বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ১ লাখ ৪৪ হাজার টন কয়লা চুরির মামলায় মোট ২১ কর্মকর্তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপ-পরিচালক সামছুল আলম ইমিগ্রেশন পুলিশকে চিঠি দিয়ে নতুন করে খনির ১৭ কর্মকর্তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা জানান। এর আগে খনির আরো ৪ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
এ বিষয়ে দুদক সচিব ড. শামসুল আরেফিন বলেন, ‘মামলার তদন্তের প্রয়োজনে তদন্ত কর্মকর্তা আসামিদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপের চিঠি দিয়েছেন। এটি নিরপেক্ষ তদন্তে সহায়ক হবে। এ নিয়ে ২১ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলো। তদন্ত কর্মকর্তা ইচ্ছা করলে সংশ্লিষ্ট অন্যদের বিষয়েও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারেন।’
দুদক জানায়, এর আগে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির (কোল মাইনিং কোম্পানি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাবিব উদ্দিন আহমেদসহ চারজনের বিরুদ্ধে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
এদিকে এ নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আওরঙ্গজেব দেশত্যাগ করেছেন বলে জানা গেছে। দেশত্যাগের পরই আগামীকাল ১ আগস্ট তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুদক। বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি থেকে কয়লা গায়েবের ঘটনায় গত ২৭ জুলাই রাতে মামলা করেন খনির ব্যবস্থাপক ( প্রশাসন) মোহাম্মদ আনিছুর রহমান বাদি হয়ে মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এদিকে খনির কয়লা উধাওয়ের সঙ্গে জড়িতদের সম্পদ অনুসন্ধানে নেমেছে দুদক। পেট্রোবাংলার নিজস্ব তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, গায়েব হওয়া কয়লার অর্থমূল্য ২০০ কোটি টাকারও বেশি। দুদকের ধারণা, এ অর্থ কয়লা খনি ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তারা হাতিয়ে নিয়েছেন।