• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
'দুই বছরের মধ্যে গণপরিবহনে পরিবর্তন দৃশ্যমান হবে'

সংগৃহীত ছবি

যোগাযোগ

'দুই বছরের মধ্যে গণপরিবহনে পরিবর্তন দৃশ্যমান হবে'

  • প্রকাশিত ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেছেন, আগামী দুই বছরের মধ্যে গণপরিবহনে ইতিবাচক পরিবর্তন দৃশ্যমান হবে।

তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন শহরে বিভিন্ন দুর্ঘটনা ঘটছে, এটা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। এসব দুর্ঘটনায় অনেকে প্রাণ হারাচ্ছেন। কেউবা আহত হচ্ছেন। বর্তমান সরকার গণপরিবহন খাতের সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে আমাকে প্রধান করে কমিটি গঠন করেছে। এ কমিটি নগরবাসীর কাছে দুই বছর সময় চেয়েছে। এ সময়ের মধ্যে রাজধানীর গণপরিবহন খাতের ইতিবাচক পরিবর্তন শুরু হবে।’

রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনের কাউন্সিল হলে আজ শনিবার ‘গণপরিবহনের শৃঙ্খলা রক্ষায় করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে মেয়র প্রধান অতিথির বক্তৃতা করছিলেন।

ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশের (আইইবি) পুরকৌশল বিভাগ এবং নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরাম যৌথভাবে এ গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে।
আইইবির পুরকৌশল বিভাগের সভাপতি প্রকৌশলী মো. হাবিবুর রহমানের সভাপত্বিতে গোলটেবিল বৈঠকে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন আইইবির ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী মো. নুরুজ্জামান, সম্মানী সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মনজুর মোর্শেদ, পুরকৌশল বিভাগের সম্পাদক প্রকৌশলী শেখ তাজুল ইসলাম তুহিন, বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সাধারণ সম্পাদক ড. আদিল মুহাম্মদ খান, নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরাম-বাংলাদেশের সভাপতি অমিতোষ পাল ও সাধারণ সম্পাদক মতিন আব্দুল্লাহ। বৈঠকের সঞ্চালনা করেন আইইবির পুরকৌশল বিভাগে ভাইস-চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান।

মেয়র বলেন, ইতোমধ্যে গণপরিবহনের শৃঙ্খলা রক্ষায় ধানমন্ডি-নিউমার্কেট, এয়ারপোর্ট-গুলিস্তান এবং উত্তরা চক্রাকার বাস সার্ভিস চালু করা হয়েছে। এরমধ্যে কিছুটা সমস্যা দেখা দেয়ায় উত্তরা চক্রাকার বাস বন্ধ করা হয়েছে। নতুন করে পুরান ঢাকায় চক্রাকার বাস সার্ভিস চালু করা হবে। এভাবে ধারাবাহিকভাবে একটু একটু পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে দুই বছরে দৃশ্যমান পরিবর্তন আসবে।

তিনি বলেন, গত একদশকে নগরী যেভাবে প্রবৃদ্ধি ঘটেছে, সে অনুযায়ী নগরের সেবাদাতা সংস্থাগুলো প্রবৃদ্ধি ঘটাতে সক্ষম হয়নি। যার ফলে যখন পরিবহনে সমস্যা দেখা দেয়, তখন তা সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয়। আবার যখন মশা বাহিত রোগ দেখা দেয় তখন তা নিয়ন্ত্রণ করতে হিমশিম খেতে হয়। তবে এখন সময় এসেছে সক্ষমতা বাড়ানোর এবং সমন্বয়হীনতা দূর করানোর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেবাদাতা সংস্থাগুলোর সক্ষমতা বাড়াতে এবং সমন্বয়হীনতা দূর করতে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া তিনি প্রকৌশলীদের ইলেকট্রিক গণপরিবহনের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের আহবান জানান।

ট্রাফিকের ডিসি প্রবীর কুমার রায়, পরিবহন বিশেষজ্ঞ ড. এস এম সালেহ উদ্দিন, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মিজানুর রহমান ও গণপরিবহন গবেষক প্রকৌশলী ড. আব্দুল আল মামুন বৈঠকে বক্তব্য রাখেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads