• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯
‘রাজীব ও মিলন আমাকে কুপিয়েছে’

বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আনন্দ টিভি ও পাবনার অনলাইন পোর্টাল ‘দৈনিক জাগ্রত বাংলা’র সম্পাদক ও প্রকাশক সুবর্ণা নদী (৩০)

সংগৃহীত ছবি

অপরাধ

সাংবাদিক সুবর্ণা হত্যা

‘রাজীব ও মিলন আমাকে কুপিয়েছে’

  • পাবনা প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৯ আগস্ট ২০১৮

‘রাজীব ও তার সহকারী মিলনসহ কয়েকজন আমাকে কুপিয়েছে। আমি তাদের চিনতে পেরেছি। আমি তাদের ফাঁসি চাই।’ এমটাই বলছিলেন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আনন্দ টিভি ও পাবনার অনলাইন পোর্টাল ‘দৈনিক জাগ্রত বাংলা’র সম্পাদক ও প্রকাশক সুবর্ণা নদী (৩০)। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মাকে এসব কথা বলেন সুবর্না।

সুবর্ণার মা মর্জিনা বেগম বলেন, আহত মেয়েকে নিয়ে আমি হাসপাতালে যাই। হাসপাতালে যাওয়ার পথে সে আমাকে হামলাকারীদের নাম বলে। 'সে বলে, রাজীব ও তার সহকারী মিলনসহ কয়েকজন তাকে কুপিয়েছে। আমি তাদের চিনতে পেরেছি। আমি তাদের ফাঁসি চাই।

স্বামী ও শ্বশুরের পাশাপাশি সুবর্ণা যে বাড়িতে ভাড়া থাকতেন তার কেয়ারটেকারও সন্দেহ করা হচ্ছে। এরই মধ্যে মঙ্গলবার রাতে সুবর্ণার শ্বশুর ও কেয়ারটেকার ইমরান হোসেনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। তবে তার সাবেক স্বামী রাজীব এখনও পলাতক।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাজীবের বিরুদ্ধে গত বছর একটি যৌতুক মামলা করেছিলেন সুবর্ণা। মামলা নং-সিআর ২৯৭/১৭ (পাবনা)। মঙ্গলবার (২৮ আগস্ট) ওই মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ছিল। এইদন সাক্ষ্য দেন সুবর্ণার বড় বোন চম্পা বেগম। সাক্ষ্য রাজীবের বিপক্ষে যাওয়ায় তাদের সঙ্গে আদালত প্রাঙ্গণে বাকবিতণ্ডা হয়। তারপর সুবর্ণা তার অফিসে যায় এবং রাতে কাজ শেষে বাড়ির গেটে ঢোকামাত্রই ৩/৪ জন দুর্বৃত্ত এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ফেলে রেখে চলে যায়। এ সময় স্থানীয়দের সহযোগিতায় সুবর্ণাকে উদ্ধার করে তার মা পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

সুবর্ণার বড় বোন চম্পা বেগম বলেন, মঙ্গলবার (২৮ আগস্ট) সকালে আমার বোনের যৌতুক মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ ছিল। আমার সাক্ষ্য আসামির বিপক্ষে যাওয়ায় রাজীব ও তার সহযোগীরা আমাদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। এক পর্যায়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। আমরা তখন সেখান থেকে বাড়িতে চলে আসি।

তবে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনও মামলা হয়নি বলে জানিয়েছেন পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস। তিনি আরো বলেন, এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি। তবে খুব শিগগিরই আমরা মূল হোতাদের শনাক্ত এবং গ্রেফতার করে আইনের মুখোমুখি করতে সক্ষম হবো।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads