• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
বড়পুকুরিয়ার ৭ কর্তাকে দুদকে জিজ্ঞাসাবাদ

লোগো দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)

সংরক্ষিত ছবি

অপরাধ

বড়পুকুরিয়ার ৭ কর্তাকে দুদকে জিজ্ঞাসাবাদ

তদন্ত দ্রুত শেষ করার আশা দুদক চেয়ারম্যানের

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৭ আগস্ট ২০১৮

২৩০ কোটি টাকা মূল্যের কয়লা আত্মসাৎ মামলায় দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি কোম্পানির বর্তমান ও সাবেক সাত কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল বৃহস্পতিবার দুদকের উপপরিচালক মো. সামছুল আলমের নেতৃত্বে গঠিত টিম তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে এ জিজ্ঞাসাবাদ চলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। দুদকের নোটিশে তলব করা ৩২ জনের মধ্যে বাকি ২৫ জনকে আগামী ২৮, ২৯ ও ৩০ আগস্ট জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

বৃহস্পতিবার জিজ্ঞাসাবাদ করা সাত কর্মকর্তা হলেন- বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির উপমহাব্যবস্থাপক নাজমুল হক, কোল হ্যান্ডলিং ম্যানেজমেন্টের ব্যবস্থাপক শোয়েবুর রহমান, সহকারী ব্যবস্থাপক মাহবুব রশিদ, প্রোডাকশন ম্যানেজমেন্টের উপব্যবস্থাপক সাঈদ মাসুদ ও সহকারী ব্যবস্থাপক মো. মনিরুজ্জামান, মেইনটেন্যান্স অ্যান্ড অপারেশনের উপব্যবস্থাপক মাহাবুব হোসেন ও ব্যবস্থাপক (স্টোর) দিদারুল কবির। এর আগে গত ১৪ আগস্ট কোম্পানির সাবেক এমডি এম. আমিনুজ্জামান, প্রকৌশলী খুরশিদ হাসান, কামরুজ্জামান ও সাবেক জিএম মিজানুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

এদিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে এই মামলার তদন্ত কাজ শেষ হবে বলে মন্তব্য করেছেন দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। বৃহস্পতিবার বিকালে অফিস থেকে বের হওয়ার সময় দুদক চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের বলেন, ‘মামলার গুরুত্ব বিবেচনা করে আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে এই মামলার শেষ পরিণতি দেখাতে পারব বলে আশা করছি।’

উল্লেখ্য, খনি থেকে ১ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৪ টন কয়লা গায়েব হয়েছে। এ ঘটনায় গত ২৪ জুলাই পার্বতীপুর মডেল থানায় বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মোহাম্মদ আনিছুর রহমান বাদী হয়ে ১৯ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, খনি উন্নয়নের সময় (২০০১) থেকে ১৯ জুলাই ২০১৮ পর্যন্ত মোট ১ কোটি ১ লাখ ৬৬ হাজার ৪২ দশমিক ৩৩ টন কয়লা উৎপাদন করা হয়েছে। উৎপাদিত কয়লা থেকে পার্শ্ববর্তী তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে ৬৬ লাখ ৮৭ হাজার ২৯ দশমিক ২৯ টন কয়লা সরবরাহ, বেসরকারি ক্রেতাদের কাছে ডিওর মাধ্যমে ৩৩ লাখ ১৯ হাজার ২৮০ দশমিক ৩৭ টন কয়লা বিক্রি এবং কয়লা খনির বয়লারে ১২ হাজার ৮৮ দশমিক ২৭ টন কয়লা ব্যবহার করা হয়। কয়লার উৎপাদন, বিক্রি ও ব্যবহার হিসাব করলে ১৯ জুলাই কোল ইয়ার্ডে রেকর্ডভিত্তিক কয়লার মজুত দাঁড়ায় ১ লাখ ৪৭ হাজার ৬৪৪ দশমিক ৪০ টন। কিন্তু বাস্তবে মজুত ছিল মাত্র তিন হাজার টন কয়লা। অর্থাৎ ১ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৪ দশমিক ৪০ টন কয়লা ঘাটতি রয়েছে, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ২৩০ কোটি টাকা বলে জানানো হয়।

কয়লা উধাওয়ের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৩ জুলাই তদন্ত কমিটি গঠন করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কমিটিকে পরবর্তী ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার কথা বলা হয়েছে। কমিটির প্রধান উপ-পরিচালক শামসুল আলম এবং অপর দুই সদস্য হলেন, দুদকের সহকারী পরিচালক এএসএম সাজ্জাদ হোসেন ও উপ-সহকারী পরিচালক এএসএম তাজুল ইসলাম।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads