• মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪২৯
ভোলা-লক্ষ্মীপুরে রুটে দুই ফেরি বিকল, ঘাটে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন

ছবি: বাংলাদেশের খবর

যোগাযোগ

ঈদে ঘরমুখো মানুষের চরম ভোগান্তির আশঙ্কা

ভোলা-লক্ষ্মীপুরে রুটে দুই ফেরি বিকল, ঘাটে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন

  • ভোলা প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৭ জুলাই ২০১৯

ভোলা লক্ষ্মীপুর রুটের দুইটি ফেরি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিকল হয়ে পড়েছে। এতে ভোলা-লক্ষ্মীপুর ঘাটের দুই পাড়েই পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে তিন শতাধিক যানবাহন। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে যাত্রী ও শ্রমিকরা।

আজ শনিবার বিকেল পর্যন্ত দেখা যায়, ঘাটের দুই পাড়ে প্রায় তিন শতাধিক যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। এর আগে নতুন একটি ফেরিসহ দুইটি ফেরি যানবাহন পারাপারের কাজ করলেও জট কমছে না। ঘাটে দিনের পর দিন অপেক্ষা করেও ফেরির দেখা মিলছে না। এতে করে নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছে না পণ্যবাহী ট্রাকসহ অন্যান্য যানবাহন। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে আসছে ঈদে ঘরমুখো মানুষদের চরম ভোগান্তিতে পড়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।

সরেজমিনে ভোলার ইলিশা ফেরিঘাট এলাকা ঘুরে জানা যায়, দেশের গুরুত্বপূর্ণ ভোলা-লক্ষ্মীপুর ফেরি রুটটি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার যোগাযোগের অন্যতম সহজ মাধ্যম। এ রুটে কনকচাঁপা, কৃষানী ও কলমিলতা নামে ৩টি ফেরি নিয়মিত চলাচল করে আসছিল। কিন্তু গত ৫দিনে আগে ২টি ফেরি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিকল হওয়ায় যানবাহন পারাপারে বিঘ্নের সৃষ্টি হচ্ছে।

এ সময় ট্রাক চালক মো. সিরাজ, হাবিব ও বাবুলসহ অন্যরা জানান, ঘাটে তারা ৫/৬ দিন ধরে অপেক্ষা করছেন কিন্তু গন্তব্যে যেতে পারছেন না, কবে নাগাদ যেতে পারবেন তাও তাদের জানা নেই।

তাদের অভিযোগ, দিনে একবার ফেরি চলাচল করে, তাই ঘাটেই বসে থাকতে হয়। ফেরি সচল না হওয়া পর্যন্ত ভোগান্তি পোহাতে হবে বলেও তিনি জানান।

কয়েকজন ট্রাক চালক জানান, ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটটি গুরুপ্তপূর্ণ হলেও অবহেলিত। একের পর এক সমস্যা লেগেই আছে। এখাতে বাড়তি ফেরি প্রয়োজন। সামনে ঈদ খুব দ্রুত ফেরীর সমস্যার সমাধান না হলেও ভোগান্তির সীমা থাকবে না। 

তারা জানান, দুইটি সচল ফেরি দিয়ে কিছুটা যানবাহন পারাপার হলেও ফেরির ট্রিপ কমে যাওয়ায় উভয়পাড়ে পরিবহনের দীর্ঘলাইন জটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগ আর ভোগান্তির মধ্যে পড়েছে ট্রাক ও পরিবহন শ্রমিকরা। কবে নাগাদ ফেরি সচল হবে তাও জানে না কেউ। বেশিরভাগ ট্রাকই ঘাটে ৫/৬ দিন ধরে আটকে আছে। একের পর এক সমস্যার কারণে এ রুটটি এখন বিড়ম্বনায় আর ভোগান্তিতে অতিষ্ঠ চলাচলকারীরা। তাই এখানে অন্তত ৫টি ফেরি যুক্ত করার দাবি তাদের।

খুব দ্রুত ফেরি সচল হবে বলে জানিয়েছেন ফেরির বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) ম্যানেজার মো. এমরান খান।

তিনি বলেন, ৩টির মধ্যে দুইটি ফেরি বিকল রয়েছে, সেগুলো মেরামত কাজ চলছে। ঘাটের জট কমাতে আরও একটিসহ মোট দুইটি ফেরি চলছে। ২/১ দিনের মধ্যে সব ফেরি সচল হবে বলে আশা করছি। ফেরিগুলো সচল হলে এক সপ্তাহের মধ্যে জট কমে যাবে বলেও জানান তিনি।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads