রাজধানীতে রফিকুল ইসলাম (৪৮) নামে এক শরবত বিক্রেতাকে হত্যার অভিযোগে তার স্ত্রী সন্তানসহ পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। গত বুধবার রাত ১২টার দিকে মুগদার মানিকনগরে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ রাত ১টার দিকে মৃতদেহ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
মুগদা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রহিদুল ইসলাম জানান, রফিকুল টিটিপাড়া এলাকায় শরবত বিক্রি করতেন। স্ত্রী বীথি আক্তার, দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে মুগদায় একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন। দীর্ঘদিন ধরে তাদের পারিবারিক বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে গত রাতে স্ত্রী বীথি তার বড় ছেলে রাব্বী ও তার তিন বন্ধুকে বাসায় ডেকে নিয়ে এসে রফিকুলকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। হত্যাকাণ্ডের পর রাব্বী ও তিন বন্ধুকে ঘরের ভেতরে রেখে বাইরে থেকে তালা মেরে দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থাকে বীথি। এসআই আরো জানায়, প্রতিবেশীরা বিষয়টি টের পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পরে তাদের আটক করা হয়।
রফিকুলের খালাত ভাই মোস্তাক ফকির বাদল জানায়, রফিকুল আগে কসাইয়ের কাজ করতেন। তার বড় ছেলে রাব্বী একটি হত্যা মামলার আসামি। তিনি আরো জানান, তাদের পরিবারে সব সময় ঝগড়া-বিবাদ লেগে থাকত। স্ত্রী-ছেলে মিলে রফিকুলকে হত্যা করেছে বলে তিনি দাবি করেন। বাদল আরো জানান, হত্যাকাণ্ডের পর থেকে তাদের আরেক সন্তান জিদনীকে (১৩) খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
রফিকুল বাগেরহাট সদর উপজেলার বেসরগাতি গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে।