• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
‘নিহত দুজন প্রকাশক বাচ্চু হত্যাকাণ্ডে জড়িত’

প্রকাশক শাহজাহান বাচ্চু

সংগৃহীত ছবি

অপরাধ

‘নিহত দুজন প্রকাশক বাচ্চু হত্যাকাণ্ডে জড়িত’

  • মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত শামীম ও এখলাসুর প্রকাশক শাহজাহান বাচ্চুর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বলে দাবি করেছে পুলিশ। পুলিশ সুপার মো. জায়েদুল আলম পিপিএম বলেন, ‘নিহত দুইজনের মধ্যে শাহজাহান বাচ্চু হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী শামীম এবং এই হত্যাকাণ্ডে অস্ত্রের জোগান দেয় এখলাসুর।’ শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রেস ব্রিফিংয়ের সময় তিনি এসব তথ্য জানান।

জায়েদুল আলম বলেন, ‘সিরাজদিখান থানা পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত আব্দুর রহমানের দেওয়া বর্ণনা এবং ক্রাইম রেকর্ড পর্যালোচনা করে নিশ্চিত হওয়া যায় যে, আজ শ্রীনগরে বন্দুকযুদ্ধে নিহত দুইজনের মধ্যে একজন শাহজাহান বাচ্চুর হত্যা মামলার আসামি মো. শামীম ওরফে কাকা ওরফে বোমা শামীম। সে কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া থানার লৌক্ষা গ্রামের বাসিন্দা। এই শামীমই শাহজাহান বাচ্চুর হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী এবং ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে পুরো হত্যাকাণ্ডটি পরিচালনা করে। শাহজাহান বাচ্চুর হত্যাকাণ্ড ছাড়াও তার বিরুদ্ধে আরো চারটি ডাকাতি মামলা আছে। নিহত অপরজনের নাম এখলাসুর রহমান (৩২)। সে জামালপুর জেলার জামালপুর থানার খামার পাড়া গ্রামের বাসিন্দা। শাহজাহান বাচ্চুর হত্যাকাণ্ডে এখলাসুরও জড়িত ছিল। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র সে জোগাড় করে সিরাজদিখান থানার বালুচরের ভাড়া বাসায় জমা করেছিল।’

তিনি আরো বলেন, ‘ঘটনাস্থলে তল্লাশি করে একটি ৭.৬৫ পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, তিন রাউন্ড গুলি, ১১টি তাজা ককটেল, দুটি ছোঁড়া ও একটি রেজিস্ট্রেশনবিহীন মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।’

এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে জঙ্গিদের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে জেনে জঙ্গিদের ধরতে শ্রীনগর থানাধীন কেসি রোডে চেকপোস্ট বসায় পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে দুটি মোটরসাইকেলে করে চারজনকে ওই রাস্তায় আসতে দেখে পুলিশ তাদের থামতে সংকেত দেয়। কিন্তু মোটরসাইকেলে থাকা জঙ্গিরা পুলিশের ওপর ককটেল ছুঁড়ে এবং গুলিবর্ষণ করে। এসময় পুলিশও পাল্টা গুলি ছুঁড়লে দুই জঙ্গি নিহত হয় এবং অন্য মোটরসাইকেলে থাকা বাকি দুজন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। এ ঘটনায় পুলিশের এএসআই মাসুদ, এএসআই ইলিয়াস ও কন্সটেবল তানিম আহত হয়। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads