেই ট্রেনের ছাদে উঠতে দেখা যায়।

সিলেট থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী আন্তুঃনগর পাহাড়িকা এক্সপ্রেস বিকাল সাড়ে ৩টায় শায়েস্তাগঞ্জ স্টেশনে পৌছা মাত্রাই যাত্রীরা দরজা, জানালা দিয়ে লাফিয়ে উঠতে শুরু করে। এক পর্যায়ে ট্রেনের ভিতরে কোথায় ঠাঁই নেই। যাত্রীরা জানালা বেঁয়ে উঠতে থাকে ছাদে। ট্রেনের ছাদেও যাত্রীদের ভরপুর।

চট্টগ্রামগামী যাত্রী মো. আজিজুল ইসলাম বলেন, ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলেতো ফিরতেই হবে। তাই ভোগান্তির মধ্যেই ফিরছি।

বানিয়াচং উপজেলার বাসিন্দা কুলসুমা আক্তার, রিনা বেগম, মরিয়ম আক্তার, পারভিন সুলতানা পাহাড়িকা ট্রেনে যাবেন চট্টগ্রাম। কাজ করেন একটি পোশাক কারখানায়। ঈদে ছুটি বাড়িয়ে নেয়াতে ফিরছেন একটু দেরি করেই। ট্রেনের ভিতরে উঠতে না পারায় জানালা বেয়ে ছাদে উঠেছেন।

তারা জানান, জীবনেও ট্রেনের ছাদে উঠেননি। আজই প্রথম ট্রেনের ছাদে ছড়ে চট্টগ্রাম যেতে হবে। ভয় লাগছে, তারপরও যেতে হবে। তাদের মত এমন অনেক নারীই জীবনে প্রথম ট্রেনের ছাদে চড়ে কর্মস্থলে ফিরছেন।

শায়েস্তাগঞ্জ রেলস্টেশনের কম্পিউটার বিভাগের ইনচার্জ কাউছার আহমেদ জানান- চট্টগ্রামগামী পাহাড়িকা ট্রেনে যাত্রী বেশি হওয়ায় টিকিট বিক্রি বেড়ে গেছে। ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরা যাত্রীদের কাছে প্রতিদিন দেড় থেকে দুই লাখ টাকার টিকিট বিক্রি হচ্ছে।

শায়েস্তাগঞ্জ রেলস্টেশনের সহকারি স্টেশন মাষ্টার গৌর প্রসাদ দাস পলাশ জানান- যারা ঈদে ছুটি বাড়িয়ে নিয়েছিলেন মুলত তারাই এখন ফিরছেন কর্মস্থলে। তবে চট্টগ্রামগামী ট্রেনেই যাত্রীর ভিড় বেশি হচ্ছে। চলতি সপ্তাহের পরে হয়তো এরকম ভিড় আর থাকবে। সব যাত্রী যাহাতে ট্রেনে উঠতে পারে এজন্য নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ১০-১৫ মিনিট বেশি সময় ট্রেন দাড় করিয়ে রাখতে হয়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads