• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪২৯
ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভিড়; ভয়ঙ্কর পরিনতির শঙ্কা

দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ঘাটে ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভিড়

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

যোগাযোগ

দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া

ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভিড়; ভয়ঙ্কর পরিনতির শঙ্কা

  • গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৫ মার্চ ২০২০

মহামারি করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সরকারের কড়া নির্দেশনা দেওয়ার পরও এর নূন্যতম বাস্তবায়ন হচ্ছে না দেশের গুরুত্বপূর্ণ দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে। সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে প্রতিটি মানুষকে অন্তত তিন ফুট দুরত্বে থাকতে বলা হলেও নৌযানে ভ্রমণ করা যাত্রীরা তিন ইঞ্চিও মানছেন না। ঠাসাঠাসি করে করে করোনা ভাইরাস সংক্রমন ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছে লাখ লাখ মানুষ। যেন প্রত্যেকের মধ্যে বিরাজ করছে ঈদের আমেজ।

জানা যায়, বুধবার সকাল থেকে কর্তৃপক্ষের কঠোর সিদ্ধান্তে ব্যাস্ততম দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। তবে পন্যবাহী ট্রাক ও জরুরী যানবাহন পারাপারের লক্ষ্যে ফেরি সার্ভিস চালু রাখা হয়। এ সুযোগে চলাচলকারী ফেরিগুলোতে হুমরি খেয়ে পড়ছে সাধারন যাত্রীরা। ফেরিতে যাত্রীবাহী বাস পারাপার বন্ধ রাখলেও সাধারন যাত্রীরা গাদাগাদি করে ফেরিতে নদী পারাপার হচ্ছে। এতেকরে যাত্রীদের মধ্যে করোনা ভাইরাস সংক্রামন ঝুঁকি ভায়াবহ আকার ধারন করেছে। ১০ দিনের সরকারি ছুটি ঘোষণার পর মঙ্গলবার থেকেই রাজধানী ছাড়ছে অসংখ্য মানুষ। তাদের কারণেই এ অবস্থার সৃষ্টি। অথচ জনসাধারণকে ভাল থাকার জন্য এ ছুটি প্রদান করা হয়।

আজ বুধবার সরেজমিনে দৌলতদিয়া ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি ফেরিতে শত শত সাধারন যাত্রী ঠাসাঠাসি করে নদী পার হচ্ছে। এ কারণে ফেরিগুলোতে জরুরী যানবাহনের পূর্ণ লোড দিতেও হিমসিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। যেন মানুষের স্রোতার কাছে অসহায় হয়ে পড়েছে কর্তব্যরত কর্মীরা।

এ সময় ফেরিতে নদী পার হয়ে আসা বরিশালের বাসেদ আলী বলেন, সরকার দশ দিন ছুটি দিয়েছে, তাই নিরাপদ স্থান হিসেবে তারা গ্রামের বাড়ীতে যাচ্ছেন। চলার পথে কারো দ্বারা সংক্রমন হতে পারেন বললে তিনি জানান, আমরা শ্রমজীবী মানুষ। ঢাকায় কাজ করতে না পারলে চলবো কিভাবে ? তাই এখন কোন নিয়ম দেখার সময় নেই। যে কোন ভাবেই গন্তব্যে যেতে হবে।

এদিকে দৌলতিদিয়া ঘাট এলাকায় দেখা গেছে যাত্রীবাহি যানবাহনের দীর্ঘ সারি। সরকারের বন্ধের আদেশ তারা মানছেন না। পন্যবাহি ট্রাক ও জরুরী যানবাহন পারাপারের জন্য ফেরি সার্ভিস চালু থাকায় অসংখ্য যাত্রী ফেরিতে পারাপার হচ্ছে। এতেকরে কর্তৃপক্ষের উদ্দেশ্য সফল না হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

বিআইডব্লিউসি’র দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক আবু আব্দুল্লাহ রনি জানান, পন্যবাহি ট্রাকের চাপ থাকায় এবং সারা দেশের বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে চলাচলকারী ১৪টি ফেরিই চালু রাখতে হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে ইতিমধ্যে যাত্রীবাহি বাসের জন্য নির্ধারিত টিকিট কাউন্টার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ফেরি সার্ভিস চালু থাকার সুযোগে সাধারণ যাত্রীরা ফেরিতে উঠে পড়ছে। এক্ষেত্রে তাদেরও তেমন কিছু করার নেই। তবে জরুরী যানবাহনের চাপ কিছুটা কমে এলে ফেরি সংখ্যা কমিয়ে দেয়া হবে বলে তিনি জানান।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads