• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
ঢাকা-রাজশাহী আন্তঃনগর ট্রেনে বাড়ছে নিরাপত্তা

ছবি : সংগৃহীত

যোগাযোগ

ঢাকা-রাজশাহী আন্তঃনগর ট্রেনে বাড়ছে নিরাপত্তা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ৩০ জুন ২০১৯

ঢাকা-রাজশাহী রুটে চলাচলকারী আন্তঃনগর ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ, ছাদ থেকে যাত্রী ফেলে দেওয়া, ট্রেনের ভেতরে নারী যাত্রী হেনস্তার ঘটনায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হচ্ছে। পাশাপাশি প্রতি বগিতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক অ্যাটেনডেন্ট যোগ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রেলওয়ে সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, ২১ জুন রাতে রাজশাহীগামী সিল্কসিটি আন্তঃনগর এক্সপ্রেস ট্রেনের টয়লেটে ১৪ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে নির্মাণশ্রমিক মোমিনুল। কিশোরীর চিৎকারে যাত্রীরাই তাকে উদ্ধার করেন এবং অভিযুক্তকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেন। ট্রেনটির ওই কামরার এক যাত্রী বলেন, অনেকক্ষণ ধরেই যুবকটি কিশোরীকে উত্ত্যক্ত করে যাচ্ছিল। কিন্তু ওই কামরাতে কোনো অ্যাটেনডেন্ট, নিরাপত্তা বাহিনী ও জিআরপির সদস্য ছিল না। ফলে কিশোরী আক্রান্ত হওয়ার আগে তাদের সাহায্য চেয়েও পায়নি।

রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, আন্তঃনগর ট্রেনগুলোতে বগিপ্রতি ১ জন করে অ্যাটেনডেন্ট, দুজন করে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ও দুজন জিআরপির সদস্য সার্বক্ষণিক ডিউটি করার কথা। কিন্তু এই রুটের ট্রেনগুলোতে এটা কখনোই থাকে না। ফলে মাঝে মাঝে অঘটন ঘটছে। নিয়মিত যাত্রীরা জানান, সিল্কসিটি ও পদ্মা আন্তঃনগর ট্রেন দুটি বঙ্গবন্ধু সেতু পার হয়ে টাঙ্গাইলে দাঁড়ালেই ছিনতাইকারী ও সন্ত্রাসীরা ট্রেনে উঠে পড়ে। তারা যাত্রীদের জিনিসপত্র ছিনতাই করে মির্জাপুর স্টেশনে নেমে যায়। এমন ঘটনা অহরহ ঘটছে। অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার মিলছে না।

নিয়মিত যাত্রীদের অভিযোগ, আন্তঃনগর ট্রেনগুলোতে টিকেটবিহীন অথবা ট্রেনের ছাদে যাত্রী বহন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হলেও বিভিন্ন স্টেশনে টিকেটবিহীন যাত্রী তোলা হচ্ছে অহরহ। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের চোখের সামনে দিয়ে ট্রেনের ছাদেও লোক উঠে যাচ্ছে খোদ রাজশাহী স্টেশনে। রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ও জিআরপির সদস্যরা এসব দেখার বদলে ট্রেনজুড়ে ছুটে বেড়ায় টিকেটবিহীন যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা আদায় ও মালামাল থেকে টাকা তোলার জন্য। এ কারণে ছাদ থেকে পড়ে প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে।

পশ্চিম রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ১৩ নভেম্বর ঢাকা থেকে রাজশাহী পৌঁছার পর সিল্কসিটি ট্রেনের ছাদ থেকে এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া ১০ জুন রাজশাহীর বর্ণালী এলাকায় ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে এক যুবক মারা যায়। এ নিয়ে গত এক বছরে রাজশাহী-ঢাকা রুটের সিল্কসিটি ও পদ্মা আন্তঃনগর ট্রেনের ছাদ থেকে ৬টি লাশ উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে।

ঢাকা রেলওয়ে থানার (জিআরপি) ওসি ইয়াছিন ফারুক বলেন, এক্ষেত্রে জনসচেনতা বাড়ানো উচিত। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি জনসচেনতামূলক সভাও করা হয়েছে। পাথর নিক্ষেপ এড়াতে জানালা বন্ধ রাখার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, সাধারণ মানুষকে আগে সচেতন হতে হবে। এসব অনিয়ম রোধে টাঙ্গাইল থেকে নারায়ণগঞ্জ পর্যন্ত মাইকিং করা ও হ্যান্ডবিল বিতরণ করা হয়েছে। বিশেষ করে এসব প্রচারণা বেশি করে চালানো হলে অপরাধপ্রবণতা কমবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads