• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮

যোগাযোগ

প্রবল স্রোতেও থেমে নেই নদীশাসনের কাজ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৯

নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে না পারায় চলতি বছর প্রথমবারের মতো বর্ষা মৌসুমেও চালিয়ে নেওয়া হচ্ছে পদ্মা সেতুর নদীশাসনের কাজ। তাই কাজে গতি এলে মূল সেতুর আগেই নদীশাসনের কাজ শেষ করার ব্যাপারে আশাবাদী প্রকল্প পরিচালক। গত বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করতে না পারায় প্রকল্পের মেয়াদ আরো দুই বছর বাড়াতে চায় চীনের সিনোহাইড্রো কোম্পানি।

বর্ষার প্রবল স্রোতে অনেকটাই থেমে আছে পদ্মা সেতুর কাজ। গত ২ মাসেও বসানো যায়নি নতুন কোনো স্প্যান। বর্ষা সবচেয়ে বেশি সমস্যা সৃষ্টি করে নদীশাসনের কাজে। তাই গত ৩ বছর বর্ষায় কাজ বন্ধ থাকায় নির্ধারিত সময়ে তা শেষ করা যায়নি। এ কারণে পাল্টে নিতে হয়েছে পরিকল্পনা।

গত মৌসুমগুলোর অভিজ্ঞতা থেকে এবার বর্ষার চরম প্রতিকূলতার মধ্যেই চালিয়ে নেওয়া হচ্ছে নদীশাসনের কাজ। পদ্মার মাওয়া প্রান্তে দেড় কিলোমিটার, আর জাজিরা প্রান্তে সাড়ে ১০ কিলোমিটার, সব মিলিয়ে ১২ কিলোমিটার নদীর পাড় ও তলদেশে করা হচ্ছে নদীশাসন। এ এলাকায় প্রতিদিন ফেলা হচ্ছে হাজার হাজার বালির বস্তা, কংক্রিটের ব্লক।

কাজের বর্তমান অগ্রগতিতে আশাবাদী প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, কাজের অগ্রগতি হয়েছে। আমাদের কর্মীদের অভিজ্ঞতা বেড়েছে। নদীশাসনের কাজ পিছিয়ে আছে। তবে ১ বছর পর দেখা যাবে নদীশাসনের কাজে ব্রিজের কাজের চেয়ে অগ্রগতি হয়েছে।

প্রাথমিকভাবে মূল সেতুর মতো নদীশাসনের কাজও শেষ করার কথা ছিল ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে। পরে মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে আরো এক বছর। ফের মেয়াদ বাড়ানোর কথা বলছে সিনোহাইড্রো কোম্পানি। শফিকুল ইসলাম বলেন, দুপক্ষকেই আমরা বলব এই সময়ের পর আর সময় তোমরা পাবে না। এটা নিয়ে আমরা কাজ করছি।

সেতুর বাকি প্রকল্প এপ্রোচ রোড, সার্ভিস এরিয়া ও পুনর্বাসনের কাজ শতভাগ শেষ। মূল সেতুর কাজে ৮৩ ভাগ অগ্রগতি হলেও নদীশাসনের কাজ হয়েছে সবচেয়ে কম, মাত্র ৬১ ভাগ।

নদীতে তীব্র স্রোতের কারণে আগের তিন বছরে নদীশাসনের কাজ বন্ধ রাখা হয়েছিল। এত লম্বা সময় কাজ বন্ধ থাকার কারণে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি। এবার তাই কাজের মেয়াদ বাড়ানোর পাশাপাশি বর্ষা মৌসুমেও চলছে নদীশাসনের কাজ।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads