• মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪২৯
নিখোঁজ স্বর্ণ ব্যবসায়ীর চার টুকরা লাশ উদ্ধার

স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রবীর চন্দ্র ঘোষ

সংগৃহীত ছবি

অপরাধ

নিখোঁজ স্বর্ণ ব্যবসায়ীর চার টুকরা লাশ উদ্ধার

  • কুমিল্লা ও নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১১ জুলাই ২০১৮

নিখোঁজের ২১ দিন পর নারায়ণগঞ্জ শহরের কালিরবাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রবীর চন্দ্র ঘোষের (৩৫) চার টুকরা লাশ উদ্ধার হয়েছে। গত সোমবার রাত ১১টায় শহরের আমলপাড়া এলাকায় বন্ধু পিন্টুর ভাড়া বাসার ভবনের সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে ওই লাশ উদ্ধার করা হয়। আর্থিক লেনদেনের বিরোধের জের ধরেই প্রবীর ঘোষকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে প্রবীরের বন্ধু পিন্টু দেবনাথ ও তার দোকানের কর্মচারী বাপেন ভৌমিক বাবুকে গ্রেফতারের পরই খুনের রহস্য বেরিয়ে আসে।

সোমবার রাতে প্রবীর ঘোষের টুকরা টুকরা লাশ উদ্ধারের পর গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মঈনুল হক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূরে আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শরফুদ্দিন প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে প্রবীর ঘোষের এক ভাই সৌমিক ঘোষ ইতালি প্রবাসী। সেখান থেকে মোটা অঙ্কের টাকা পাঠানো হয় প্রবীর ঘোষের কাছে। দীর্ঘদিন ধরে ওই টাকা লেনদেন হতো প্রবীর ও পিন্টুর মধ্যে। সম্প্রতি সৌমিক ঘোষ যখন দেশে আসেন তখন থেকেই নিখোঁজ ছিলেন প্রবীর। সৌমিক দেশে আসার আগেই টাকার জন্য পিন্টুকে চাপ দিতে থাকেন প্রবীর। এসব নিয়ে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য দেখা দেয়। পরে পরিকল্পনা করেই প্রবীরকে ডেকে নিয়ে হত্যা করে পিন্টু ও তার দোকানের কর্মচারী বাপেন ভৌমিক।

প্রাথমিকভাবে এও ধারণা করা হচ্ছে পিন্টু যে বাসায় থাকে সে বাসার ফ্ল্যাটেই প্রবীরকে হত্যার পর ওই বাসার নিচে সেপটিক ট্যাঙ্কে লাশ ব্যাগে করে ফেলে দেওয়া হয়। পরে কর্মচারী বাপেন পালিয়ে কুমিল্লা সীমান্তবর্তী এলাকায় চলে যায়। সেখানে এসে মোবাইল সিম পরিবর্তনের পর ট্র্যাকিংয়ে ধরা পড়ে বাপেন। সোমবার সকালে বাপেন ও প্রবীরকে আটক করা হলে বেরিয়ে আসে হত্যার রহস্য।

নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার মঈনুল হক জানান, মূলত প্রযুক্তি ব্যবহার করেই বাপেন ও পিন্টুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কী কী কারণে প্রবীরকে হত্যা করা হয়েছে তার আদ্যোপান্ত জানার চেষ্টা চলছে।

উল্লেখ্য, ১৮ জুন সকালে ব্যবসায়িক কাজে সোনারগাঁর বারদী যান স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রবীর ঘোষ। পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে তিনি বাড়িতে ফিরে আসেন। রাত ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে তার মুঠোফোনে একটি কল এলে তিনি কাউকে কিছু না বলে আবার বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। এর পর থেকে তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরদিন ১৯ জুন সকালে প্রবীর ঘোষের বাবা বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি জিডি করেন।

 

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads