• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
'গণবিরোধী ধর্মঘট' শক্ত হাতে প্রতিহতের আহ্বান

ফাইল ছবি

যোগাযোগ

'গণবিরোধী ধর্মঘট' শক্ত হাতে প্রতিহতের আহ্বান

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২১ নভেম্বর ২০১৯

পরিবহন শ্রমিকদের স্বেচ্ছায় কর্মবিরতির নামে সাধারণ জনগণের দুর্ভোগে ফেলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি। একই সঙ্গে সড়ক পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের অযৌক্তিক দাবির কাছে নতিস্বীকার না করে গণবিরোধী এ ধর্মঘট শক্ত হাতে প্রতিহতের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।

আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জাতীয় কমিটির সভাপতি হাজী মোহাম্মদ শহীদ মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে বলেন, গতকাল বুধবার রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতাদের বৈঠকে উভয়পক্ষ থেকে ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা আসে। অথচ খুলনা, সাতক্ষীরা, কুষ্টিয়া, টাঙ্গাইল ও বগুড়াসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় আজও ধর্মঘট অব্যাহত রয়েছে। ফলে একদিকে সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে, অন্যদিকে পণ্য পরিবহন বন্ধ থাকায় ঢাকাসহ বড় শহরগুলো মাছ ও শাকসবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের সংকট সৃষ্টি এবং মূল্য বেড়ে যাচ্ছে।

নতুন সড়ক আইন নিয়ে পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতাদের এমন আচরণের কঠোর সমালোচনা করে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সরকারের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সাধারণ জনগণকে জিম্মি করে অন্যায্য দাবি আদায় মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়।

এ ধরনের গণবিরোধী তৎপরতা থেকে পিছিয়ে আসার জন্য পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান সংগঠনটির নেতারা। একই সঙ্গে সড়কে নৈরাজ্য বন্ধ ও জনদুর্ভোগ লাঘবে কঠোর অবস্থান নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান তারা।

সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাসসহ গণপরিবহন খাতে বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্য ঠেকাতে বিভিন্ন মহলের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের সেপ্টেম্বরে জাতীয় সংসদে নতুন আইন তথা ‘সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮’ পাস হয়। গত ১ নভেম্বর থেকে আইনটি বাস্তবায়নের ঘোষণা দিয়ে এর ১৫ দিন আগে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার।

এরপর নতুন আইন সম্পর্কে সকল মহলের সচেতনতা সৃষ্টির জন্য প্রথম দফায় এক সপ্তাহ ও পরে আরও কিছুদিন সময় দিয়ে ১৮ নভেম্বর থেকে আইনটি কার্যকর করা হয়। ওইদিন থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে শুরু হয় অঘোষিত সড়ক পরিবহন ধর্মঘট।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads