• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
সাতক্ষীরার ৩৯ ব্যবসায়ীর হিসাব তদন্ত শুরু

বাংলাদেশ ব্যাংক

সংরক্ষিত ছবি

অপরাধ

সাতক্ষীরার ৩৯ ব্যবসায়ীর হিসাব তদন্ত শুরু

  • সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮

লেনদেন অস্বাভাবিক এবং সন্দেহজনক হওয়ায় সাতক্ষীরার ৩৯ ব্যবসায়ীর ব্যাংক হিসাব তদন্তে নেমেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত সোমবার থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব বাশিরুল আলমের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি টিম তালিকাভুক্ত ওইসব ব্যবসায়ীর ব্যাংক হিসাব তদন্ত শুরু করে। টিমের অন্য দুই সদস্য হলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের উপপরিচালক গাজী মনিরুদ্দিন ও সালেহ উদ্দিন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সাতক্ষীরার বিভিন্ন ব্যাংকে পাঠানো তালিকাভুক্ত ৩৯ ব্যবসায়ীর মধ্যে রয়েছেন- সাতক্ষীরার জেলা শহরসহ বিভিন্ন উপজেলার জুয়েলার্স মালিক, ভোমরার একাধিক সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ী, কয়েকজন গরু ব্যবসায়ী, কয়েকজন বর্তমান ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান, একজন উপজেলা চেয়ারম্যান ও একজন জেলা পরিষদ সদস্য। যেসব ব্যবসায়ীর ব্যাংক হিসাব তদন্ত শুরু হয়েছে তারা হলেন- সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আলীপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রউফ, সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ সদস্য আল ফেরদৌস আলফা, বৈকারীর ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান অসলে, ভোমরার ইউপি চেয়ারম্যান ইসরাইল গাজী, ভোমরা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কাজী নওশাদ দিলওয়ার রাজু, জনপ্রিয় জুয়েলার্সের স্বত্বাধিকারী সুমন কর্মকার ও বাবু কর্মকার, বৈকারীর রাশেদুল ইসলাম, পদ্মশাখরার লিয়াকত হোসেন, ঘোনার হাবিবুর রহমান, জেলা শহরের খান মার্কেটের অংকন জুয়েলার্সের স্বত্বাধিকারী গৌর দত্ত, অমিত জুয়েলার্সের স্বত্বাধিকারী জয়দেব দত্ত, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম মোর্শেদ, শ্রী জুয়েলার্সের স্বত্বাধিকারী দীনবন্ধু মিত্র, ঝাউডাঙ্গার এমভি জুয়েলার্সের স্বত্বাধিকারী মুকুন্দ ভারতী, ঝাউডাঙ্গার সাগর জুয়েলার্সের স্বত্বাধিকারী রবীন্দ্রনাথ দে, সাতক্ষীরা জেলা শহরের রয়েল স্যানেটারির স্বত্বাধিকারী নজরুল ইসলাম, ভোমরার এএস ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী আজিজুল ইসলাম, বাঁকালের ফিরোজ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী ফিরোজ হোসেন, বাঁকালের কে হাসান ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী খালিদ কামাল, ভোমরার মামা-ভাগ্নে ভাণ্ডারের স্বত্বাধিকারী আজহারুল ইসলাম, মেসার্স কাজী এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী কাজী নওশাদ দিলওয়ার রাজু, মেসার্স সুলতান এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী ইসরাইল গাজী, মেসার্স সাব্বির এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী শাহানুর ইসলাম শাহিন, মেসার্স নাজিম এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী গোলাম ফারুক বাবু (দেবহাটার পারুলিয়ার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান), মেসার্স রিজু এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আবু মুসা এবং মেসার্স রোহিত ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী রাম প্রসাদ, শ্যামনগর উপজেলার নকীপুরের বিশ্বজিৎ মণ্ডল, আশাশুনি উপজেলার নিউ দে জুয়েলার্সের স্বত্বাধিকারী দেব কুমার দে, তালা উপজেলার কুমিরার আদিত্য মজুমদার, ব্রাদার্স জুয়েলার্সের স্বত্বাধিকারী আশুতোষ দে, তালার দীপা জুয়েলার্সের স্বত্বাধিকারী গণেশ চন্দ্র শীল, তালার নিউ জুয়েলার্সের স্বত্বাধিকারী বাসুদেব দত্ত, কলারোয়া উপজেলার বলিয়ানপুরের জালালউদ্দিন গাজী, চন্দনপুরের গরু ব্যবসায়ী নাসির, কলারোয়া বাজারের সন্ধ্যা জুয়েলার্সের স্বত্বাধিকারী হরেন্দ্রনাথ রায়, আধুনিক জুয়েলার্সের স্বত্বাধিকারী গোপাল চন্দ্র দে, গাড়াখালী-কাকডাঙ্গার গরু ব্যবসায়ী ইউপি সদস্য ইয়ার আলী, সোনাবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান এসএম মনিরুল ইসলাম।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads