• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
ঢালাই দেওয়ার রাতেই চান্দের পাড়া ব্রীজে ধ্বস

চান্দের পাড়া ব্রীজের ধ্বস

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

যোগাযোগ

নির্মাণ কাজে চরম দূর্নীতি

ঢালাই দেওয়ার রাতেই চান্দের পাড়া ব্রীজে ধ্বস

  • কক্সবাজার প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৬ ডিসেম্বর ২০১৯

ঢালাই দেওয়ার রাতেই ধ্বসে পড়েছে নির্মানাধীন ব্রীজ। শহরের চান্দের পাড়া ব্রীজটি দীর্ঘ ৩বছর ধরে নির্মানাধীন ব্রীজটি তড়িঘড়ি করে ঢালাই দিতে গেলে এই বিপত্তিঘটে বলে জানান এলাকাবাসী। তাদের দাবী ব্রীজ নির্মাণে চরম অনিয়ম দূর্নীতির কারনে ছাদ ঢালাই দেওয়ার রাতেই ব্রীজটি ধ্বসে পড়েছে। এলাকাবাসীর দাবী প্রকৌশলী সহ ঠিকাদার মিলে চরম দূর্নীতি হওয়ায় এই অবস্থা। এতে এলাকাবাসী চরম অসুবিধায় আছে।

জানা গেছে কক্সবাজার শহরের বিজিবি এলাকা এলাকা থেকে ভেতরের রাস্তা দিয়ে চান্দের পাড়া এলাকা হয়ে পিএমখালী যাওয়ার একমাত্র রাস্তাকে ২০১৭-১৮ সালে কক্সবাজার সদর উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতায় প্রায় ১ কোটি ১৭ লাখ টাকা ব্যায়ে একটি ব্রীজ নির্মাণ করার টেন্ডার হলেও সেটা দীর্ঘ ২ বছর পার হলেও এখনো ব্রীজের ছাড় পর্যন্ত ঢালাই হয়নি। স্থানীয় আবদুল্লাহ বলেন,চান্দের পাড়া ব্রীজটি দীর্ঘ ২/৩ বছর ধরে অকেজো হয়ে পড়েছে আছে কয়েকমাস পর পর একবার কাজ ধরে অল্প কিছু কাজ করে আবার কোথাও উদাও হয়ে যায়। এতে এলাকা প্রায় ৫ লাখের বেশি মানুষ জিম্মি হয়ে আছে। আর কিছু দিন আগে দৈনিক কক্সবাজার পত্রিকায় চান্দের পাড়া ব্রীজ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হলে অনেকটা তড়িঘড়ি করে ব্রীজের ছাদ ঢালাই দেওয়ার কাজ শুরু করে। তবে সেখানেও ঘটেছে চরম বিপত্ত।

বুধবার বিকালে ব্রীজের ছাদ ঢালাই দেওয়ার কাজ শেষ হলে রাতেই ধ্বসে পড়ে ব্রীজটি। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে ঢালাই কাজ শেষ হলে সবাই যখন চলে যায় তখন হঠাৎ করে ব্রীজের ডান পাশের সেন্টারিং খুলে দিয়ে ব্রীজে অনেকটা ঢালাই ভেঙ্গে পড়ে এবং এক পাশে ধ্বসে পড়েছে। পরে বৃহস্পতিবারে অনেক লোকজন এসে আবার ঠিক করার চেস্টা করতে দেখা গেছে। তবে স্থানীয়দের দাবী মুলত নীচের পিলার গুলো করা হয়েছে অনেক আগে তাও খুব বাজে ভাবে কাজ করে। এখানে কাজের দায়িত্বে থাকা স্বপন এবং ফিরোজ খুবই অনিয়ম দূর্নীতি করে যেনতেন ভাবে কাজ শেষ করে দায়িত্ব সারাতে চাইছে। আর তাদের প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করছে সদর উপজেলার প্রকৌশল অফিসের কর্মকর্তারা।

এদিকে ব্রীজ ধ্বসে পড়া নিয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন, একপাশ থেকে কিছুটা সমস্যা হওয়ায় সেন্টারিং খুলে গেছে তাই কিছুটা সমস্যা হয়েছে। ইতি মধ্যে সেটা ঠিক করার কাজ চলছে। এদিকে এলাকাবাসীর দাবী যতদিন ব্রীজের কাজ শেষ না হয় ব্রীজের পাশে একটি বিকল্প সড়ক করে দেওয়া যাতে সহজেই ছোটখাট গাড়ী পার হতে পারে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads