• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
 ব্যবহৃত হচ্ছে মাটির পরিবর্তে বালু

কক্সবাজারে রেললাইন নির্মাণকাজে ব্যবহার করা হচ্ছে মাটির পরিবর্তে বালু

ছবি: বাংলাদেশের খবর

যোগাযোগ

দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন নির্মাণ

ব্যবহৃত হচ্ছে মাটির পরিবর্তে বালু

  • চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৪ জানুয়ারি ২০২০

চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজারের ঘুমধুম পর্যন্ত ১২৮ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণকাজে ব্যবহূত হচ্ছে মাটির পরিবর্তে বালু। ফলে বর্ষায় এ বালু গড়িয়ে দুপাশে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। অথচ সিডিউলে উল্লেখ রয়েছে, পলি মাটি দিয়ে রাস্তা ভরাট করে কমপেকশন করার জন্য।

জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার এ প্রকল্পটির নির্মাণকাজ পরিদর্শনে উচ্চ পর্যায়ের কোনো মনিটরিং দল না থাকায় ঠিকাদাররা যেনতেনভাবে কাজ এগিয়ে নিচ্ছে। এ রেললাইন নির্মাণের জন্য ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কাজ নির্দিষ্ট সময়ে শেষ করতে না পারলে প্রকল্পের ব্যয় বৃদ্ধি পাবে।

সূত্রমতে, চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজারের ঘুমধুম পর্যন্ত ১২৮ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণের জন্য এডিবি ও বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে জমির মালিকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের ভূমি হকুম দখল কর্মকর্তার বরাবরে ২ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এখনো পর্যন্ত অনেক ভূমি মালিক তাদের ক্ষতিপূরণের টাকা পাননি বলে অভিযোগ রয়েছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অবহেলার কারণে এখনো ৪০ শতাংশ কাজও সম্পন্ন হয়নি। প্রথমে ২০১০ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে এ কাজ সম্পন্ন করার তারিখ ধার্য থাকলেও পরবর্তী সময়ে নতুন মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়েছে ২০২২ সাল পর্যন্ত।

রেলের প্রকৌশলীরা জানান, প্রকল্পের আওতাধীন ১২৮ কিলোমিটার এলাকায় চারটি বড় সেতুসহ ৩৯টি সেতু নির্মাণ হবে। এর মধ্যে ২৮টি সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। বড় চারটি সেতু হচ্ছে- মাতামুহুরী নদী, মাতামুহুরী শাখানদী, খরস্রোতা শঙ্খ ও বাঁকখালী নদীর ওপর। এ রেললাইনের মধ্যে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে রামু পর্যন্ত ৮৮ কিলোমিটার, রামু থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার ও রামু থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত ২৮ কিলোমিটার। এ রেলপথের মধ্যে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া, কক্সবাজারের চকরিয়া, ডুলাহাজারা, ঈদগাহ, রামু, সদর ও উখিয়া এবং নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমে ৯টি রেলস্টেশন নির্মিত হবে। এই প্রকল্পকে পৃথক দুটি লটে ভাগ করা হয়েছে। একটি হচ্ছে, চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজারের চকরিয়া পর্যন্ত ৫০ কিলোমিটার। দ্বিতীয়টি, চকরিয়া থেকে কক্সবাজার সদর পর্যন্ত।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads