• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় গঠিত কমিটির তদন্ত শুরু

বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ইয়ার্ড থেকে কয়লা উধাও কেলেঙ্কারি তদন্ত শুরু

সংরক্ষিত ছবি

অপরাধ

কয়লা কেলেঙ্কারি

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় গঠিত কমিটির তদন্ত শুরু

  • পার্বতীপুর প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৩ আগস্ট ২০১৮

বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ইয়ার্ড থেকে কয়লা উধাও কেলেঙ্কারি তদন্ত শুরু করেছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় গঠিত তদন্ত কমিটি। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রশাসন বিভাগের মহাপরিচালক (ডিজি) খলিলুর রহমানসহ চার সদস্যের উচ্চপদস্থ প্রতিনিধিদল গতকাল বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থলে গিয়ে দুপুর থেকে তদন্তকাজ শুরু করেছে। খলিলুর রহমানকে প্রধান করে গঠিত তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন পেট্রোবাংলার পরিচালক (মাইন অপারেশন) মো. কামরুজ্জামান, যুগ্মসচিব নাজমুল হক, দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ড. মো. শহীদ চৌধুরী ও পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রেহানুল হক। এদিকে আমাদের পার্বতীপুর সংবাদদাতা জানান, তাপবিদ্যুৎ  কেন্দ্রের শ্রমিকরা কয়লা লুটপাটের প্রতিবাদে কয়লাখনি সংলগ্ন বাজারের মূল রাস্তায় গতকাল দুপুর ১২টায় লাল ঝাণ্ডা হাতে বিক্ষোভ মিছিল করেন। এছাড়া তারা চাকরি স্থায়ীকরণেরও দাবি জানান।

গত ১৯ জুলাই দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ইয়ার্ড থেকে ১ লাখ ৪৪ হাজার টন কয়লা উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনা ধরা পড়ে। এ ঘটনায় বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের (বিসিএমসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী হাবিব উদ্দিন আহমদ, মহাব্যবস্থাপক (মাইন অপারেশন) নুরুজ্জামান চৌধুরী ও উপমহাব্যবস্থাপক (স্টোর) খালেদুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। কয়লাখনি কোম্পানি সচিব ও মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) আবুল কাশেম প্রধানিয়াকে পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড সিরাজগঞ্জে বদলি করা হয়। খনির উচ্চপদস্থ এই তিন কর্মকর্তাসহ ১৯ কর্মকর্তার নামে দুর্নীতি দমন আইনে পার্বতীপুর মডেল থানায় গত ২৪ জুলাই একটি মামলা হয়।

মামলাটি তদন্ত করছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক শামসুল আলম। মামলার আসামি ১৯ কর্মকর্তা ও খনির সাবেক দুই ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানায় দুদক।

এদিকে মামলার নথি দুদকের দিনাজপুর আঞ্চলিক শাখা থেকে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাও বিষয়টির তদন্ত শুরু করেছে এবং খনি এলাকা সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রাখা হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads