• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
ছাত্রলীগ নেতা নাজমুল আত্মহত্যা করেছেন

কুষ্টিয়ায় ছাত্রলীগ নেতা নাজমুল

সংগৃহীত ছবি

অপরাধ

সংবাদ সম্মেলনে এসপি

ছাত্রলীগ নেতা নাজমুল আত্মহত্যা করেছেন

  • কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০১ জুন ২০১৮

কুষ্টিয়ায় ছাত্রলীগ নেতা নাজমুল আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করেছেন জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) এসএম মেহেদী। তার ভাষ্য, নাজমুল নিজেই মাথায় গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় কুষ্টিয়া পুলিশ লাইনসে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন পুলিশ সুপার। সংবাদ সম্মেলনে নাজমুলের বাবা আলতাফ হোসেন, মা নাজমা খাতুন, সদ্য বিবাহিত স্ত্রী ঊর্মি খাতুনও উপস্থিত ছিলেন।

পুলিশ সুপার বলেন, জেলা ছাত্রলীগ সহসভাপতি নাজমুলের (৩০) আত্মহত্যার ঘটনায় ব্যবহূত অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। নাজমুলের পরিবারও বিষয়টি সমর্থন করেছে।

ঘটনার একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী নাজমুলের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এসপি মেহেদী হাসান বলেন, আত্মহত্যার ঘটনার পর মা নাজমা খাতুন ছেলের ঘরে একটি নাইন এমএম পিস্তল, একটি ওয়ান শুটারগান ও একটি শটগানের গুলি দেখতে পান। ঝামেলা হতে পারে ভেবে এগুলো তিনি ব্যাগে করে বাড়ির পাশে লুকিয়ে রাখেন।

নাজমুল কী কারণে হতাশায় ছিলেন এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নাজমা খাতুন বলেন, ‘এটা জানি না। জানলি পারে ব্যাটাক কাছে করি রাখতাম।’ এর আগে কখনো ছেলের কাছে অস্ত্র দেখেছিলেন কি না- জানতে চাইলে বাবা-মা দুজনেই বলেন, ‘না, কোনোদিন অস্ত্র দেখিনি।’ নাজমা খাতুন বলেন, গুলির শব্দে নাজমুলের ঘরে গিয়ে দেখি সে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মেঝেতে পড়ে আছে। ভয়ে দ্রুত অস্ত্রটি তুলে নিয়ে পাশের বাড়িতে লুকিয়ে রাখি। তখন নববধূ নাজমুলের পাশে কাঁদছিল।

এসপি বলেন, নাজমা খাতুনের দেখানো জায়গা থেকে একটি নাইন এমএম পিস্তল, একটি ওয়ান শুটারগান ও একটি তাজা গুলি উদ্ধার করা হয়। ওয়ান শুটারগানেই নাজমুল আত্মহত্যা করেছেন। অস্ত্র দুটি অবৈধ। কী ধরনের হতাশা ছিল নাজমুলের— জানতে চাইলে এসপি বলেন, ‘তিন দিন পর জানতে পারবেন।’

নাজমুলের আত্মহত্যার ঘটনায় থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা হয়েছে। আজ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে নাজমুলের স্ত্রী আদালতে জবানবন্দি দেবেন।

পুলিশ, নাজমুলের পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, নাজমুল কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ থেকে ২০১৫ সালে ব্যবস্থাপনা বিষয়ে স্নাতকোত্তর পাস করেন। কোনো চাকরি বা ব্যবসা করতেন না। তিনি জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ছিলেন। দুই ভাই ও তিন বোনের মধ্যে নাজমুল ছিলেন সবার বড়। গত রোববার পরিবারের সম্মতিতে শহরের কানাবিল এলাকার ঊর্মি খাতুনকে বিয়ে করেন তিনি।

গত মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের ফারাজিপাড়ায় নাজমুলের নিজ ঘরের মেঝে থেকে তার মাথায় গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর পর থেকে নাজমুল কীভাবে নিহত হন তা নিয়ে ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads