• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
প্রাথমিকে সত্যতা মিলেছে দুদক অনুসন্ধানে 

দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি

সংরক্ষিত ছবি

অপরাধ

বড়পুকুরিয়ায় কয়লা উধাও

প্রাথমিকে সত্যতা মিলেছে দুদক অনুসন্ধানে 

  • নিজস্ব প্রতিবেদক ও দিনাজপুর প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৪ জুলাই ২০১৮

দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনিতে দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগের অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ইতোমধ্যে প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পেয়েছে সংস্থাটির আঞ্চলিক কার্যালয়ের কর্মকর্তারা। গতকাল সোমবার দিনাজপুর দুদক কার্যালয়ের উপপরিচালক বেনজীর আহমেদ এ কথা জানান।

এদিন বিকাল ৩টায় বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ইয়ার্ড পরিদর্শন শেষে বেনজীর বলেন, ‘বাস্তবে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনিতে এখন ১ লাখ ৪৬ হাজার টন কয়লা থাকার কথা। কিন্তু আমরা পেয়েছি মাত্র ২ হাজার টন। পুরো অনুসন্ধান শেষে সত্যতা পেলে হয়তো মামলা হবে। প্রাথমিক অনুসন্ধানে আমরা যেটা পেয়েছি সেটি দুদকের প্রধান কার্যালয়কে জানিয়ে দিয়েছি। কমিশন এখন এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে।’ এর আগে কমিশন দুদকের দিনাজপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালকে প্রাথমিক অনুসন্ধানের নির্দেশ দেয়।

এদিকে কয়লা উধাওয়ের ঘটনা অনুসন্ধানে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে দুদক। সংস্থাটির উপপরিচালক সামসুল আলমকে প্রধান করে সোমবার এ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন সহকারী পরিচালক এএসএম সাজ্জাদ হোসেন ও উপসহকারী পরিচালক এএসএম তাজুল ইসলাম। অনুসন্ধান কার্যক্রম তদারক করবেন দুদক পরিচালক কাজী শফিকুল আলম।

এই কমিটি আজ (মঙ্গলবার) সংশ্লিষ্ট দফতরে রেকর্ডপত্র চেয়ে চিঠি পাঠাবে। কয়লাখনি ও তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের রেকর্ডপত্র চাওয়া হচ্ছে ওই চিঠিতে। এ ছাড়া যাদের দায়িত্ব এবং নিয়ন্ত্রণে কয়লাখনিটি পরিচালিত হয়ে আসছে তাদের ব্যক্তিগত তথ্যও চাওয়া হবে চিঠিতে।

জানা যায়, গত ২০ জুন খনি কর্তৃপক্ষ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডকে (পিডিবি) নিশ্চিত করে খনির কোল ইয়ার্ডে ১ লাখ ৮০ হাজার টন কয়লা মজুত রয়েছে। কিন্তু ৪-৫ দিন আগে খনি কর্তৃপক্ষ পিডিবিকে জানায়, কোল ইয়ার্ডে কয়লার মজুত শেষ পর্যায়ে। অথচ খনির কোল ইয়ার্ডে বর্তমানে দেড় লাখ টন কয়লা মজুত থাকার কথা। এই ঘটনায় খনির মহাব্যবস্থাপক (মাইন অপারেশন) নূরুজ্জামান চৌধুরী ও উপমহাব্যবস্থাপক (স্টোর) খালেদুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী হাবিব উদ্দিন আহমদকে অপসারণ করে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যানের দফতরে সংযুক্ত করা হয় এবং মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন ও কোম্পানি সচিব) আবুল কাশেম প্রধানিয়াকে সিরাজগঞ্জে তাৎক্ষণিক বদলি করা হয়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads