• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
বগুড়ায় অস্ত্রসহ ৫ শীর্ষ জঙ্গি গ্রেফতার

বগুড়ায় নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবির ৫ শীর্ষ জঙ্গিকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ

সংরক্ষিত ছবি

অপরাধ

বগুড়ায় অস্ত্রসহ ৫ শীর্ষ জঙ্গি গ্রেফতার

  • বগুড়া প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮

বগুড়ার শেরপুর উপজেলার মীর্জাপুর এলাকা থেকে মঙ্গলবার রাতে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন পুরনো জেএমবির ৫ শীর্ষ জঙ্গিকে বিদেশি পিস্তল, গুলি ও ধারালো অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতাররা হলো জেএমবির রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ইছাবা (সামরিক) এবং জেলবন্দি শাখার প্রধান শহিদুল্লাহ ওরফে মাসুম (৪৬), জেএমবির রাজশাহী বিভাগের ইছাবা প্রধানের দায়িত্বে থাকা বুলবুল ওরফে সোহাগ (৩২), ইছাবা সদস্য মাসুদ রানা (৩১), ইছাবা সদস্য আতিকুর রহমান ওরফে সৈকত (৩৩) ও ইছাবা সদস্য মিজানুর রহমান ওরফে দর্জি মিজান (৩৫)। তাদের প্রত্যেকেরই কয়েকটি করে ছদ্মনাম রয়েছে। গ্রেফতাররা উত্তরাঞ্চলের কোনো জেলায় টার্গেট কিলিংসহ বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা করছিল বলে পুলিশ সূত্র জানিয়েছে। গ্রেফতারদের ১০ দিনের রিমান্ডের জন্য পুলিশ আদালতে আবেদন করেছে।

বুধবার বগুড়া পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভুঞা জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের ইন্টেলিজেন্স শাখা ও বগুড়া ডিবি পুলিশ যৌথভাবে মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে অভিযান চালিয়ে মীর্জাপুর-রানীরহাট মোড় থেকে জঙ্গিদের অস্ত্রসহ গ্রেফতার করে। এ সময় তাদের কাছে ম্যাগাজিনসহ ২টি বিদেশি পিস্তল, ১০ রাউন্ড গুলি, ৩টি বার্মিজ চাকু ও এক জোড়া হ্যান্ডকাফ পাওয়া যায়। তারা অনেক সময় পুলিশের পরিচয় দিত বলে সূত্র জানায়। গ্রেফতারদের বাড়ি জামালপুর ও রাজশাহী জেলায়। এর মধ্যে ৪ জন গত বছরে রাজশাহীর মতিহার থানার একটি জুটমিল থেকে সাড়ে ১৭ লাখ টাকা ডাকাতি মামলার আসামি।

গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে তারা পুলিশকে জানায়, দুদিন আগে পুরনো জেএমবির প্রধান সমন্বয়ক ও শূরা সদস্য খোরশেদ আলম ওরফে মাস্টার তাদের গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানা এলাকার মাওনায় যেতে বলে। সেখানে খোরশেদ আলম মাস্টার, শুরা সদস্য হাসান আলী ও সাদেকুল ইসলামের সঙ্গে গ্রেফতার হওয়া ৫ জঙ্গির বৈঠক হয়। প্রধান সমন্বক শূরা সদস্য ও শীর্ষ জঙ্গিদের ওই বৈঠকে সংগঠনের কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাসহ অন্যান্য বিষয়ে আলোচনাসহ সামরিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য ৫ জঙ্গিকে অস্ত্র সরবরাহ করা হয়।

পুলিশের ধারণা, গাজীপুর থেকে নীতি নির্ধারণী বৈঠকে পাওয়া নির্দেশনা নিয়ে ৫ জঙ্গি সম্ভবত বাসে বগুড়ার শেরপুরের মীর্জাপুর এলাকায় আসে। সেখান থেকে তাদের কোনো নির্দিষ্ট আস্তানায় অন্য বাহনে চেপে যাওয়ার কথা ছিল। এর মধ্যেই পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads