• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯

যোগাযোগ

দেবে যাচ্ছে শতবর্ষী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ

ওপর দিয়ে নতুন রেলসেতু নির্মাণের পরিকল্পনা

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯

বয়সের ভারে দেবে যাচ্ছে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ। বর্তমানে রেলসেতুটি ঝুঁকিতে রয়েছে। এই ঝুঁকি এড়াতে দ্রুত সময়ের মধ্যে নতুন করে রেলসেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী রেলওয়ে স্টেশনের কাছাকাছি ওই সেতুটি পাবনা ও কুষ্টিয়া জেলাকে সংযুক্ত করেছে। নতুন রেলসেতুর অবস্থান ও দৈর্ঘ্য একই হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, হার্ডিঞ্জ ব্রিজের ওপর দিয়ে নতুন রেলসেতু নির্মাণের জন্য সমীক্ষা প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। ইতোমধ্যে প্রকল্পের ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা) পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। ‘টেকনিক্যাল অ্যাসিসট্যান্স (টিএ) ফর রেলওয়ে কানেকটিভিটি ইম্প্রুভমেন্ট প্রিপারেটরি ফ্যাসিলিটিটি (আরসিআইপিএফ) প্রজেক্টের আওতায় এমন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে সুবিধাদি প্রস্তুতিমূলক কারিগরি সহায়তা প্রকল্প এটি।

২৫৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। কারিগরি সহায়তা প্রকল্পটি বাস্তবায়নের পরই রেলসেতু নির্মাণের মূল প্রকল্প নেওয়া হবে। বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলে হার্ডিঞ্জ ব্রিজের ওপর বিদ্যমান রেলসেতুর সমান্তরালে নতুন একটি সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। নতুন রেলসেতু নির্মাণের জন্য বিশদ নকশাসহ সম্ভাব্যতা সমীক্ষা করা হবে।

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোফাজ্জেল হোসেন বলেন, হার্ডিঞ্জ ব্রিজের বয়স ১০০ বছর পেরিয়ে গেছে। বয়সের ভারে সেতুটি বসে যাচ্ছে। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে এই সেতুর ওপর দিয়ে নতুন রেলসেতু নির্মাণ করব। রেলসেতুটি নির্মাণের আগেই আমরা সম্ভাব্যতা যাচাই করব।

তিনি বলেন, আমরা রেলপথে কোনো ঝুঁকি নিতে চাই না। বিদ্যমান হার্ডিঞ্জ ব্রিজকে যত দ্রুত মুক্ত করতে পারব ততই মঙ্গল। বিদ্যমান সেতুর ওপর দিয়েই নতুন রেলসেতু হবে।

রেলপথ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য রেলওয়ের জমি সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়কে দেওয়া হয়েছে। তবে হার্ডিঞ্জ ব্রিজের ওপর দিয়ে নতুন রেলসেতু নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় জমি রেখে দেওয়া হয়েছে। বিদ্যমান হার্ডিঞ্জ ব্রিজের দৈর্ঘ্য এক হাজার ৭৯৮.৩২ মিটার বা ৫ হাজার ৮৯৪ ফুট বা ১.৮ কিলোমিটার। নতুন রেলসেতুর দৈর্ঘ্যও একই হবে। ওপরে দুটি ব্রডগেজ রেললাইন নির্মাণ করা হবে।

প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সাউথ এশিয়া সাব-রিজিওনাল ইকোনমিক কো-অপারেশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এতে ১৮০ কোটি ৫০ লাখ টাকা ঋণ দেবে এডিবি।

বর্তমান সেতুটির নির্মাণকাল ১৯০৯-১৯১৫। শত বছর পেরিয়ে গেছে রেলসেতুটির আয়ুষ্কাল। বাংলাদেশের সবচেয়ে দীর্ঘ রেলসেতু হিসেবে পরিচিত এটি।

তৎকালীন ভাইসরয় লর্ড হার্ডিঞ্জের নাম অনুসারে এই সেতুর নামকরণ করা হয়। তাই নতুন রেলসেতু নির্মাণ করলেও বিদ্যমান ঐতিহাসিক সেতুটি রেখে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads