• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
সংস্কারের অভাবে বড়াইগ্রাম সড়কের বেহাল অবস্থা

চাটমোহর-বড়াইগ্রাম খানাখন্দে সড়কে জোনাইলে জলাবদ্ধতার মধ্য দিয়ে গাড়ি পারাপার হচ্ছে।

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

যোগাযোগ

সংস্কারের অভাবে বড়াইগ্রাম সড়কের বেহাল অবস্থা

  • চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৬ অক্টোবর ২০১৯

পাবনার চাটমোহর-নাটোরের বড়াইগ্রাম সড়কটি দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে বেহাল অবস্থা বিরাজ করছে। বর্তমানে রাস্তাটির বিভিন্ন জায়গায় বিটুমিন, কাপেটিংয়ের পাথর, খোয়া উঠে গিয়ে বড় বড় খানাখন্দকের সৃষ্টি হয়েছে। যার কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে প্রাণহানিসহ নানা দুর্ঘটনা। তবুও নজর নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। সড়কটির খানা খন্দকের কারণে যানবাহনসহ যাত্রীদের ভোগান্তি বেড়েছে।

জানা গেছে, গোপালপুর ও বড়াইগ্রামের জোনাইল, বাগডোব, লক্ষিকোলসহ কয়েকটি চিহ্নিত স্থানে রাস্তা ভেঙ্গে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। যে কোন মহুর্তে এসকল স্থানে দুর্ঘটনায় প্রাণহানির আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। অভিযোগ উঠেছে, সড়কটি পাকা করণের সময় পর্যাপ্ত পরিমাণ বালি, ইটের খোয়া, বিটুমিন, পিচ ও নি¤œমানের উপকরণ দিয়ে কাজ করার ফলে বেহাল অবস্থার পরিণত হয়েছে। মাঝের মধ্যে গর্ত গুলোতে ইট পাটকেল দিয়ে মেরামত করলেও কয়েকদিন যেতে না যেতেই খানা খন্দকের সৃষ্টি হয়।

অপরদিকে চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া, ফরিদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী রিফাত রোগীগুলো এ্যামবুলেন্স নিয়ে চাটমোহর-বড়াইগ্রাম সড়ক দিয়ে যেতে হয়। রাস্তাটি বেহাল দশার কারণে দ্রুত যেতে পারছে না।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চাটমোহর বাস টারমির্নাল থেকে জোনাইল হয়ে লক্ষিকোল বাজার পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার রাস্তাটি বিভিন্ন অংশে ভেঙ্গে হাজারো ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এ রুট দিয়ে প্রতিনিয়ত শতশত যানবাহন চলাচল করছে। অসংখ্য গর্তের কারণে যাত্রীবাহী বাস-ট্রাক, সিএনজি, নছিমন-করিমন ও মটর-সাইকেলসহ বিভিন্ন ধরণের যানবাহন চলাচল করতে গিয়ে নানা বিরম্বনায় পড়তে হচ্ছে বলে একাধিক চালকরা জানিয়েছেন।

একটু বৃষ্টি হলেই ভাঙা জায়গা গুলোতে পানি জমে জলাবদ্ধতার কারণে দিনে কিংবা রাতে চলাচলের সময় ঘটে চলেছে ছোট-বড় দূর্ঘটনা। সাপ্তাহিক হাট বারে সড়কটি ব্যস্ততম হয়ে উঠে। হাজারো মানুষ জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে। বড়াইগ্রাম উপজেলার জোনাইল এলাকার আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ বিরাজ আহম্মেদ বলেন, রাস্তাটির এই বেহাল দশা আজ প্রায় দীর্ঘ ১৫ বছর যাবৎ। সড়কটি দিয়ে রাজধানী ঢাকা, নাটোর, রাজশাহীসহ বিভিন্ন স্থানে যাত্রীবাহী বাস চলাচল করতে গিয়ে দূর্ভোগের মধ্যে পড়েছে। সঠিক সময়ে বাস গুলো গন্তব্যেস্থলে পৌচ্ছাতে পারছে না।

চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এ্যাম্বুলেন্স চালক মোঃ আব্দুস সোবহান বলেন, রোগীদের নিয়ে খানাখন্দ সড়ক দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে। ঝাঁকুনিতে রোগীরা আরো অসুস্থ্য হয়ে পড়েছে। দ্রুত রাস্তাটি সংস্কার করা প্রয়োজন। পাবনা সড়ক ও জনপথ বিভাগের জনৈক এক কর্মকর্তা জানান, চাটমোহর বাসট্রান্ড থেকে হরিপুর রোড়ে সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। বৃষ্টির জন্য কাজ বিলম্ব হচ্ছে। জোনাইল থেকে লক্ষিকোল বাজার পর্যন্ত প্রায় ১২ কিলোমিটার সড়কটি নাটোর জেলার অন্তভুক্ত। এলাকাবাসী অবহেলিত সড়কটি সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads