• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ

সংগৃহীত ছবি

যোগাযোগ

শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০

শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে দুইদিন পরীক্ষামূলকভাবে ফেরি চলাচল করলেও আজ তা বন্ধ রয়েছে। বেশি পথ ঘোরার কারণে বিকল্প রুটে ফেরি চলাচল নিয়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা। ফেরির চালকররা বলছেন, স্রোত বেশি থাকায় ইঞ্জিনে অতিরিক্ত চাপ পড়ে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলেও জানান তিনি। ফেরি চলাচলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বিআইডাব্লিউটিসি’র বৈঠক চলছে।

বিআইডব্লিউটিসি বলেছে, পালের চর চ্যানেল দীর্ঘ পথে স্রোত বেড়েছে, এই পথে ফেরি চলাচল সম্ভব নয়। আর ফেরির সহজ চ্যানেলে এখনও ড্রেজিং সম্পন্ন হয়নি। তাই ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।

ফেরি বন্ধ হওয়ায় দুর্ভোগ পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ। গাদাগাদি করেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লঞ্চ, স্পিডবোট ও ট্রলারে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছে মানুষ। এদিকে নাব্য সংকটে পাটুরিয়ার ৫নং ঘাট বন্ধ থাকায় ও বিকল্প রোড হিসাবে এ নৌরুট ব্যবহার হওয়ায় ঘাটে যানবাহনের সারি দীর্ঘ থেকে সারি হচ্ছে। এতে ভোগান্তিতে রয়েছেন হাজারো যানবাহনের শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা।

আজ বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ঘাট কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রতিদিন পদ্মা-যমুনায় পানি কমায় নতুন করে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটের পাটুরিয়ার ৫নং ঘাট এলাকায় দেখা দিয়েছে নাব্য সংকট। এছাড়াও একই কারণে ৩নং ঘাটের আপ পকেট অর্থাৎ ১নং মুখও বন্ধ রয়েছে। ফলে পাটুরিয়া ঘাটের ১২টি মুখের মধ্যে ৪টি বন্ধ থাকায় দেখা দিয়েছে ঘাট সংকট।

এছাড়াও শিমুলিয়া-কাঠাঁলবাড়ি নৌরুটের অতিরিক্ত যানবাহন এ রুটে আসায় নাকাল পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুট। দেখা দিয়েছে যানবাহনের দীর্ঘ সারি। বৃহস্পতিবার হওয়ায় ছোট ও পরিবহনের বেশ চাপ রয়েছে। তবে ঘাট কর্তৃপক্ষ অ্যাম্বুলেন্স, পরিবহন, প্রাইভেটকারকে অগ্রাধিকার দেয়ায় ঘাটে জমে যাচ্ছে পণ্যবাহী ট্রাক। এছাড়াও উথুলী সংযোগ মোড় থেকে শিবালয় থানা রোডে ৩ কি. মি. জুড়ে পণ্যবাহী ট্রাক সারি করে রাখা হয়েছে। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ১৮টি ফেরি চলাচল করছে। বিপাকে হাজারো যানবাহনের শ্রমিক ও ব্যবসায়ী।

এদিকে, ঘাটে পারাপারের অপেক্ষা রয়েছে দেড় শতাধিক যানবাহন। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। এছাড়া, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া রুটেও নাব্যতা সংকটে বিঘ্নিত হচ্ছে পারাপার। অন্যদিকে, পদ্মার ভাঙনে ঝুঁকির মুখে পড়েছে মাদারীপুর শিবচরের বন্দরখোলা ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, একটি কমিউনিটি ক্লিনিক ও কাজীরসুরা বাজারের অর্ধ-শতাধিক দোকানপাট।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads