• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯
মেট্রোরেলের নিরাপত্তায় হচ্ছে পুলিশ ইউনিট

ছবি : সংগৃহীত

যোগাযোগ

মেট্রোরেলের নিরাপত্তায় হচ্ছে পুলিশ ইউনিট

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেট্রোরেলের নিরাপত্তার জন্য পুলিশের পৃথক ইউনিট গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। গতকাল সোমবার ঢাকায় মেট্রোরেল প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে গণভবনে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন দেখার সময় তিনি এই নির্দেশনা দেন। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মেট্রোরেলের সিকিউরিটির জন্য মেট্রোরেল পুলিশ থাকবে। তাদের ট্রেনিং দিতে হবে। তিনি ঢাকার সাবেক পুলিশ কমিশনার ও বর্তমানে জাতীয় নিরাপত্তা সেলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আছাদুজ্জামান মিয়াকে নতুন এই ইউনিট গঠনের প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত করেছেন। 

ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনে মেট্রোরেল প্রকল্পের অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরেন। তিনি বলেন, দেশের প্রথম মেট্রোরেলের নির্মাণকাজের সার্বিক গড় অগ্রগতি ৩০ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ। প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশে অগ্রগতি ৪৬ শতাংশ। দ্বিতীয় পর্যায়ে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত অংশে অগ্রগতি ২৩ দশমিক ৫০ শতাংশ। ইলেকট্রিক্যাল, মেকানিক্যাল সিস্টেম ও রোলিং স্টক (রেলকোচ) ও ডিপো ইকুইপমেন্ট সংগ্রহ কাজের সমন্বিত অগ্রগতি ১৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ। 

২০১৩ সালের ৩ জুন ঢাকা ও আশপাশের এলাকার যানজট নিরসন ও পরিবেশ উন্নয়নে আধুনিক গণপরিবহন ব্যবস্থা হিসেবে ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) বা মেট্রোরেলের পরিকল্পনা, সার্ভে, ডিজাইন, অর্থায়ন, নির্মাণ, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ডিএমটিসিএল গঠন করা হয়। এর ধারাবাহিকতায় ২০৩০ সালের মধ্যে ছয়টি মেট্রোরেলের সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার জন্য পরিকল্পনা নেয় সরকার।

এর মধ্যে এমআরটি-৬ এ উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজ এগিয়েছে সবচেয়ে বেশি। প্রথম পর্যায়ে এই প্রকল্প বাস্তবায়নে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সময় ধরা হলেও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পরে তা এগিয়ে আনা হয়। এই প্রকল্পের প্রথম ধাপ উত্তরা থেকে আগারগাঁওয়ে এ বছরের শেষ নাগাদ ট্রেন চালুর একটা পরিকল্পনা ছিল। দ্বিতীয় ধাপ আগারগাঁও থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত ২০২০ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে বলে গত অক্টোবরে বলেছিলেন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তবে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী জাপান সরকারের দাতা সংস্থা জাইকার একটি প্রতিনিধি দল গত ফেব্রুয়ারিতে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের সঙ্গে সাক্ষাতে এমআরটি-৬ প্রকল্পের কাজ ২০২২ সালে শেষ হবে বলে জানিয়েছিলেন।

গণভবনে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান, সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আখতার হোসেন ভূঁইয়া প্রমুখ।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads