• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
বাঁচানো গেল না কলেজছাত্রী মুক্তিকে

গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দগ্ধ করা কলেজ শিক্ষার্থী মুক্তি খাতুন

সংগৃহীত ছবি

অপরাধ

পাবনায় পেট্রোল ঢেলে আগুন

বাঁচানো গেল না কলেজছাত্রী মুক্তিকে

বিচার দাবিতে মানববন্ধন ২৪ জন আটক

  • পাবনা প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৯ আগস্ট ২০১৮

পাবনায় জমির বিরোধের জেরে মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে হামলা চালিয়ে গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দগ্ধ করা কলেজ পড়ুয়া মেয়ে মুক্তি খাতুন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। ৯ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গত সোমবার রাত ১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি। নিহত মুক্তি জেলার সাঁথিয়া উপজেলার নাগডেমরা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হকের মেয়ে এবং পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের দর্শন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। মুক্তির ভাই নাছির উদ্দিন তার বোনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এদিকে কলেজছাত্রী মুক্তি খাতুন হত্যার প্রতিবাদে ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে পাবনা প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ ও আমরাই পারি পারিবারিক নির্যাতন প্রতিরোধ জোট। থানা পুলিশ এ মামলার ২৪ আসামিকে আটক করলেও প্রধান আসামি নাগডেমরা ইউপির ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুস সালাম ও কিসমতের ছেলে জাহিদকে এখনো আটক করতে পারেনি।

সাঁথিয়া থানার ওসি আবদুল মজিদ প্রাথমিক তদন্তের তথ্য দিয়ে বলেন, মুক্তির বাবা মোজাম্মেল হক ও একই গ্রামের আবদুস সালামের মধ্যে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছিল। গত ১৯ আগস্ট দিনের বেলায় ওই গ্রামের সালাম ও জাহিদের নেতৃত্বে ২০-৩০ জনের একটি দল মোজাম্মেলের বাড়িতে হামলা চালায়। মোজাম্মেল বাড়ি না থাকায় হামলাকারীরা তার মেয়ে মুক্তির গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।

ওসি জানান, হামলার ঘটনায় ইতোমধ্যেই মামলা হয়েছে। এটা এখন হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হবে। প্রধান আসামি সালাম ও জাহিদকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

অপরদিকে মুক্তির মৃত্যুর খবরে গতকাল মঙ্গলবার ভোর থেকেই আত্মীয়স্বজনরা তাদের বাড়িতে আসতে শুরু করেন। সাঁথিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল্লাহ আল মাহমুদ দেলোয়ার এবং উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আবদুল লতিফ এ হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেছেন। ওসি আবদুল মজিদ জানিয়েছেন, মুক্তির মৃত্যুর পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ওই গ্রামে ও মুক্তির বাড়িতে অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। মুক্তির মৃত্যুকালীন জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এদিকে নিহত মুক্তির বাবা মোজাম্মেল হক অভিযোগ করেছেন, মামলা করায় আসামিরা তাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে।

নাগডেমরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুন-উর রশিদ বলেন, যারাই এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকুক তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া প্রয়োজন।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads