ঢাকার সাভারে সহপাঠীকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় ইভটিজারদের হাতে খুন হন কলেজছাত্র মারুফ খান। ঈদের আগের দিন গত মঙ্গলবার রাতের ওই ঘটনার চার দিন পেরিয়ে গেলেও মূল আসামিদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আসাদুল নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সাভার মডেল থানার এসআই ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অপূর্ব বালা দাস বলেন, ‘উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করার কারণে কলেজছাত্রকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে বখাটে মঞ্জু ও তার লোকজন। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদেরও গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’ নিহত মারুফ খান ঢাকা কমার্স কলেজের ছাত্র ছিলেন। তিনি সাভার পৌর এলাকার নামা গেণ্ডা মহল্লার আতাউর রহমানের ছেলে।
পুলিশ জানায়, গত মঙ্গলবার রাতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে সাভারের উলাইল গরুর হাটের সামনে দিয়ে মুনা নামে এক কলেজছাত্রী হেঁটে যাচ্ছিলেন। এ সময় গরুর হাটের কাজের জন্য থাকা স্থানীয় বখাটে মঞ্জু, শ্যামল ও প্লাবনসহ কয়েকজন যুবক তাকে উত্ত্যক্ত করে। কলেজছাত্রীর সহপাঠী মারুফ এ ঘটনার প্রতিবাদ করে ঘটনাস্থল থেকে সামনের দিকে চলে যান। কিছুক্ষণ পর মারুফ রাজাবাড়ী এলাকায় পৌঁছালে বখাটেরা তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা মারুফকে উদ্ধার করে এনাম মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে নেন। অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মারুফকে মৃত ঘোষণা করেন। ওই রাতেই নিহতের ভাই লুৎফর রহমান খান বাদী হয়ে শ্যামল, মঞ্জু, প্লাবন, রহিজ, শামীম, ইমরান ও মমিনসহ নয়জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত তিনজনকে আসামি করে সাভার মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
লুৎফর রহমান বলেন, ‘মঞ্জুর নেতৃত্বে ১০-১২ জনের এক দল বখাটে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে টিয়াবাড়ী এলাকায় সময় কাটায়। তারা ওই সড়ক দিয়ে আসা যাওয়ার সময় স্কুল-কলেজের ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করে। ২০১৬ সালে ব্যাংক কলোনি মহল্লায় এক স্কুলছাত্রীকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় মঞ্জু গ্রুপ তিন শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে জখম করে। ওই ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হলেও তারা ইভটিজিং বন্ধ করেনি।’