• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
‘মাত্র ১৪ হাজার টাকায় বিক্রি হয় তারা’

যাত্রীবাহী বাস থেকে ১২০টি সোনার বারসহ ছয়জনকে আটক করে র্যাব

ছবি : বাংলাদেশের খবর

অপরাধ

‘মাত্র ১৪ হাজার টাকায় বিক্রি হয় তারা’

৮৪ হাজার টাকা চুক্তিতে ছয় কোটি টাকার সোনা বহন করছিল ওরা ছয়জন

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮

সিলেট থেকে ঢাকায় সোনার বার পৌঁছে দিলেই জনপ্রতি নগদ ১৪ হাজার টাকা! সঙ্গে যাওয়া-আসাসহ নাশতা ফ্রি। ছয়জনের সঙ্গে এমন চুক্তি হয় সোনা চোরাকারবারিদের। মাত্র ৮৪ হাজার টাকায় ছয় কোটি টাকার সোনার চালান ঢাকার উদ্দেশে পাঠানো হয়। তবে ঢাকায় আসার পথে এনা ও গ্রিনলাইন পরিবহনের যাত্রীবাহী বাস থেকে ১২০টি সোনার বারসহ ওই ছয়জনকে আটক করে র্যাব। আটককৃতরা হলো এনা পরিবহনের যাত্রী নোয়াখালীর চাটখীল উপজেলার মাধবপুর গ্রামের আব্বাস আলীর ছেলে জামাল হোসেন (২২), ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার ক্যাম্পপাড়া গ্রামের সাজু মিয়ার ছেলে তানভীর আহম্মেদ (২৫) ও একই উপজেলার উজ্জ্বলপুর গ্রামের সাজু মিয়ার ছেলে রাজু আহমেদ (৩০) এবং গ্রিনলাইনের যাত্রী শরীয়তপুরের পালং থানার উত্তর বিলাসখান গ্রামের রবিউল্লাহ শরীফের ছেলে রাজু হোসেন (২৩), চট্টগ্রামের কাঞ্চননগর গ্রামের মৃত আবুল বাশারের ছেলে আবুল হাসান (৩৫) ও ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার জোড়খালী গ্রামের সাইদুর রহমানের ছেলে আলাউদ্দিন (৩২)।

র্যাব সূত্র জানায়, চোরাচালানকারী চক্রকে আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে র্যাব-৩-এর একটি বিশেষ টিম গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রাখে। এর ধারাবাহিকতায় সোনা চোরাচালানকারী চক্রের কিছু সদস্য অবৈধভাবে চোরাচালানের মাধ্যমে সিলেট থেকে ঢাকার উদ্দেশে সুকৌশলে সোনা বহন করে নিয়ে যাচ্ছে- এমন সংবাদে র্যাব-৩ পাঁচদোনা এলাকায় চেকপোস্ট বসায়। গত রোববার তাদের আটক করা হয়। র্যাব আরো জানায়, আটক ছয় যাত্রীর প্রত্যেকের কাছে ২০টি করে সোনার বার ছিল। সোনার বারগুলোর আনুমানিক মূল্য ছয় কোটি টাকা। গতকাল বেলা ১১টায় রাজধানীর কারওয়ানবাজারের র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব-৩-এর উপ-অধিনায়ক মেজর রাহাত হারুন খান।

তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নরসিংদীর পাঁচদোনা এলাকা থেকে রোববার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে এনা পরিবহনের বাসে তল্লাশি চালিয়ে তিন যাত্রীর কাছ থেকে ৬০টি সোনার বার জব্দ করা হয়। অন্যদিকে বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে একই রুটে গ্রিনলাইনের একটি বাসে তল্লাশি চালিয়ে আরো তিনজনের কাছ থেকে ৬০টি সোনার জব্দ করা হয়। র্যাব-৩-এর উপ-অধিনায়ক বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, আটক ছয় যাত্রী সোনার বাহক। তাদের প্যান্টের গোপন পকেটে প্রত্যেকের কাছে ২০টি করে মোট ১২০টি সোনার বার ছিল। আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে সোনা চোরাচালানের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত। চোরাচালানের মাধ্যমে সোনার বার তারা দেশের সীমান্ত দিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে পাচার করে আসছিল।

বাহক গ্রেফতার হলেও সোনা চোরাচালানের মূলহোতারা গ্রেফতার হয় না কেন? সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে রাহাত হারুন খান বলেন, সোনার চোরাচালানে মাফিয়ারা টাকার বিনিময়ে বাহক ঠিক করে। তাদের মাধ্যমে গন্তব্যে সোনা আনা-নেওয়ার কাজ করে। যে কারণে আড়ালেই থেকে যায় তারা। তবে আমরা আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে মূল হোতাদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads