• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
চাটমোহরে খানাখন্দ সড়কগুলো সংস্কারের উদ্যোগ নেই

চাটমোহর-মান্নাননগর সড়কের বেহাল অবস্থা

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

যোগাযোগ

চাটমোহরে খানাখন্দ সড়কগুলো সংস্কারের উদ্যোগ নেই

  • চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১২ মার্চ ২০২০

পাবনা জেলার সকল সড়ক, মহাসড়কের বেহাল অবস্থা। প্রতিটি সড়কেই অসংখ্য খানাখন্দ। কোন কোন স্থানে দেখতে কাঁচা সড়কের মতো। যা সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সংস্কারের উদ্যোগ নেই। চরম দুরাবস্থার মধ্যে পড়েছে এলাকাবাসী ও যানবাহন চালকরা। খোদ সড়ক বিভাগের কর্মকর্তারা স্বীকার করেছেন সড়ক, মহাসড়ক ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার কথা। চাহিদা অনুযায়ী বরাদ্দ না পাওয়ায় সেগুলো সংস্কার করা যাচ্ছে না বলে তারা জানিয়েছেন।

দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় দিন দিন বাড়ছে ভাঙা সড়কের পরিমাণ। যাত্রী আর চালকদের কাছে এখন মূর্তিমান আতংক হয়ে দাঁড়িয়েছে এসব সড়কগুলো। চলাচলের অনুপযুক্ত এসব সড়কে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা, নষ্ট হচ্ছে যানবাহন। সড়ক বিভাগের কর্মকর্তা বলছেন, জেলার সড়ক মহাসড়কগুলোর ৫০ শতাংশের বেশি ক্ষতিগ্রস্থ।

সড়ক বিভাগের তথ্য মতে, পাবনা জেলায় সড়ক বিভাগের আওতায় মোট সড়ক-মহাসড়ক রয়েছে ৫২১ দশমিক ৭১ কিলোমিটার। এর মধ্যে জাতীয় মহাসড়ক ১৫৯ দশমিক ৬১ কিলোমিটার, আঞ্চলিক মহাসড়ক ১৬৩ দশমিক ৪৭ কিলোমিটার এবং জেলা মহাসড়ক ১৯৮ দশমিক ৬৩ কিলোমিটার।

অপরদিকে জনগুরুত্বপূর্ণ চাটমোহর-মান্নাননগর সড়ক। সড়কটি এখনো উদ্বোধন হয়নি। চলনবিলের মাঝ দিয়ে নির্মিত সড়কটি এক সময় দেখতে এসেছিলেন সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। চলনবিলের মাঝ দিয়ে নির্মিত সড়কটি এলাকাবাসীর জন্য আশীর্বাদ। কিন্তু এই আশীর্বাদ ক্রমেই অভিশাপে পরিণত হচ্ছে। বেহাল সড়কে সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য খানাখন্দকের। বওশা ঘাট হতে হান্ডিয়াল দরাপপুর পর্যন্ত ৭/৮ কিলোমিটার সড়ক দেবে উঁচুনিচু হয়ে গেছে। যান চলাচল চরমভাবে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে।

সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, বিলের মধ্যে সড়ক দেবে উঁচুনিচু হয়ে গেছে। অসংখ্য ছোট-বড় গর্ত। গর্ত, ভাঙাচোরা, উঁচুনিচু ও খানাখন্দে এবড়োথেবড়ো হয়ে গেছে। হান্ডিয়াল ইউপি চেয়ারম্যান কে,এম জাকির হোসেন বলেন, ‘আমরা সড়কের দুরাবস্থার মধ্যে পড়েছি। অতি গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক দিয়ে পাবনা, ঈশ্বরদী, চাটমোহর, আটঘরিয়া এলাকার হাজার হাজার মানুষ ও যানবাহন তাড়াশ, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া ও ঢাকায় যাতায়াত করে। এই সড়কটি উদ্বোধনের আগেই করুণ দশায় পরিণত হয়েছে।” তিনি সড়কটি দ্রুত মেরামত করার জন্য সংশ্লি¬ষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানান।

চাটমোহর ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি শেখ মোঃ জিয়ারুল হক সিন্টু বলেন, সড়কের দুরাবস্থায় ব্যবসা-বানিজ্যেও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। সহকারি শিক্ষক জহুরুল ইসলাম বলেন, জানিনা এই সড়কের প্রতি কারো নজর আছে কিনা। অনেক দিন সড়কটির বেহাল দশা। এলাকাবাসী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, ভাঙাচোরা ও ক্ষতবিক্ষত সড়ক দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। একই অবস্থা বিরাজ করছে চাটমোহর-হরিপুর-জোনাইল সড়ক ও চাটমোহর-পার্শ্বডাঙ্গা সড়কের। সবগুলো সড়কই যেন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।

পাবনা সওজের সহকারী প্রকৌশলী বখতিয়ার আলম জানিয়েছেন, অধিকাংশ সড়ক ক্ষতিগ্রস্থ। সড়কগুলো সংস্কারের জন্য যে বরাদ্দ, তা দিয়ে সবগুলো মেরামত করা সম্ভব হচ্ছে না। যতটুকু সম্ভব, ততটুকু মাঝে মধ্যে সংস্কার করা হচ্ছে। বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads