• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮

যোগাযোগ

সড়ক রক্ষায় বসানো হবে এক্সেল লোড

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯

যানবাহনের অতিরিক্ত ওজনের (ওভারলোড) কারণে নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষ হচ্ছে সড়কের আয়ুষ্কাল। সড়কের এমন পরিণতি ঠেকাতে গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কের উৎসমুখে এক্সেল লোড নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ)। অনুমোদিত সীমার অতিরিক্ত পণ্য পরিবহন রোধ করতে পারলে কম ক্ষতিগ্রস্ত হবে সড়ক। আজ মঙ্গলবার একনেক সভায় প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে।

যেসব স্থানে এক্সেল লোড বসানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে সেগুলো হলো- গাজীপুর সদর, কেরানীগঞ্জ, ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট, শেরপুর নালিতাবাড়ি, কুমিল্লার বুড়িচং, ফেনী সদর, চট্টগ্রামের সাতকানিয়া, চট্টগ্রাম সদর, সীতাকুণ্ড, নরসিংদীর শিবগঞ্জ, সিলেটের বিয়ানীবাজার, খুলনার রামপাল, সাতক্ষীরা সদর, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা, দিনাজপুরের হাকিমপুর, কুড়িগ্রামের রৌমারী, পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া, সৈয়দপুর, শিবচর ও কালিহাতী উপজেলা।

পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সহকারী প্রধান (ভৌত অবকাঠামো বিভাগ) নাজমুল হাসান বলেন, সওজ আওতাধীন গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কে পণ্য পরিবহনের উৎসমুখে এক্সেল লোড নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের আওতায় এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৬৩০ কোটি টাকা। চলতি সময় থেকে ২০২২ সালের জুন মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। এর আওতায় ৯০ সেটওয়ে ইন মোশন স্কেল, ৩১ সেট স্ট্যাটিক ওয়ে ব্রিজ স্কেল স্থাপন ও কমিশনিং করা হবে।

উল্লেখ্য, সওজের আওতায় মোট ২১ হাজার ৩০২ কিলোমিটার সড়ক রয়েছে। এসব সড়কের ডিজাইন লাইফ ১০ থেকে ২০ বছর ধরে গেজেট প্রকাশ করা হয়। এতে সড়কে কী পরিমাণ পণ্য পরিবহন করা যাবে সে বিষয়ে স্পষ্ট করে নির্দেশনা দেওয়া রয়েছে। দুই চাকাবিশিষ্ট ফ্রন্ট এক্সেল ও চার চাকাবিশিষ্ট রেয়ার এক্সেলের ওজনসীমা ধরা হয়েছে সাড়ে ১৫ টন, যা বাংলাদেশে চলাচলকারী অধিকাংশ যানবাহন ডাবল এক্সেল অর্থাৎ ছয় চাকাবিশিষ্ট পরিবহনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, মহাসড়কগুলোতে ২০ থেকে ৩০ টন ওজনের ট্রাক বা কাভার্ডভ্যান চলাচল করে। ফলে নির্ধারিত আয়ুষ্কালের আগেই অনেক সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ ও পুনর্বাসনের জন্য অপচয় হচ্ছে অর্থ। এছাড়া অতিরিক্ত ওজন বহনকারী যানবাহনও সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ। প্রকল্পের আওতায় ভূমি অধিগ্রহণ করা হবে। নির্মাণ করা হবে ভবন, কন্ট্রোলরুম, বুথ, রোড ব্যারিয়ার, আরসিসি ড্রেন, পার্কিং অ্যারিয়া, ক্যাফেটেরিয়া।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads