• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
বসতভিটা দখল করতে বিধবাকে গাছে বেঁধে নির্যাতন

বিধবাকে গাছে বেঁধে নির্যাতন

ছবি : বাংলাদেশের খবর

অপরাধ

বসতভিটা দখল করতে বিধবাকে গাছে বেঁধে নির্যাতন

  • যশোর প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৭ মে ২০১৮

বসতভিটা দখল করতে যশোরের মনিরামপুরের ঢাকুরিয়া গ্রামে রোকেয়া (৬০) নামে এক বিধবাকে অমানুষিক নির্যাতন করা হয়েছে। লোকসম্মুখে গাছের সঙ্গে বেঁধে অসহায় ওই নারীকে পিটিয়ে আহত করেছে একই গ্রামের শহিদুল নামে এক পাষণ্ড। অসহ্য যন্ত্রণায় চিৎকার করলেও শহিদুলের ভয়ে রোকেয়াকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেনি কেউ।

এ ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন মহলের প্রতিবাদের মুখে ও নির্যাতনের শিকার রোকেয়ার অভিযোগে শহিদুলকে আটক করেছে পুলিশ। শহিদুল ঢাকুরিয়া গ্রামের আনসার আলীর ছেলে।

হামলার শিকার ওই নারী ও তার স্বজনরা জানান, স্বামীর মৃত্যুর পর প্রায় ৪০ বছর ধরে ঢাকুরিয়া গ্রামে পিতা বদিউজ্জামানের বাড়িতে বসবাস করে আসছেন রোকেয়া বেগম। ভিটার জমি বাড়াতে বেশ কয়েক বছর আগে রোকেয়া ও তার দুই ভাই খালেক নামে স্থানীয় এক ব্যক্তির কাছ থেকে জমি কেনেন। রোকেয়াদের বসতবাড়ি ঘেঁষে একখণ্ড জমি রয়েছে ফয়জুল্লা নামে এক ব্যক্তির। বছর দুই আগে শহিদুল ওই জমিটি ক্রয় করে। সম্প্রতি সে দলবল নিয়ে ওই জমিসহ রোকেয়ার বসতবাড়ি দখল করতে যায়। বাধা দিলে শহিদুল ও তার লোকজন গাছের সঙ্গে বেঁধে রোকেয়াকে মারপিট করে। এ সময় আশপাশের লোকজন দাঁড়িয়ে দেখলেও কেউ প্রতিবাদ করেনি বা রোকেয়াকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেনি। তবে গোপনে কেউ একজন ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়, যা দেখে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে বিবেকবানদের মধ্যে।

এ ঘটনা এলাকার লোকজনের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়লে রোকেয়া বাদী হয়ে শহিদুলসহ তার আট সহযোগীকে আসামি করে মনিরামপুর থানায় মামলা করেন। মামলার পর গত শুক্রবার শহিদুলকে আটক করে পুলিশ। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- ইউসুফ, বাবু, আহাদ, রবিউল, মোস্তাক, তবিবর ও কৃষ্ণপদ।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads