• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
ধর্মমন্ত্রীর ছেলেসহ আসামি ২৫

মোহিত উর রহমান শান্ত

সংগৃহীত ছবি

অপরাধ

হাইকোর্টের নির্দেশে আজাদ হত্যা মামলা

ধর্মমন্ত্রীর ছেলেসহ আসামি ২৫

  • ময়মনসিংহ ব্যুরো
  • প্রকাশিত ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৮

ময়মনসিংহ মহানগর যুবলীগের সদস্য সাজ্জাদ আলম শেখ আজাদ ওরফে আজাদ শেখ হত্যার এক মাস পর হাইকোর্টের নির্দেশে মামলা গ্রহণ করেছে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। এই মামলায় ধর্মমন্ত্রী প্রিন্সিপাল মতিউর রহমানের ছেলে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহিত উর রহমান শান্তসহ ২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে মামলাটি রুজু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মাহমুদুল ইসলাম।

এর আগে গত ৩১ জুলাই ময়মনসিংহ শহরের আকুয়ার নাজিরবাড়ীতে মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শেখ আজাদকে গুলি, গলা কেটে ও কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে প্রতিপক্ষরা। হত্যাকাণ্ডের দুই দিন পর আজাদ শেখের স্ত্রী দিলরুবা আক্তার দিলু বাদী হয়ে ধর্মমন্ত্রীর ছেলে মোহিত উর রহমান শান্ত, মহানগর যুবলীগের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক রাসেল পাঠান, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মন্তু বাবুসহ ২৫ জনকে আসামি করে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। তবে অধিকতর তদন্তের অজুহাতে গত এক মাসেও স্পর্শকাতর এ মামলাটি  রুজু করেনি পুলিশ।

এজাহার দায়েরের পরও পুলিশ মামলা গ্রহণ না করায় কয়েক দফা নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন, সমাবেশ করে জেলা, মহানগর আওয়ামী লীগ যুবলীগসহ আজাদের স্বজন ও এলাকাবাসী। খুনিদের বিচারের দাবিতে এতদিন উত্তাল ছিল ময়মনসিংহের রাজপথ।

তবে শুরু থেকেই মন্ত্রীর ছেলে শান্ত তাকে রাজনৈতিকভাবে ফাঁসাতেই এই হত্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে বলে দাবি করে আসছিলেন। তার পক্ষে ফেসবুকে সক্রিয় থাকতে দেখা যায় তার বলয়ের নেতাকর্মীদের।

এদিকে পুলিশ মামলা গ্রহণ না করায় প্রয়াত যুবলীগ নেতা শেখ আজাদের স্ত্রী দিলরুবা আক্তার দিলুর পক্ষে রিট করেন আইনজীবী আফিল উদ্দিন। রিটকারীর পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না।

জেড আই খান পান্না গণমাধ্যমকে বলেন, বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি খিজির হায়াত সমন্বয়ে গঠিত অবকাশকালীন বেঞ্চ গত বৃহস্পতিবার (৩০ আগস্ট) মামলার এজাহার গ্রহণ করতে আদেশ দেন। আদেশ বাস্তবায়নের প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৪ সেপ্টেম্বর পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়।

ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মাহমুদুল ইসলাম জানান, হাইকোর্টের নির্দেশে ৩১ আগস্ট শুক্রবার রাতে হত্যা মামলাটি রুজু করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে মাঠে নেমেছে পুলিশ।

এদিকে, মন্ত্রীর ছেলের নামে মামলা দায়েরের পর থেকেই আলোচনার ঝড় বইছে নগরীর সর্বত্রই। তবে এই বিষয়ে একাধিকবার মন্ত্রীর ছেলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। তিনি দেশের বাইরে অবস্থান করছেন বলে তার একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র দাবি করেছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads