• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
গাজীপুরে মাদরাসায় জোড়া খুন

মাদরাসার পরিচালক মো. ইব্রাহিম খলিল

ছবি : বাংলাদেশের খবর

অপরাধ

গাজীপুরে মাদরাসায় জোড়া খুন

  • গাজীপুর প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮

গাজীপুরে এক মাদরাসা থেকে পরিচালকের স্ত্রী ও আট বছর বয়সী এক ছাত্রের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মহানগরীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের চান্দনা এলাকার হুফ্ফাজুল কোরআন মাদরাসায় গতকাল মঙ্গলবার ভোরে এই জোড়া খুনের ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলো- মাদরাসার পরিচালক মো. ইব্রাহিম খলিলের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার (২১) ও নূরানি বিভাগের ছাত্র মো. মামুন (৮)। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় পরিচালক ইব্রাহিমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।

বাসন থানার ওসি মো. মুক্তার হোসেন জানান, সকালে জোড়া খুনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান তারা। মাদরাসার পরিচালক ইব্রাহিমের কক্ষে মরদেহ দুটি পড়ে ছিল। তার স্ত্রী মাহমুদার গলায়, গালে ও কানে এবং মামুনের ঘাড়, মাথা ও পিঠে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ঘর থেকে রক্তমাখা একটি দা ও দা ধার দেওয়ার কাজে ব্যবহূত একটি কাঠ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইব্রাহিমকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়েছে। ওসি জানান, প্রায় দুই বছর ধরে ইব্রাহিম ওই মাদরাসা পরিচালনা করছেন। মাদরাসার ওই কক্ষেই সপরিবারে বাস করতেন তিনি। তিনি নিজেও ছাত্রদের কোরআন শিক্ষা দিতেন।

ইব্রাহিম জানান, ভোরে স্ত্রী এবং তার দুই সন্তান হুযায়ফা (৫) ও আবু হুরায়রাকে (৩) ঘরে রেখে তিনি মসজিদে ফজরের নামাজ পড়ার জন্য বের হয়ে যান। নামাজ শেষে ঘরে ফিরে বিছানার ওপর স্ত্রী মাহমুদা এবং দরজার কাছে মামুনের রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। এ বিষয়ে আর কিছু জানেন না বলেও দাবি করেন তিনি।

ওই মাদরাসার ছাত্র সাব্বির পুলিশকে জানায়, গত সোমবার রাতে ইব্রাহিম হুজুরকে সে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার দাটি ধার দিতে দেখেছে। আর গতকাল ভোরে ফজরের নামাজে যাওয়ার আগে হুজুর তাকে দিয়ে মামুনকে মাদরাসার অন্য কক্ষ থেকে তার কক্ষে ডেকে পাঠান।

মাহমুদার বাবা মো. হানিফ গাজী বলেন, তাদের বাড়ি চাঁদপুর সদরে। ছয় বছর আগে ইব্রাহিমের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে হয়। ৬-৭ মাস আগে তারা জানতে পারেন এটা ইব্রাহিমের দ্বিতীয় বিয়ে। ২০১০ সালে প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে ইব্রাহিমের ছাড়াছাড়ি হয়। কয়েক মাস আগে তার প্রথম স্ত্রী ইব্রাহিমকে ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকি দিয়েছিলেন। তার মেয়ের সঙ্গে ইব্রাহিমের দাম্পত্য সম্পর্ক ভালো ছিল বলে হানিফ জানান।

মামুনের মা পোশাক শ্রমিক আসমা বলেন, প্রায় এক বছর আগে ছেলেকে ওই মাদরাসায় ভর্তি করান। বেতন ও হোস্টেলের খরচের টাকা নিতে শনিবার মামুন বাড়ি আসে। রোববার বিকালে তিনি ছেলেকে মাদরাসায় রেখে আসেন। মামুনের বাবা গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর এলাকার বাসিন্দা শাহিদ বলেন, ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ইব্রাহিম হুজুরের মোবাইল থেকে তাকে কল করে দ্রুত মাদরাসায় আসতে বলে লাইন কেটে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads