গণপরিবহনে নারীর যাতায়াত নিরাপদ করতে বসানো হবে সিসি ক্যামেরা। প্রতিটি পরিবহনে জরুরি প্রয়োজনে থাকবে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ফোন নম্বর ও যোগাযোগের ঠিকানা। পাশাপাশি প্রয়োজনে প্রতিটি রুটে ভ্রাম্যমাণ আদালতও পরিচালনা করা হবে।
গতকাল মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা এসব কথা জানিয়েছেন। তিনি রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে গণপরিবহনে নারীর নিরাপদ যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নয়ন শীর্ষক কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন। সে সময় বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
ফজিলাতুন নেসা আরো বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে নারীর ব্যাপক কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে। তবে কর্মস্থলে যাতায়াতের পথে নারীরা বিভিন্নভাবে নির্যাতিত হচ্ছেন। এমনকি নানা পরিস্থিতিতে অনেকে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছেন। এটা এখনই বন্ধ করতে হবে।
এ সময় তিনি বলেন, নারী নির্যাতন বিষয়ে আমাদের কোনো গবেষণা বা জরিপ নেই। তবে বর্তমানে গণমাধ্যম নারী নির্যাতনের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরছে। বিকৃত মস্তিষ্ক ও বিকৃত মানসিকতার অধিকারীরাই নারী নির্যাতনকারী ও ধর্ষণকারী। তাদের বিরুদ্ধে নারী সমাজকে প্রতিবাদী হতে হবে। তিনি বলেন, নারী নির্যাতন ও নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ এবং ইভটিজিংয়ের বিরুদ্ধে দেশে আইন রয়েছে আইনের কার্যকর প্রয়োগের পাশাপাশি সন্তানদের পরিবার থেকে নীতি-নৈতিকতা ও মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন করে গড়ে তোলা শিক্ষক-শিক্ষিকাসহ পিতা-মাতা ও অভিভাবকদের দায়িত্ব ।
মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও দীপ্ত ফাউন্ডেশনের যৌথ আয়োজনে এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী রওশন আক্তার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য এ্যারোমা দত্ত ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মহসিন চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য দেন কর্মসূচি পরিচালক ইয়ামিন খান।
সরকারের সহায়তায় একটি কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়ে দীপ্ত ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক জাকিয়া হাসান তার উপস্থাপনায় বলেন, এ বছর ৫০টি ও পরবর্তীতে ১৫০টি গণপরিবহনে স্থাপিত সিসি ক্যামেরা কেন্দ্রীয়ভাবে সার্ভারের সাথে সংযুক্ত থাকবে এবং একই সাথে অ্যাপসের সাথেও যুক্ত থাকবে। কর্মসূচিটি চারটি এলাকায় বাস্তবায়িত হবে।