• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
‘সেজেগুজে বিয়ের অনুষ্ঠানে চুরি করত ওরা’

‘সেজেগুজে বিয়ের অনুষ্ঠানে চুরি করত ওরা’

সংগৃহীত ছবি

অপরাধ

‘সেজেগুজে বিয়ের অনুষ্ঠানে চুরি করত ওরা’

  • চট্টগ্রাম ব্যুরো
  • প্রকাশিত ১১ জুলাই ২০১৮

ওরা ছয়জন। পাঁচজন মেয়ে। একজন ছেলে। ধনাঢ্য পরিবারের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের সংবাদ আনে ছেলে। আর মেয়েরা সেজেগুজে সেই অনুষ্ঠানে যায় আমন্ত্রিত অতিথি হয়ে। এরপর সুযোগ বুঝে মোবাইল বা অন্য কিছু চুরি করে উধাও হয়ে যায় এরা। গত রোববার রাতে চক্রটিকে গ্রেফতারের পর এ তথ্য জানিয়েছে চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানা পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলো হামিদা বেগম (৪০) ও তার দুই মেয়ে ফাতেমা বেগম (২৬) এবং চুফরা সহুরা ওরফে কালা বুড়ি (১১); তারা কক্সবাজারের মহেশখালীর চরপাড়া জাহেদের বাড়ির হামিদ হোসেনের স্ত্রী ও মেয়ে। বাকি তিনজন হলো মহেশখালীর চরপাড়ার ফজল আহম্মদের ছেলে নূর হোসেন (১৮), টেকনাফের সাপুর ডিয়া জেলেপাড়ার মৃত নূর মোহাম্মদের মেয়ে রিপা আক্তার (১৫), দোহাজারীর জামিরজুড়ির মো. জাহাঙ্গীরের মেয়ে জান্নাত আরা ফেরদৌস (১৪)। এদের মধ্যে রিপা হচ্ছে হামিদার মামাতো বোন। হামিদার ভাইয়ের ছেলে হচ্ছে নূর হোসেন। জান্নাতের সঙ্গে অন্যদের আত্মীয়তার সম্পর্ক নেই।

পুলিশ সূত্র জানায়, ৬ জুলাই রাতে লাভ লেইনের স্মরণিকা ক্লাবে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে স্ত্রীসহ গিয়েছিলেন প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক উদয়ন দাশ গুপ্ত। সেদিন কৌশলে তার স্ত্রীর ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে এমআই নোটথ্রি মডেলের একটি মোবাইল সেট চুরি হয়। বিষয়টি ক্লাব কর্তৃপক্ষকে জানালে সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে জড়িতদের শনাক্ত করা হয়। গত রোববার রাতে স্মরণিকা ক্লাবে আরেকটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যায় আগের চুরির ঘটনায় জড়িতরা। এরপর ক্লাব কর্তৃপক্ষ তাদের আটক করে পুলিশকে খবর দেয়। বাকলিয়ার ক্ষেতচর আলম কুটি এলাকায় একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে ওই শিক্ষকের স্ত্রীর মোবাইলটির পাশাপাশি আরো ২২টি চোরাই মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে।

কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, শিশুপার্ক ও বিয়ে অনুষ্ঠানগুলোয় গিয়ে মোবাইল চুরি করে আসছিল চক্রটি। বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ রয়েছে চক্রটিতে। দেখতে তাদের এক পরিবারের সদস্য মনে হবে যে কারো। কেউ যাতে তাদের সন্দেহ না করে, সে জন্য সেজেগুজেও যেত তারা। এভাবে বেশ ধারণ করে চুরিকে পেশা হিসেবে নিয়েছে তারা।

চুরির পর গ্রেফতারকৃতরা নগরের রিয়াজউদ্দিন বাজারের যে ব্যক্তির কাছে মোবাইল সেটগুলো বিক্রি করে আসছিল, তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানিয়েছেন কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads