• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
ডিআইজি মিজানকে ফের দুদকে তলব

পুলিশের ডিআইজি মিজানুর রহমান

সংরক্ষিত ছবি

অপরাধ

বিপুল সম্পদের সন্ধান

ডিআইজি মিজানকে ফের দুদকে তলব

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮

অবৈধ সম্পদ অর্জন অভিযোগের অনুসন্ধানে পুলিশের ডিআইজি মিজানুর রহমানকে আবারো তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল বৃহস্পতিবার সংস্থার ফরিদ আহম্মেদ পাটোয়ারি তাকে তলবি নোটিশ দেন। এ ছাড়া পৃথক নোটিশে ডিআইজি মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্নাকেও তলব করা হয়েছে। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায় তাদের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে বলা হয়েছে।

দুদক সূত্র জানায়, ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রাথমিক প্রমাণ মেলায় তাকে দ্বিতীয় দফা জিজ্ঞাসাবাদের সিদ্ধান্ত হয়। এর আগে তাকে ৯ জুলাই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ওই জিজ্ঞাসাবাদে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দুদকের হাতে আসে। মিজানের আয়কর ফাইল এবং সে অনুযায়ী বাস্তবিক সম্পদের বিস্তর ফারাক দেখে দ্বিতীয় দফা জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন পড়ে।

সূত্র মতে, নামে-বেনামে বিপুল সম্পদ অর্জন করেন ডিআইজি মিজান। এর মধ্যে রয়েছে সাভারে পুলিশ অফিসার্স হাউজিং সোসাইটিতে নিজ নামে ৫ কাঠার প্লট, পূর্বাচল নতুন শহর এলাকায় ৫ কাঠার প্লট, পুলিশ অফিসার্স বহুমুখী সমবায় সমিতির অধীনে অ্যাডভান্স পুলিশ টাউনে সাড়ে ৭ কাঠার প্লট, বরিশালের মেহেদিগঞ্জ পৌরসভা এলাকায় ৩২ শতাংশ জমিতে ২৪০০ বর্গফুটের দোতলা ভবন। মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্নার নামে উত্তরা রেসিডেন্সিয়াল মডেল টাউনে ১৭৫০ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। এটির মূল্য ৬৩ লাখ ৯০ টাকা উল্লেখ রয়েছে আয়কর নথিতে, যা দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া মিজানের ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান স্বপনের নামে রাজধানীর নিউ বেইলি রোডে  রয়েছে ২৪০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট। মেহেদিগঞ্জে ওষুধ ব্যবসা করে মাহবুব ৫৫ লাখ ৫১ হাজার ৮৪০ টাকা দিয়ে এ ফ্ল্যাট কেনেন বলে আয়কর বিবরণীতে দেখানো হয়। অনুসন্ধান কর্মকর্তার বিশ্লেষণে এটি অবাস্তব। এতে বড় ভাই মিজানের বিনিয়োগ থাকতে পারে বলে দুদক কর্মকর্তার সন্দেহ।

মিজানের ভাগ্নে রাজধানীর কোতোয়ালি থানার এসআই মাহামুদুল হাসানের নামে নগরীর পাইওনিয়ার রোডে রয়েছে ১৯শ’ ১৯ বর্গফুটের ফ্ল্যাট। ২০১৬ সালের আগস্টে তিনি এসআই পদে যোগ দেওয়ার আগে ৬৬ লাখ ১৮ হাজার ৮০ টাকা দিয়ে এ ফ্ল্যাট কেনেন। এতেও ডিআইজি মিজানের বিনিয়োগ রয়েছে বলে ধারণা দুদক কর্মকর্তার। সম্পদের এসব তথ্যপ্রমাণ নিশ্চিত করার জন্যই ডিআইজি মিজান দম্পতিকে তলব করা হয়েছে বলে জানায় সূত্র।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি ডিআইজি মিজানকে পুলিশ বাহিনী থেকে বরখাস্ত করা হয়। এর আগে দ্বিতীয় বিয়ে গোপন করতে নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ত্রী মরিয়ম আক্তারকে গ্রেফতার করানোর অভিযোগ ওঠে ডিআইজি মিজানুরের বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনেরও অভিযোগ ওঠে। পরে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ পায় পুলিশের তদন্ত কমিটি। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাকে প্রত্যাহার করা হয়।

সবশেষ মিজানুরের বিরুদ্ধে এক সংবাদ পাঠিকা প্রাণনাশের হুমকি ও উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ তোলেন। ওই সংবাদ পাঠিকা প্রথমে ঢাকার বিমানবন্দর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পুলিশের সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম বিভাগেও সংবাদ পাঠিকা অভিযোগ জানিয়েছেন এবং এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করেছেন।

 

 

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads