শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ি নৌরুটে ঘনকুয়াশার কারণে ১৩ ঘন্টা ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। এর ফলে আজ বুধবার লৌহজংয়ের শিমুলিয়া ঘাটে যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে।
কুয়াশার কারণে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টায় দূর্ঘটনা এড়াতে ফেরী চলাচল বন্ধ করে দেয় বিআইডব্লিউটিসি কতৃপক্ষ। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কুয়াশা কমে যাওয়ায় ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়। ১৩টি ফেরী দিয়ে রাতের গাড়ি পার না হতেই বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘাট এলাকায় প্রচুর গাড়ি চলে আসায় চাপ সৃষ্টি হয়। ঘাট এলাকায় দক্ষিণবঙ্গগামী ৪০টি নাইটকোচসহ প্রাইভেট কার, ট্রাক ও কাভার ভ্যান ৫ শতাধিক পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। ছোট গাড়ি ও নাইটকোচগুলো অগ্রাধিকার দিয়ে পার করা হচ্ছে।
এর আগে, রাতে কুয়াশার সময় দুই পার থেকে ছেড়ে যাওয়া ৬টি ফেরি দিক র্নিণয় বয়াতি না দেখায় মাঝ নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে নোঙড়ে ছিল। ৪টি ফেরী শিমুলিয়া ঘাটে লোডে থাকা কুয়াশা কমায় ছেড়ে গিয়েছে। রাতে মাঝ নদীতে ও ঘাটে আটকে থাকা এ রুটের হাজারো যাত্রীদের কনকনে ঠান্ডা ও কুয়াশায় চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে।
মাওয়া বিআইডব্লিউটিসি ব্যাবস্থাপক ফয়সাল আহম্মেদ জানান, কুয়াশার কারণে গত রাত সাড়ে ৯টা থেকে আজ সকাল সাড়ে ১০ টা পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। ১৩ ঘন্টা বন্ধ থাকায় ৫ শতাধিক যানবাহন আটকে আছে। কুয়াশার কারণে মাঝ নদীতে রাতে ৬টি ফেরি নোঙড়ে ছিল। শিমুলিয়া ঘাটে ৪০ টির মত নাইটকোচ পার করার চেষ্টা চলছে।
১৩টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে, তবুও চাপ কমছে না। নতুন করে আরো গাড়ি এসে যোগ হচ্ছে। এতে করে যাত্রীদের দূর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।