• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
পানির ট্যাংকে মিলল মা-মেয়ের লাশ

চট্টগ্রামের মানচিত্র

ছবি: বাংলাদেশের খবর

অপরাধ

খুন করে ট্যাংকে ফেলে দিল মা মেয়ের লাশ

  • চট্টগ্রাম ব্যুরো
  • প্রকাশিত ১৫ জুলাই ২০১৮

চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী খানার আমবাগান এলাকার একটি চারতলা ভবনের পানির ট্যাংক থেকে মা-মেয়ের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ দুই জনের মৃতদেহ উদ্ধার করে। আমবাগানের ফ্লোরাপাস রোডের একটির চারতলা ভবনে এ হত্যাকান্ড সংঘঠিত হয়। ভবনটি দখলকে কেন্দ্র করে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা এ হত্যাকান্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে নিহতের স্বজনরা জানিয়েছেন।

নিহতরা হলেন, চাঁদপুর জেলার মতলব পুরানবাজার এলাকার ফজলুর রহমানের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৯৭) ও তার মেয়ে অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকতা শাহ মেহেরুন নেসা বেগম (৬৭)।

খুলশী থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন জানান, রোববার সকাল ১১টার দিকে নিহতদের স্বজনরা থানায় খবর দিলে পুলিশ ওই বাড়িতে উপস্থিত হয়। চার তলা বাড়ির নিচতলা থেকে তিন তলা পর্যন্ত ফ্ল্যাটগুলোতে কোন মানুষ থাকতো না। চার তলায় নিহত বৃদ্ধা ও তার মেয়ে থাকতো। এটি পরিকল্পিত একটি হত্যাকান্ড। পুলিশ সবদিক খতিয়ে দেখছে। ঘটনায় জড়িতদের সনাক্ত করতে পুলিশের বিভিন্ন বিভাগ কাজ করছে। তিনি আরও জানান, তাদের কোন শত্রু ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বাড়ি দখল নিয়ে তাদের হুমকির বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছে পুলিশ।

মেহেরুন্নেসার প্রতিবেশী মাকসুদুর রহমান বাবুল জানান, মেহেরুন্নেসার নেসার ছোট ভাই মাসুদ আমেরিকা প্রবাসী। তিনি রোববার সকাল থেকে বোনের মোবাইল বন্ধ পাচ্ছিলেন। মাসুদ আমেরিকা থেকে প্রতিবেশী মাকসুদকে কল দিয়ে মেহেরুন্নেসার খোঁজ নিতে বলেন। মাকসুদ সকাল সাড়ে ১০টায় গিয়ে ওই বাড়ির গেইট বন্ধ দেখতে পান। পরে পাশের নির্মাণাধীন ভবনের দ্বিতীয় তলা দিয়ে বাড়ির ভেতর প্রবেশ করেন। চারতলায় গিয়ে জানালা দিয়ে দেখেন ফ্ল্যাটের ভেতর জিনিসপত্র এলোমেলো অবস্থায় রয়েছে। এরপর বিষয়টি তিনি পুলিশকে অবহিত করেন।

নিহত মেহেরুন নেসার ভাগিনা বেলাল উদ্দিন জানান, মেহেরুন নেসা রুপালী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার হিসেবে কয়েকবছর অবসরে যান। তিনি অবিবাহিত ছিলেন। মাকে নিয়ে তিনি এ বাড়িতে থাকতেন। বাড়িটি তার মেহেরুন্নেসার নামে। কিছুদিন ধরে তিনি বাড়িটি বিক্রি করে দিতে চাচ্ছিলেন। স্থানীয় কিছু সন্ত্রাসী বাড়িটি দখল করতে তাদের বাড়ি ছেড়ে দিতে হুমকি দিয়ে আসছিলেন বলে মেহেরুন্নেসা তাদের জানিয়েছিলেন।

চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার কুসুম দেওয়ান, ডিবি পলিশের উপ কমিশনার (উত্তর) হাসান মোহাম্মদ শওকত আলী, মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) আবদুল ওয়ারিশসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads