• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
নাম বদলেও শেষরক্ষা হলো না ‘সাব-রেজিস্ট্রার’ জাহিদের

এইচএসসি পরীক্ষার চৌকাঠ ডিঙোননি। অথচ তিনি বিকম পাসের সার্টিফিকেট দেখিয়ে প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা

প্রতীকী ছবি

অপরাধ

নাম বদলেও শেষরক্ষা হলো না ‘সাব-রেজিস্ট্রার’ জাহিদের

দুদকের দুই মামলা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৫ জুলাই ২০১৮

এইচএসসি পরীক্ষার চৌকাঠ ডিঙোননি। অথচ তিনি বিকম পাসের সার্টিফিকেট দেখিয়ে প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা হিসেবে চাকরি করছিলেন। জালিয়াতির মাধ্যমে নেওয়া চাকরির বদৌলতে দু’হাতে কামিয়েছেন অর্থ। বাড়ি-গাড়ি-ফ্ল্যাটসহ বিপুল বিত্ত-বৈভবের মালিক হয়েছেন। পরিবর্তন করেছেন বাবা-মায়ের দেওয়া আসল নামও। তা সত্ত্বেও শেষ রক্ষা হয়নি। ধরা পড়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনের জালে।

গতকাল বুধবার সংস্থাটি তার বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেছে। একটি মামলা হয়েছে ফরিদপুরের গোপালগঞ্জ থানায়। অন্যটি রাজধানীর শাহবাগ মডেল থানায়। এই ব্যক্তি আর কেউ নন- মাদারীপুর সদরের সাব-রেজিস্ট্রার মো. জাহিদুল ইসলাম। রেজিস্ট্রেশন অধিদফতরে তিনি স্বনামেই খ্যাত। তবে মামলার খবর পেয়ে এখন তিনি লাপাত্তা।

দুদকের ফরিদপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক আহামদ ফরহাদ হোসেন রাজধানীর শাহবাগ মডেল থানায় দায়ের করা এজাহারে উল্লেখ করেন, মো. জাহিদুল ইসলাম মাত্র এইচএসসি পাস। তা সত্ত্বেও তিনি বিকম পাসের জাল সার্টিফিকেট তৈরি করেন। মুজিবনগর সরকারের কর্মচারী দাবি করে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা নেন। ওই আদেশের বলে তিনি আইন মন্ত্রণালয়ের অধীন নিবন্ধন অধিদফতরে সাব-রেজিস্ট্রার পদে যোগদান করেন। ২০০৯ সালের ৮ অক্টোবর থেকে ২০১৭ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত তিনি চাকরি করেন। এ সময়ের মধ্যে ২৩ লাখ ৫৬ হাজার ৭৯৬ টাকা বেতন-ভাতা উত্তোলন করেন, যা প্রতারণা এবং আত্মসাৎ হিসেবে দণ্ডবিধির ৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১ এবং ১৯৪৭ সালের ২ নম্বর দুর্নীতি প্রতিরোধ  আইনের ৫(২) ধারায় দণ্ডনীয় অপরাধ।

গোপালগঞ্জ থানায় দায়ের করা মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, জাহিদুল ইসলাম সরকারি কর্মচারী হওয়া সত্ত্বেও অসদুদ্দেশ্যে জালিয়াতির মাধ্যমে ‘মো. জাহিদুল ইসলাম’ নাম পরিবর্তন করে ‘মাহবুবুর রহমান’ নাম ধারণ করেন। এ নামে তিনি ভুয়া জন্ম নিবন্ধন সনদও তৈরি করেন। এ সনদ তিনি ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক গোপালগঞ্জ শাখায় অ্যাকাউন্ট খোলেন। ঢাকা স্টক একচেঞ্জের ‘ডন সিকিউরিটিজ লি.’ বিও অ্যাকাউন্টও করেন, যা দণ্ডবিধির ৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১ এবং ১৯৪৭ সালের ২ নম্বর দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। দুদকের জনসংযোগ শাখা থেকে জানানো হয়, জাহিদুল ইসলামকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads