ভারতে পাচারের সময় যশোরের শার্শা উপজেলার নারিকেলবাড়িয়া ও শিকড়ি থেকে ৬৩৫টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়েছে। এগুলোর ওজন প্রায় ৭৫ কেজি। দাম ৩৬ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। এ সময় এক নারীসহ তিন ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। তবে সোনার মূল মালিককে ধরা যায়নি। গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টা ও গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে অভিযান চালিয়ে এই সোনা জব্দ করেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ৪৯ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা। এত বিপুল পরিমাণ সোনা জব্দের ঘটনা বাংলাদেশে রীতিমতো বিরল।
যশোর ৪৯ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ আরিফুল হক জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বেনাপোলের শিকারপুর সীমান্তের নারিকেলবাড়িয়া এলাকা থেকে ৭২ কেজি ৭৫৯ গ্রাম (৬২৪টি বার) সোনাসহ মহিউদ্দিন নামে এক পাচারকারীকে আটক করা হয়। তিনি শার্শা উপজেলার শিকারপুর গ্রামের মোজাম্মেল হোসেনের ছেলে।
অপর এক অভিযানে শুক্রবার সকাল ৮টার সময় বেনাপোল পোর্ট থানার বেনাপোল-পুটখালী সড়কের শিকড়ি নামক স্থান থেকে ১১টি সোনার বারসহ (২ কেজি) সফুরা খাতুন ও ইসরাফিল নামে দুই পাচারকারীকে আটক করা হয়। সফুরা খাতুন বেনাপোল পোর্ট থানার দৌলতপুর গ্রামের কাশেম আলীর স্ত্রী। ইসরাফিল একই থানার ভবারবেড় গ্রামের ইব্রাহিমের ছেলে। সোনাসহ আটক তিনজনকে বেনাপোল পোর্ট থানায় সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিজিবি।
বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম বলেন, বিজিবি কর্তৃপক্ষ তিন পাচারকারীকে সোনাসহ পোর্ট থানায় সোপর্দ করেছে। এ ব্যাপারে থানায় সোনা পাচার আইনে দুটি মামলা করা হয়েছে। আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে যশোর আদালতে পাঠানো হবে।