• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
আমীর খসরুর হোটেল সারিনায় দুদকের হানা

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর

সংরক্ষিত ছবি

অপরাধ

আমীর খসরুর হোটেল সারিনায় দুদকের হানা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর মালিকানাধীন আবাসিক হোটেল সারিনায় অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল মঙ্গলবার সংস্থার পরিচালক কাজী শফিকুল আলমের নেতৃত্বে একটি টিম এ অভিযান চালায়। আমীর খসরুর জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের লক্ষ্যে এ অভিযান চালানো হয়। এ সময় কাউকে গ্রেফতার কিংবা কোনো রেকর্ডপত্র জব্দ করা হয়নি।

দুদক সূত্র জানায়, গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর বনানীতে সারিনা হোটেলে প্রবেশ করে দুদক টিম। সেখানে বেলা ৩টা ২০ মিনিট পর্যন্ত অবস্থান করে অভিজাত এ আবাসিক হোটেল কার্যালয় পরিদর্শন করে। এ সময় তারা এর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলেন। অভিযান সম্পর্কে জানতে চাইলে দুদক পরিচালক কাজী শফিকুল আলম বাংলাদেশের খবরকে বলেন, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে আমাদের কাছে অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ অনুসন্ধানে তাকে তলবি নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি হাজির না হয়ে উচ্চ আদালতে রিট করেন। আদালত তার রিট খারিজ করে দিয়েছেন। ফলে অনুসন্ধানে আইনগত অন্তরায় নেই। এ পরিপ্রেক্ষিতে আমরা তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহে সারিনা হোটেল পরিদর্শন করেছি। তিনি বলেন, আমীর খসরু মাহমুদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের যে তথ্য রয়েছে এর মধ্যে হোটেল সারিনা একটি। এ কারণে সারিনা থেকে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী নামে-বেনামে পাঁচ তারকা হোটেল ব্যবসা, ব্যাংকে কোটি কোটি টাকার অবৈধ লেনদেনসহ মানি লন্ডারিং করে বিভিন্ন দেশে অর্থপাচার করেছেন। এছাড়া তার স্ত্রী এবং পরিবারের অন্য সদস্যসহ নিজ নামে শেয়ার কেনাসহ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তার সম্পদের খোঁজে নামে দুদক। অনুসন্ধান প্রক্রিয়ায় আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গত ১৬ আগস্ট তলবি নোটিশ দেওয়া হয়। নোটিশে ১০ সেপ্টেম্বর তাকে দুদকে হাজির হতে বলা হয়। নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ৩ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন তিনি। হাইকোর্টে সেই রিট খারিজ হয়ে যায়। সবশেষ ১৮ সেপ্টেম্বর দুদকে তার আসার কথা থাকলেও শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের সময় পেছানোর জন্য আবেদন করেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads