• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
সিলেট ও যশোরে ৮ কেজি সোনা জব্দ, আটক ৩

সিলেট ও যশোরে প্রায় ৮ কেজি সোনা জব্দ করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা

প্রতীকী ছবি

অপরাধ

সিলেট ও যশোরে ৮ কেজি সোনা জব্দ, আটক ৩

  • সিলেট ব্যুরো ও বেনাপোল প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৯ জুন ২০১৮

সিলেট ও যশোরে গতকাল শুক্রবার প্রায় ৮ কেজি সোনা জব্দ করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এর মধ্যে সিলেট এমএজি ওসমানী বিমানবন্দরে ওমান থেকে আসা এক যাত্রীর কাছ থেকে ৭ কেজি ওজনের ৬০টি সোনার বার এবং বেনাপোল চেকপোস্টে ভারতগামী দুই যাত্রীর কাছ থেকে আরো এক কেজি সোনা জব্দ করা হয়।

সিলেট : সিলেট এমএজি ওসমানী বিমানবন্দরে প্রায় ৭ কেজি ওজনের ৬০টি সোনার বারসহ এক ব্যক্তিকে আটক করেছে শুল্ক গোয়েন্দারা। এসব সোনার বাজারমূল্য প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা।

সিলেট কাস্টমসের যুগ্ম কমিশনার নিয়ামুল ইসলাম জানান, গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টা ৫ মিনিটে ওমানের মাসকাট থেকে আসা বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট থেকে সোনার বারগুলো উদ্ধার করা হয়। আটক মো. ইকবাল হোসেনের বাড়ি চট্টগ্রামে। তিনি সেখানকার সাতকানিয়া থানার মধ্যম কাঞ্চন এলাকার শেখ আহমদের ছেলে।

ওসমানী বিমানবন্দরের একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানান, ইকবাল হোসেনের পাশের সিটের নিচে সোনার বারগুলো রাখা ছিল। জিজ্ঞাসাবাদে ইকবাল হোসেন সোনার বারগুলো তার নয় বলে জানিয়েছেন।

আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, ইকবাল বিমানে তার সিট নম্বর ৩১ এইচ-এর নিচে সোনার ব্যাগ না রেখে পাশের সিট ৩৭ জে-এর নিচে লুকিয়ে রাখেন। বিমানের সব যাত্রী নেমে পড়লেও ওই সময় নামেননি ইকবাল। পরে তার পাশের সিটের নিচে রাখা ব্যাগটি নিতে গেলে তাকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে সিলেট বিমানবন্দর থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

যশোর : বেনাপোল চেকপোস্টে গতকাল শুক্রবার রঞ্জন সাহা নামে এক ভারতীয় যাত্রীর কাছ থেকে ৩৫০ গ্রাম ওজনের সোনার পাত উদ্ধার করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত সার্কেলের সদস্যরা। তার প্যান্টের বেল্টের মধ্যে সোনার এই পাত বিশেষ কৌশলে লুকানো ছিল। এর আনুমানিক বাজারমূল্য ১৬ লাখ টাকা। বেনাপোল শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত সার্কেলের উপপরিচালক সাইফুর রহমান জানান, আটক রঞ্জন সাহা ভারতের কলকাতার বেহালা থানার ৩৪ নম্বর ভূপেন নগর রোডের অনিল সাহার ছেলে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয়। তিনি আরো জানান, রঞ্জন সাহাকে বেনাপোল পোর্ট থানায় সোনা পাচারের মামলা দিয়ে হস্তান্তর করা হয়েছে। উদ্ধার করা সোনা বেনাপোল শুল্ক গুদামে জমা দেওয়া হয়েছে।

এর আগে বেনাপোল চেকপোস্টে আরো এক যাত্রীর পায়ুপথ দিয়ে ৭টি সোনার বার বের করেন কাস্টমস কর্মকর্তারা। এসব বারের ওজন ৭০০ গ্রাম, দাম ৩২ লাখ টাকা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার ভারত যাচ্ছিলেন যাত্রী লাভলু চৌধুরী। গতিবিধি সন্দেহজনক হলে কাস্টমস কর্মকর্তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। সোনা থাকার কথা অস্বীকার করলে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে তার এক্সরে করানো হয়। রিপোর্টে তার পেটে সোনা থাকার বিষয়টি বের হয়ে আসে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ওই যাত্রীকে চেকপোস্ট কাস্টমস ভবনে এনে জুস ও পানি পান করানো হয়। কিছুক্ষণ পর তার পায়ুপথ দিয়ে পর পর সাতটি সোনার বার বের হয়ে আসে। আটক লাভলু শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার বিকে নগর গ্রামের আবদুল মান্নান বেপারির ছেলে। বেনাপোল কাস্টম হাউজের ডেপুটি কমিশনার জাকির হোসেন জানান, লাভলুকে বৃহস্পতিবার রাতেই বেনাপোল পোর্ট থানায় সোনা পাচারের মামলা দিয়ে হস্তান্তর করা হয়েছে। উদ্ধার করা সোনা বেনাপোল শুল্ক গুদামে জমা দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া গত মঙ্গলবার সকালে বেনাপোল চেকপোস্টে ১ কেজি ৩০০ গ্রাম সোনাসহ মহিউদ্দিন ভূঁইয়া নামে এক পাচারকারীকে আটক করে শুল্ক গোয়েন্দারা। ওই যাত্রীর সোনার বারও পায়ুপথ দিয়ে বের করা হয়েছিল। 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads