• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
চার মাসেও সচল হয়নি দৌলতদিয়া ফেরিঘাট   

ছবি: বাংলাদেশের খবর

যোগাযোগ

কাজের মান নিয়ে নানা প্রশ্ন  

চার মাসেও সচল হয়নি দৌলতদিয়া ফেরিঘাট   

  • গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৭ ডিসেম্বর ২০১৯

তীব্র নদীভাঙনের কবলে পড়ে দেশের গুরুত্বপূর্ণ দৌলতদিয়ার দুটি ফেরিঘাট বিলীন হওয়ার ৪ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো সচল করা সম্ভব হয়নি। ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণকাজ চলছে অত্যন্ত ধীরগতিতে। এদিকে নির্মাণকাজের মান নিয়েও উঠেছে নানা অভিযোগ। জানা যায়, চলতি বছর জুলাই মাসে তীব্র ভাঙনে ব্যস্ততম দৌলতদিয়া ২টি ঘাট সম্পূর্ণ ও একটি ফেরিঘাট আংশিক বিলীন হয়ে যায়। ফলে ওই ঘাট দিয়ে বন্ধ হয়ে যায় যানবাহন পারাপার। এরপর ঘাটগুলো পুনঃস্থাপন ও অ্যাপ্রোচ সড়ক তৈরি এবং যানবাহন পারাপারে উপযোগী করে তোলার জন্য ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ পায় মেসার্স ডালাস ইন্টারন্যাশনাল নামে ঢাকার একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ওই ঘাটগুলো তাদের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালনের কথা। তাই তারা ধীরগতিতে নির্মাণকাজ করছে। ঘাটগুলো দিয়ে যানবাহন পারাপার শুরু হলে রক্ষণাবেক্ষণের অর্থ বাঁচাতেই এই কৌশল বলে সংশ্লিষ্ট অনেকেই অভিযোগ করেন।

সরেজমিন দেখা যায়, ১নং ঘাটে উঁচু রাস্তা ভেকু দিয়ে কেটে অত্যন্ত খাড়াভাবে অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে। আবার সংলগ্ন এলাকায় নদীর অন্তত ২৫ থেকে ৩০ ফুট গভীর পানির মধ্যে ফেলা হচ্ছে নিম্নমানের ইটের খোয়া ভর্তি প্লাস্টিকের বস্তা। এ সময় ১৫-২০ জন শ্রমিক কাজ করতে দেখা যায়। এ সময় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে মেসার্স বেলাল এন্টারপ্রাইজ নামে অপর একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অধীনে কর্মরত ম্যানেজার বেলাল জানান, সাব-কন্ট্রাক নিয়ে এ কাজ পরিচালনা করছে তারা। ২নং ঘাটে দেখা যায়, অ্যাপ্রোচ সড়কের কাজ শেষ করে তার মাথায় একটি পন্টুন বসানো হয়েছে। বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ ঘাটটি সচল দাবি করলেও তাতে যানবাহন পারাপার হতে দেখা যায়নি।

আক্কাছ আলী নামে এক ট্রাকচালক বলেন, ‘এ ঘাটগুলো যেভাবে তৈরি হচ্ছে তাতে মালবোঝাই ট্রাক ফেরি থেকে নেমে ওপরে উঠতে সমস্যা হবে। অ্যাপ্রোচ সড়কগুলো আরো দূর থেকে কেটে কিছুটা ঢালু করা দরকার ছিল।  

ঘাটের যানবাহন পারাপার স্বাভাবিক রাখতে ২০১৭ সালে প্রায় ২ কোটি ৯৫ লাখ টাকা ব্যয়ে রাজবাড়ী সওজ বিভাগের তত্ত্বাবধায়নে ঘাট দুটি নতুনভাবে নির্মাণ করা হয়। চলতি বছর বর্ষা মৌসুমে পাউবো ও বিআইডব্লিউটিএসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ হাজার হাজার জিও ব্যাগ ফেলেও ভাঙনের হাত থেকে ঘাট দুটি রক্ষা করতে পারেনি। 

বিআইডব্লিউটিএর দায়িত্বরত প্রকৌশলী শাহ আলম জানান, এক সপ্তাহ আগে ২নং ঘাটটির নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। আগামী ৩-৪ দিনের মধ্যে ১নং ঘাটের কাজও শেষ হয়ে যাবে। গভীর পানিতে খোয়াভর্তি বস্তা ফেলার বিষয়ে বলেন, ওই বস্তাগুলো পন্টুনের র্যাম স্থাপনের জন্য ফেলা হচ্ছে।

বিআইডব্লিউটিসি ব্যবস্থাপক আবু আবদুল্লাহ রনি জানান, ইতোমধ্যে ২নং ফেরি ঘাটটি সচল ঘোষণা ও ১নং ঘাটের নির্মাণকাজ চলছে। তবে ১নং ঘাটের পন্টুন ৩নং ঘাটে স্থাপন করে সেখান দিয়ে যানবাহন ওঠানামা করছে। তাই তেমন একটা সমস্যা হচ্ছে না। 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads