ভূত তাড়ানোর নামে ফেনীর পরশুরাম উপজেলায় যুবক মনির আহমদ মজুমদারকে পিটিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন কথিত হুজুর সহিদ উল্যাহ। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আটক সহিদ উল্যাহ গত শুক্রবার রাতে ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. জাকির হোসেনের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফুলগাজী থানার এসআই আনবিক চাকমা জানান, ভণ্ড হুজুর সহিদ উল্যাহ আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে অসুস্থ মনির আহমদকে ঘরের খুঁটির সঙ্গে দড়ি দিয়ে শক্তভাবে বেঁধে প্রথমে ঝাড়ফুঁক, পরে নাকের ভেতর পোড়া মরিচ ও গরম সরিষার তেল দেওয়া এবং গাছের ডাল দিয়ে বেদমভাবে পেটানোর কথা স্বীকার করেন।
ভূত তাড়ানোর নামে গত বৃহস্পতিবার সকালে সহিদ উল্যাহর এ ধরনের নির্যাতনের একপর্যায়ে মনির গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। উপজেলার মুন্সীরহাট ইউনিয়নের দক্ষিণ তারালিয়া গ্রামে মনিরের শ্বশুরবাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। তার নিজ বাড়ি পরশুরাম উপজেলার উত্তর গুথুমা গ্রামে।
এ ঘটনায় নিহত মনিরের বাবা আবুল কালাম মজুমদার বাদী হয়ে সহিদ উল্যাহ ও তার সহযোগী রবিউল হককে আসামি করে ফুলগাজী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে সহিদ উল্যাহকে গ্রেফতার করে ফুলগাজী থানা পুলিশ।
সহিদ উল্যাহকে গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে ফুলগাজী থানার ওসি মো. হুমায়ুন কবির বলেন, কথিত হুজুরের সহযোগী রবিউল পলাতক। তাকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।