• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
সেই আ.লীগ নেতাকে স্পষ্টভাবে ক্ষমা চাইতে বললেন হাইকোর্ট

হিন্দু সম্প্রদায়ের শতবর্ষী শ্মশানের জায়গা দখল করার অভিযোগ

সংরক্ষিত ছবি

অপরাধ

শ্মশানের জায়গা দখলের চেষ্টা

সেই আ.লীগ নেতাকে স্পষ্টভাবে ক্ষমা চাইতে বললেন হাইকোর্ট

  • বগুড়া প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৯ মে ২০১৮

হিন্দু সম্প্রদায়ের শতবর্ষী শ্মশানের জায়গা দখল করার অভিযোগে স্থানীয় জনগণের কাছে ক্ষমা চাওয়ার জন্য আবারো সময় নিলেন বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিজুল হক। রোববার আদালতে হাজির হয়ে ক্ষমা চাওয়ার জন্য সময় চেয়ে আবেদন করলে তা মঞ্জুর করেন বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি একেএম সাহিদুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ। দ্বিতীয়বারের মতো সময় নিলেন আওয়ামী লীগের এই নেতা।

এর আগে হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী গত ২০ মে শ্মশানের জায়গা দখলের ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে হাজির হলে আদালত তাকে ভর্ৎসনা করেন। শুনানি শেষে আজিজুল হক শ্মশানের কমিটিসহ স্থানীয় জনগণের কাছে ক্ষমা চাওয়ার জন্য আদালতের কাছে সময় চাইলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।

গত ২৩ মে শ্মশানের কমিটি ও স্থানীয় জনগণের উপস্থিতিতে একটি ব্যানার ঝুলান আজিজুল হক। ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি সেখানে স্পষ্ট ছিল না। পরবর্তী সময়ে গত শুক্রবার স্থানীয় কয়েকজনের উপস্থিতিতে আগের ব্যানার অপসারণ করে পৃথক আরেকটি ব্যানার ঝুলিয়ে দেন আওয়ামী লীগের এই নেতা। সেটিতেও ক্ষমা চাওয়ার বিষয় স্পষ্ট ছিল না। সর্বশেষ ঝুলানো ব্যানারের ছবি রোববার আদালতে উপস্থাপন করে দখলের ঘটনায় নিঃশর্ত ক্ষমা চান আজিজুল হক। তার পক্ষে আইনজীবী ছিলেন লায়েকুজ্জামান মোল্ল­া। অপরদিকে রিটকারীর আইনজীবী মনজিল মোরসেদ ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি স্পষ্ট নয় বলে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

আজিজুল হকের ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি নিয়ে আদালত সন্তুষ্ট হতে পারেননি। শুনানি শেষে স্থানীয় জনগণের কাছে স্পষ্টভাবে ক্ষমা চাইতে আজিজুলের পক্ষে আবারো সময় চাওয়া হয়। আদালত তা মঞ্জুর করে এ বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী বৃহস্পতিবার পরবর্তী দিন ধার্য করেন।

উল্লেখ্য, শ্মশান দখল করা নিয়ে ২০১৬ সালের ২৬ জুন একটি দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) একটি রিট করে। এই রিট আবেদনে ওই বছরের ৩১ জুলাই হাইকোর্ট রুল জারি করেন এবং স্থাপনা নির্মাণকাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি বিষয়টি তদন্ত করতে জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেন। এই নির্দেশে জেলা প্রশাসক বিষয়টি তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। এ অবস্থায় ২০১৬ সালে জারি করা রুলের ওপর শুনানি শুরু হয়েছে হাইকোর্টে। এই রুলের ওপর শুনানির সময় গত ১৩ মে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতিকে তলব করে আদেশ দেন আদালত।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads