পাবনায় সুবর্ণা নদী (২৫) নামের এক সাংবাদিককে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে শহরের রাধানগর মহল্লায় তাঁর ভাড়া বাসার সামনে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
সুবর্ণা নদী বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আনন্দ টিভি ও দৈনিক জাগ্রত বাংলা পত্রিকার পাবনা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতেন। পাবনা জেলার আটঘরিয়া উপজেলার একদন্ত গ্রামের মৃত আইয়ুব আলীর মেয়ে তিনি।
সুবর্ণার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। তবে স্বামীর সঙ্গে তার ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
সুবর্ণার বোন চম্পা খাতুন বলেন, রাজিবুল রাজুর সঙ্গে দু'তিন বছর আগে সুবর্ণার বিয়ে হয়। পরে তাদের ডিভোর্স হয়। এ ঘটনায় রাজিবুল ও তার পরিবারের পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন সুবর্ণা। এ মামলায় মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে সাক্ষ্য দেন সুবর্ণা। তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিকেলে সাত বছরের মেয়ে জান্নাতকে নিয়ে বাইরে বের হন সুবর্ণা। রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাসার সামনে তার ওপর সশস্ত্র হামলা চালায় মোটরসাইকেলে আসা সন্ত্রাসীরা। ভাড়াটিয়া বাহিনী দিয়ে আবুলের পরিবারই এ হামলা চালিয়েছে।
চিৎকার শুনে প্রতিবেশী ও স্বজনেরা তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ১০টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক সুবর্ণাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সুবর্ণার হাত ও মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন রয়েছে। তবে তাৎক্ষণিভাবে তাকে হত্যার কারণ জানা যায়নি। তার মৃতদেহ হাসপাতালে রাখা আছে। ময়নাতদন্ত শেষে বুধবার পরিবারের কাছে মৃতদেহ হস্তান্তর করা হবে জানায় পুলিশ।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) গৌতম কুমার বিশ্বাস বলেন, ঘটনার পর পুলিশের তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। হামলাকারী যেই হোক না কেন তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।